হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি অভিযোগ, কোম্পানির প্রত্যাখ্যান
যুক্তরাষ্ট্রের
আনা ২৩টি ফৌজদারি অভিযোগ (ক্রিমিনাল চার্জ) প্রত্যাখ্যান করেছে চীনের
ইলেকট্রনিক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। তারা বলেছে, ব্যবসা করতে গিয়ে কোনো
অন্যায় তারা করে নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা ওই প্রতিষ্ঠানের
বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে ফাইল জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে
ব্যাংকিংয়ে প্রতারণা, বিচার ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও প্রযুক্তি
চুরি। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে হুয়াওয়ের অর্থ বিষয়ক প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝো’কে গ্রেপ্তার করে কানাডা। তা নিয়ে চীন, কানাডা ও
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সৃষ্টি হয় এক কূটনৈতিক উত্তেজনা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন
বিবিসি।
হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এমন মামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এক বিবৃতিতে হুয়াওয়ে বলেছে, কোম্পানির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা জানতে পেরে হতাশাগ্রস্ত হুয়াওয়ে। নিয়ম লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনোটিই এই কোম্পানি করে নি। তা ছাড়া মিস মেং ওয়ানঝো কোনো অন্যায় করেছেন বলে তারা অবগত নয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক গোপনীয়তার বিষয়ে যে কথা বলা হয়েছে তা একটি দেওয়ানি মামলার মাধ্যমে সমাধান করা যায়।
যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে
সোমবার ঘোষিত ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করতে গিয়ে দুটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ডিভাইস ইউএসএ এবং স্কাইকম টেক-এর সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করেছে হুয়াওয়ে। ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর নতুন করে সব অবরোধ আরোপ করেছেন। সম্প্রতি আরো কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। এতে ইরানের তেল রপ্তানি, জাহাজ চলাচল ও ব্যাংকিং খাত আক্রান্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত ওই অবরোধ লঙ্ঘন করে হুয়াওয়ে গোপনে তাদের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, স্মার্টফোনের স্থায়িত্ব পরীক্ষায় টি-মোবাইল যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা চুরি করেছে হুয়াওয়ে। এ ছাড়া তারা বিচার ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। ওয়্যার বা ইন্টারনেটে জালিয়াতি করেছে। তবে হুয়াওয়ে বলেছে, ২০১৪ সালে দাখিল করা একটি দেওয়ানি মামলায় টি-মোবাইলের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে ফেলেছে হুয়াওয়ে। ওই প্রতিষ্ঠানটির প্রযুক্তি, যা ট্যাপ্পি নামে পরিচিত তা, ফোন টেস্ট করতে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ অনুকরণ করে। সব মিলিয়ে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে ২৩টি অভিযোগ উত্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিস্টোফার ওয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও আন্তর্জাতিক ব্যবসার মানদন্ডের প্রতি নগ্নভাবে অসম্মান করে হুয়াওয়ে, এ বিষয়টি উন্মুক্ত হয়ে গেছে অভিযোগগুলোতে। হুয়াওয়ের মতো কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা উভয় খাতের জন্য হুমকি।
এরপর কি?
