ইউএস বাংলার পাইলট ছিলেন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত -নেপালের তদন্ত রিপোর্ট
গত
বছরের মার্চে নেপালে দুর্ঘটনার শিকার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটির
বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। এ ছাড়া কাঠমান্ডু
এয়ারপোর্টে অবতরণের সংকটকালীন পরিস্থিতিতে বিমানের ক্রুরা সচেতন ছিলেন না। এ
কারণেই গত ২৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে
নেপাল। যাতে ৭১ আরোহীর ৫১ জন প্রাণ হারান। দীর্ঘ তদন্ত শেষে রোববার এমন
রিপোর্ট দিয়েছে নেপালের তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তবে বাংলাদেশ বেসামরিক
বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিবেদনে কন্ট্রোল রুমের
বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কিছু প্রস্তাব দেয়া হবে। তা বিবেচনা না
করলে আইকাওয়ে অভিযোগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশের
প্রতিনিধি হিসেবে থাকা বেবিচক-এর ফ্লাইট অপারেশন কনসালটেন্ট সালাউদ্দিন এম
রহমতুল্লাহ।
নেপালে প্রকাশ হওয়া দেশটির এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার শিকার বিমানের ক্যাপ্টেন মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন।
প্রাণঘাতী ওই বিমানযাত্রায় ছিলেন না এমন এক নারী সহকর্মী ভালো প্রশিক্ষক হিসেবে ক্যাপ্টেনের সুখ্যাতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ নিয়ে মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থাতেই বিমান চালাচ্ছিলেন তিনি। ফলে পরিস্থিতির বিষয়ে সচেতনতা হারিয়ে ফেলেন ক্যাপ্টেন। অসচেতন হওয়ার অর্থ হলো, নির্ধারিত রানওয়ে থেকে বিমানটির বিচ্যুতি বুঝতে পারেন নি দুই চালক।
অন্যভাবে বললে, তারা রানওয়ে দেখতে পান নি। রানওয়ে হারিয়ে ফেলার পর চালক বিমানবন্দরের উত্তর দিকে পার্বত্য অঞ্চলে খুব নিচু দিয়ে ভুল পথে বিমান উড়াচ্ছিলেন। অবশেষে রানওয়ে দৃষ্টিগোচর হয়। কিন্তু তখন বিমানটি এর কাছেই খুবই নিচু দিয়ে ভুল পথে উড়ছিল। তদন্তে নেপালি কর্মকর্তারা বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ক্যাপ্টেনের উচিত ছিল অবতরণ না করে আশেপাশে চক্কর দেয়া। কিন্তু বিমানটি ঝুঁকি নিয়ে অবতরণ করতে গিয়ে রানওয়ের পাশে ছিটকে পড়ে। ক্ষণিকের মধ্যেই তাতে আগুন ধরে যায়। দুই পাইলটসহ অর্ধশতাধিক আরোহী এতে নিহত হন।
ওই বিমানের প্রধান ক্যাপ্টেন ছিলেন ৫২ বছর বয়সী আবিদ সুলতান। মানসিক বিষণ্নতায় ভোগার কারণে ১৯৯৩ সালে তাকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে অবসরে পাঠানো হয়। কিন্তু পরে তাকে বেসামরিক বিমান চালনার যোগ্য বলে ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ভয়েস রেকর্ডার ও প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীদের উদ্ধৃতি দিয়ে তদন্ত রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার আগে বিমানের ক্যাপ্টেন ককপিটে বসে ধূমপান করছিলেন। অবতরণের সংকটকালীন সময়ে তিনি অপেশাদারভাবে অহেতুক কথাবার্তা বলছিলেন। ককপিটে তার প্রধান সহযোগী বা কো-পাইলট ছিল ২৫ বছরের নারী পৃথুলা রশিদ। যার উড্ডয়নের অভিজ্ঞতা ছিল মাত্র ৩৯০ ঘণ্টা।
