ইরানের আক্রমণাত্মক প্রতিরক্ষা নীতি ঘোষণার রহস্য
ইরান
প্রয়োজন হলে আগাম হামলার মত আক্রমণাত্মক-প্রতিরক্ষার নীতি গ্রহণ করবে বলে
জানিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি।
তিনি বলেছেন, ইরান ইসলামি শিক্ষা ও আদর্শের অনুসারী বলে অন্যের ভূখণ্ড ও সম্পদের প্রতি ইরানিদের কোনো লোভ নেই, তবে আগ্রাসনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে জাতীয় স্বার্থ ও ঐতিহ্য রক্ষার প্রয়োজনে কৌশল পরিবর্তন করে আক্রমণাত্মক অবস্থানে যেতে পারে তার দেশ।
মেজর জেনারেল বাকেরি গতকাল (রোববার) প্রতিরক্ষা বিষয়ক এক বৈঠকে এসব কথা বলেন।
ইরানের শীর্ষস্থানীয় সমরনায়কদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় দেশটি তার সামরিক শক্তিকে শত্রুর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার মত যথেষ্ট মাত্রায় শক্তিশালী করতে সক্ষম। এরই আলোকে আকাশ, ভূমি ও পানিতে ইসলামী এই দেশটির সাম্প্রতিক নানা সামরিক মহড়ায় অতি দ্রুত ও আগাম আঘাত হানার কৌশলের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাই ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এখন শত্রুদের যে কোনো ধরনের হুমকি মোকাবেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বলেই মনে হচ্ছে।
ইরানের স্থল-বাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর সবগুলো শাখাকে দ্রুত আক্রমণমুখী করার জন্য যেসব অস্ত্র ও সাজ-সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে সাম্প্রতিক মহড়াগুলোতে সেসবের কার্যকারিতাও যাচাই করে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিরক্ষার চিরাচরিত ও প্রচলিত এবং আধুনিক ও অত্যাধুনিক কৌশলগুলোকেও হাল-নাগাদ করে আসছে দেশটির সামরিক বাহিনীগুলো।
ইরানের আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষা কৌশলের প্রধান স্তম্ভ হল অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিতে দেশটির অবস্থান এখন বিশ্বে চতুর্থ। ইরান বিশ্বের যত বড় পরাশক্তির হাতেই আক্রান্ত হোক না কেন দেশটির ব্যালিস্টিক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্টা আঘাতগুলো হজম করা হবে খুবই কঠিন এবং অসহনীয়। তাই ইরানের শত্রুরা এ দিকটি বিশেষ বিবেচনায় রেখে সামরিক হামলার কথা খুব কমই ভাবতে বাধ্য।
আট বছরের প্রতিরক্ষা যুদ্ধের অভিজ্ঞতার কারণেও ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এখন প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে স্বীকৃত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান শত্রুদের হামলার হুমকির কঠোরতম জবাব দেয়ার ব্যাপারে সদাপ্রস্তুত এবং এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে দশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হবে বলে বার বার ঘোষণা দেয়ায় মার্কিন সরকার ও ইসরাইলের মত দাম্ভিক শক্তিগুলোর হামলার হুমকির সংখ্যা লক্ষ্যনীয় মাত্রায় কমে গেছে। আর এখন ইরানের আক্রমণাত্মক প্রতিরক্ষা নীতির ঘোষণাটি দেশটির শত্রুদের বলদর্পিতাকে আরও নমনীয় করে তুলবে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
তিনি বলেছেন, ইরান ইসলামি শিক্ষা ও আদর্শের অনুসারী বলে অন্যের ভূখণ্ড ও সম্পদের প্রতি ইরানিদের কোনো লোভ নেই, তবে আগ্রাসনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে জাতীয় স্বার্থ ও ঐতিহ্য রক্ষার প্রয়োজনে কৌশল পরিবর্তন করে আক্রমণাত্মক অবস্থানে যেতে পারে তার দেশ।
মেজর জেনারেল বাকেরি গতকাল (রোববার) প্রতিরক্ষা বিষয়ক এক বৈঠকে এসব কথা বলেন।
ইরানের শীর্ষস্থানীয় সমরনায়কদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় দেশটি তার সামরিক শক্তিকে শত্রুর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার মত যথেষ্ট মাত্রায় শক্তিশালী করতে সক্ষম। এরই আলোকে আকাশ, ভূমি ও পানিতে ইসলামী এই দেশটির সাম্প্রতিক নানা সামরিক মহড়ায় অতি দ্রুত ও আগাম আঘাত হানার কৌশলের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাই ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এখন শত্রুদের যে কোনো ধরনের হুমকি মোকাবেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বলেই মনে হচ্ছে।
ইরানের স্থল-বাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর সবগুলো শাখাকে দ্রুত আক্রমণমুখী করার জন্য যেসব অস্ত্র ও সাজ-সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে সাম্প্রতিক মহড়াগুলোতে সেসবের কার্যকারিতাও যাচাই করে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিরক্ষার চিরাচরিত ও প্রচলিত এবং আধুনিক ও অত্যাধুনিক কৌশলগুলোকেও হাল-নাগাদ করে আসছে দেশটির সামরিক বাহিনীগুলো।
ইরানের আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষা কৌশলের প্রধান স্তম্ভ হল অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিতে দেশটির অবস্থান এখন বিশ্বে চতুর্থ। ইরান বিশ্বের যত বড় পরাশক্তির হাতেই আক্রান্ত হোক না কেন দেশটির ব্যালিস্টিক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্টা আঘাতগুলো হজম করা হবে খুবই কঠিন এবং অসহনীয়। তাই ইরানের শত্রুরা এ দিকটি বিশেষ বিবেচনায় রেখে সামরিক হামলার কথা খুব কমই ভাবতে বাধ্য।
আট বছরের প্রতিরক্ষা যুদ্ধের অভিজ্ঞতার কারণেও ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এখন প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে স্বীকৃত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান শত্রুদের হামলার হুমকির কঠোরতম জবাব দেয়ার ব্যাপারে সদাপ্রস্তুত এবং এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে দশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হবে বলে বার বার ঘোষণা দেয়ায় মার্কিন সরকার ও ইসরাইলের মত দাম্ভিক শক্তিগুলোর হামলার হুমকির সংখ্যা লক্ষ্যনীয় মাত্রায় কমে গেছে। আর এখন ইরানের আক্রমণাত্মক প্রতিরক্ষা নীতির ঘোষণাটি দেশটির শত্রুদের বলদর্পিতাকে আরও নমনীয় করে তুলবে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
No comments