‘তীর শিলং’ ফাঁদ সিলেটে
সিলেটে
আটকের পর ১৩ মাদকসেবীকে সাজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর শিলং
তীরের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ১১ জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। র্যাব
জানায়, গত শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে র্যাব-৯ এর সিপিসি-১ (সিলেট
ক্যাম্প)-এর একটি আভিযানিক দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন চৌধুরীর
নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার এএসপি নাহিদ হাসানসহ এবং সহকারী কমিশনার ও
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরীর সমন্বয়ে এ
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ গ্রাম
গাঁজাসহ ১৩ মাদকসেবনকারীকে আটক করে র্যাব। আটককৃতদের প্রত্যেককে ৩ মাস করে
বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং সর্বমোট ১২৩০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে- মো. সুমন মিয়া (২৫), আব্দুল কাদির (৩০), রনি আহমেদ
(২৮), শাহীন আহম্মদ (২৮), আব্দুল ওয়াহিদ (৩৫), মনি রায় (২৭), মো. ইউনুস
(২৫), সুমন মিয়া (৩০), মো. মুমিন মিয়া (৩০), ফিরোজ মিয়া (১৯), মো. আসকর আলী
(৩০), সুমন দাস (২০) ও জামিল আহমদ (২০)। সোমবার র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার ও মিডিয়া অফিসার মো. মনিরুজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই
তথ্য জানান। উদ্ধারকৃত আলামত ধ্বংস এবং সাজাপ্রাপ্ত মাদকসেবীদেরকে সিলেট
জেলা কারাগারে প্রেরণ ও জরিমানাকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা
হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে ‘তীর কাউন্টার’ নামের অনলাইন লটারিকে কেন্দ্র করে সিলেটে চলে আসছিলো জুয়া খেলার মহোৎসব। এই জুয়ার বিস্তার এমন হয়েছে যে, শহর কিংবা গ্রামের হাট-বাজার সবখানেই এই সিন্ডিকেটের লোকদের দেখা মেলে। বিভিন্ন ছোট চায়ের টংয়ে বসে তারা লোকদের সত্তর গুণ লাভের আশা দেখিয়ে ‘তীরের ঘর’ বুকিং করাতেন এজেন্টরা। আর তাদের লোভনীয় অফারের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত গরিব দিনমজুর, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্তরের লোকেরা। বাদ পড়ছিলেন না উচ্চবিত্তরাও। এভাবেই অবৈধ এই চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই খেলা চললেও এদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছিল না। ফলে সিলেটের সীমন্তবর্তী উপজেলাগুলোর গণ্ডি পেরিয়ে নগরীতেও ছড়িয়ে পড়েছিল ডিজিটাল পদ্ধতির জুয়া ‘শিলংয়ের তীর’। এবার তীর শিলংয়ের বিরুদ্ধে নড়েচড়ে বসেছে সিলেটের প্রশাসন। শনিবার মধ্যরাতে নগরের লালদীঘিরপার নতুন মার্কেটে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় তীর শিলং খেলার সামগ্রীসহ ১১ জুয়াড়িকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তবে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়ার বোর্ডের মালিক সাইফুল কৌশলে পালিয়ে যায়। এ মার্কেটে বহুদিন ধরে জমজমাট ‘তীর শিলং’ খেলা চালিয়ে আসছিল ওই চক্রটি। আটককৃতরা হচ্ছে- শ্যামল মদক (৪৫), মোবারক হোসেন (১৮), আকিল হোসেন (২৫), শংকর চন্দ্র দে (৩০), কৃষ্ণ ঋষি (২৮), শরীফ (২৫), ফারুক আহমদ (২৪), জাহাঙ্গীর (২৫), তাজুল ইসলাম (২৮), কামাল আহমেদ (৬০) ও আলী আমজাদ (৪৫)। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. জেদান আল মুসা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানা প্রকাশ্যে জুয়া আইনে মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া বোর্ডের মালিক সাইফুলকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া এই চক্রের মূলহোতাদের চিহ্নিত করে তাদের ধরতে গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে ‘তীর কাউন্টার’ নামের অনলাইন লটারিকে কেন্দ্র করে সিলেটে চলে আসছিলো জুয়া খেলার মহোৎসব। এই জুয়ার বিস্তার এমন হয়েছে যে, শহর কিংবা গ্রামের হাট-বাজার সবখানেই এই সিন্ডিকেটের লোকদের দেখা মেলে। বিভিন্ন ছোট চায়ের টংয়ে বসে তারা লোকদের সত্তর গুণ লাভের আশা দেখিয়ে ‘তীরের ঘর’ বুকিং করাতেন এজেন্টরা। আর তাদের লোভনীয় অফারের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত গরিব দিনমজুর, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্তরের লোকেরা। বাদ পড়ছিলেন না উচ্চবিত্তরাও। এভাবেই অবৈধ এই চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই খেলা চললেও এদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছিল না। ফলে সিলেটের সীমন্তবর্তী উপজেলাগুলোর গণ্ডি পেরিয়ে নগরীতেও ছড়িয়ে পড়েছিল ডিজিটাল পদ্ধতির জুয়া ‘শিলংয়ের তীর’। এবার তীর শিলংয়ের বিরুদ্ধে নড়েচড়ে বসেছে সিলেটের প্রশাসন। শনিবার মধ্যরাতে নগরের লালদীঘিরপার নতুন মার্কেটে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় তীর শিলং খেলার সামগ্রীসহ ১১ জুয়াড়িকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তবে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়ার বোর্ডের মালিক সাইফুল কৌশলে পালিয়ে যায়। এ মার্কেটে বহুদিন ধরে জমজমাট ‘তীর শিলং’ খেলা চালিয়ে আসছিল ওই চক্রটি। আটককৃতরা হচ্ছে- শ্যামল মদক (৪৫), মোবারক হোসেন (১৮), আকিল হোসেন (২৫), শংকর চন্দ্র দে (৩০), কৃষ্ণ ঋষি (২৮), শরীফ (২৫), ফারুক আহমদ (২৪), জাহাঙ্গীর (২৫), তাজুল ইসলাম (২৮), কামাল আহমেদ (৬০) ও আলী আমজাদ (৪৫)। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. জেদান আল মুসা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানা প্রকাশ্যে জুয়া আইনে মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া বোর্ডের মালিক সাইফুলকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া এই চক্রের মূলহোতাদের চিহ্নিত করে তাদের ধরতে গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।
No comments