হুয়াওয়ে হলো বিশ্বে সর্ববৃহৎ টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি তারা অন্য জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান অ্যাপলকে ছাড়িয়ে গেছে। আর তার ফলে দ্বিতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক হয়ে উঠেছে। তার সামনে আছে শুধু স্যামসাং। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা অন্য দেশগুলো উদ্বিগ্ন এ নিয়ে যে, চীনা সরকার হুয়াওয়ের প্রযুুক্তির মধ্য দিয়ে তার গোয়েন্দা সক্ষমতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে থাকতে পারে, যদিও হুয়াওয়ে বলছে তাদের প্রতিষ্ঠানে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ অবস্থায় কানাডায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে মেং ওয়ানঝোকে। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ চীন। গত ১লা ডিসেম্বর মেং’কে কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ভ্যানকোভার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধের প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে স্থানীয় একটি আদালত এক কোটি কানাডিয়ান ডলারের বিনিময়ে জামিন দিয়েছে। তবে তিনি রাত দিন নজরদারির অধীনে রয়েছেন। তার পায়ের গোঁড়ালিতে অবশ্যই পরতে হচ্ছে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস। এ দিয়ে নির্ধারণ করা হচ্ছে তিনি কখন কোথায় যাচ্ছেন।
হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এমন মামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এক বিবৃতিতে হুয়াওয়ে বলেছে, কোম্পানির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা জানতে পেরে হতাশাগ্রস্ত হুয়াওয়ে। নিয়ম লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনোটিই এই কোম্পানি করে নি। তা ছাড়া মিস মেং ওয়ানঝো কোনো অন্যায় করেছেন বলে তারা অবগত নয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক গোপনীয়তার বিষয়ে যে কথা বলা হয়েছে তা একটি দেওয়ানি মামলার মাধ্যমে সমাধান করা যায়।
যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে
সোমবার ঘোষিত ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করতে গিয়ে দুটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ডিভাইস ইউএসএ এবং স্কাইকম টেক-এর সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করেছে হুয়াওয়ে। ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর নতুন করে সব অবরোধ আরোপ করেছেন। সম্প্রতি আরো কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। এতে ইরানের তেল রপ্তানি, জাহাজ চলাচল ও ব্যাংকিং খাত আক্রান্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত ওই অবরোধ লঙ্ঘন করে হুয়াওয়ে গোপনে তাদের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, স্মার্টফোনের স্থায়িত্ব পরীক্ষায় টি-মোবাইল যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা চুরি করেছে হুয়াওয়ে। এ ছাড়া তারা বিচার ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। ওয়্যার বা ইন্টারনেটে জালিয়াতি করেছে। তবে হুয়াওয়ে বলেছে, ২০১৪ সালে দাখিল করা একটি দেওয়ানি মামলায় টি-মোবাইলের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে ফেলেছে হুয়াওয়ে। ওই প্রতিষ্ঠানটির প্রযুক্তি, যা ট্যাপ্পি নামে পরিচিত তা, ফোন টেস্ট করতে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ অনুকরণ করে। সব মিলিয়ে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে ২৩টি অভিযোগ উত্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিস্টোফার ওয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও আন্তর্জাতিক ব্যবসার মানদন্ডের প্রতি নগ্নভাবে অসম্মান করে হুয়াওয়ে, এ বিষয়টি উন্মুক্ত হয়ে গেছে অভিযোগগুলোতে। হুয়াওয়ের মতো কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা উভয় খাতের জন্য হুমকি।
এরপর কি?
হুয়াওয়ে হলো বিশ্বে সর্ববৃহৎ টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি তারা অন্য জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান অ্যাপলকে ছাড়িয়ে গেছে। আর তার ফলে দ্বিতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক হয়ে উঠেছে। তার সামনে আছে শুধু স্যামসাং। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা অন্য দেশগুলো উদ্বিগ্ন এ নিয়ে যে, চীনা সরকার হুয়াওয়ের প্রযুুক্তির মধ্য দিয়ে তার গোয়েন্দা সক্ষমতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে থাকতে পারে, যদিও হুয়াওয়ে বলছে তাদের প্রতিষ্ঠানে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ অবস্থায় কানাডায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে মেং ওয়ানঝোকে। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ চীন। গত ১লা ডিসেম্বর মেং’কে কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ভ্যানকোভার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধের প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে স্থানীয় একটি আদালত এক কোটি কানাডিয়ান ডলারের বিনিময়ে জামিন দিয়েছে। তবে তিনি রাত দিন নজরদারির অধীনে রয়েছেন। তার পায়ের গোঁড়ালিতে অবশ্যই পরতে হচ্ছে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস। এ দিয়ে নির্ধারণ করা হচ্ছে তিনি কখন কোথায় যাচ্ছেন।
No comments