পূর্বে কখনো তিনি ক্রু হিসেবে কাঠমান্ডুতে বিমান অবতরণ করেন নি। রিপোর্টে বলা হয়, দুই চালকের মধ্যে অভিজ্ঞতার বড় ব্যবধান ও ককপিটে ক্যাপ্টেনের কর্তৃত্বের কারণে কো-পাইলট চূড়ান্ত অবতরণের গুরুত্বপূর্ণ সময়েও তৎপর হননি। তবে গত বছর ইউএস-বাংলা জানিয়েছিল, কো-পাইলটের কাঠমান্ডুতে বিমান অবতরণের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল। রিপোর্টে তদন্তকারীরা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে ক্রু ব্যবস্থাপনার ওপর আরো গুরুত্ব আরোপ করার পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের মানসিক অবস্থার ওপর নজরদারি করতে বলেছে।
নেপালে প্রকাশ হওয়া দেশটির এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার শিকার বিমানের ক্যাপ্টেন মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন।
প্রাণঘাতী ওই বিমানযাত্রায় ছিলেন না এমন এক নারী সহকর্মী ভালো প্রশিক্ষক হিসেবে ক্যাপ্টেনের সুখ্যাতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ নিয়ে মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থাতেই বিমান চালাচ্ছিলেন তিনি। ফলে পরিস্থিতির বিষয়ে সচেতনতা হারিয়ে ফেলেন ক্যাপ্টেন। অসচেতন হওয়ার অর্থ হলো, নির্ধারিত রানওয়ে থেকে বিমানটির বিচ্যুতি বুঝতে পারেন নি দুই চালক।
অন্যভাবে বললে, তারা রানওয়ে দেখতে পান নি। রানওয়ে হারিয়ে ফেলার পর চালক বিমানবন্দরের উত্তর দিকে পার্বত্য অঞ্চলে খুব নিচু দিয়ে ভুল পথে বিমান উড়াচ্ছিলেন। অবশেষে রানওয়ে দৃষ্টিগোচর হয়। কিন্তু তখন বিমানটি এর কাছেই খুবই নিচু দিয়ে ভুল পথে উড়ছিল। তদন্তে নেপালি কর্মকর্তারা বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ক্যাপ্টেনের উচিত ছিল অবতরণ না করে আশেপাশে চক্কর দেয়া। কিন্তু বিমানটি ঝুঁকি নিয়ে অবতরণ করতে গিয়ে রানওয়ের পাশে ছিটকে পড়ে। ক্ষণিকের মধ্যেই তাতে আগুন ধরে যায়। দুই পাইলটসহ অর্ধশতাধিক আরোহী এতে নিহত হন।
ওই বিমানের প্রধান ক্যাপ্টেন ছিলেন ৫২ বছর বয়সী আবিদ সুলতান। মানসিক বিষণ্নতায় ভোগার কারণে ১৯৯৩ সালে তাকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে অবসরে পাঠানো হয়। কিন্তু পরে তাকে বেসামরিক বিমান চালনার যোগ্য বলে ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ভয়েস রেকর্ডার ও প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীদের উদ্ধৃতি দিয়ে তদন্ত রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার আগে বিমানের ক্যাপ্টেন ককপিটে বসে ধূমপান করছিলেন। অবতরণের সংকটকালীন সময়ে তিনি অপেশাদারভাবে অহেতুক কথাবার্তা বলছিলেন। ককপিটে তার প্রধান সহযোগী বা কো-পাইলট ছিল ২৫ বছরের নারী পৃথুলা রশিদ। যার উড্ডয়নের অভিজ্ঞতা ছিল মাত্র ৩৯০ ঘণ্টা।
পূর্বে কখনো তিনি ক্রু হিসেবে কাঠমান্ডুতে বিমান অবতরণ করেন নি। রিপোর্টে বলা হয়, দুই চালকের মধ্যে অভিজ্ঞতার বড় ব্যবধান ও ককপিটে ক্যাপ্টেনের কর্তৃত্বের কারণে কো-পাইলট চূড়ান্ত অবতরণের গুরুত্বপূর্ণ সময়েও তৎপর হননি। তবে গত বছর ইউএস-বাংলা জানিয়েছিল, কো-পাইলটের কাঠমান্ডুতে বিমান অবতরণের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল। রিপোর্টে তদন্তকারীরা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে ক্রু ব্যবস্থাপনার ওপর আরো গুরুত্ব আরোপ করার পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের মানসিক অবস্থার ওপর নজরদারি করতে বলেছে।
No comments