শান্তি চুক্তির খসড়ায় সম্মত তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র
ও আফগান সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের আলোচকরা একটি শান্তিচুক্তির খসড়া
রূপরেখায় সম্মত হয়েছেন। ওয়াশিংটনের শীর্ষ আলোচক এ তথ্য দিয়েছেন।
আফগানিস্তানে ১৭ বছর মেয়াদী সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে
আলোচনা করছে দুই পক্ষ। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
কাতারে গত সপ্তাহে ছয় দিন ধরে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মার্কিন আলোচকরা। অপরদিকে আফগান প্রেসিডেন্টও তালেবানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার দাবি জানিয়েছেন। তবে সরকারকে ‘তাঁবেদার’ আখ্যা দিয়ে ওই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামপন্থি এই গোষ্ঠী।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করেছে তালেবানরা।
এখনও দেশটির শীর্ষ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে টিকে আছে এই গোষ্ঠী। আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে দেশটিতে মার্কিন আক্রমণের মধ্য দিয়ে। তালেবান শাসকগোষ্ঠী জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দাকে আশ্রয় দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার জন্য আল কায়দাকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলার পর আল কায়দাকে আশ্রয় দেওয়ায় তালেবানের ওপর আক্রমণ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
এই ১৭ বছর সংঘাতের পর অবশেষে দুই পক্ষ আলোচনায় বসেছে। যদিও চুক্তির খসড়া রূপরেখায় উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে বলা হচ্ছে, তবুও বিশ্লেষকরা বলছেন, পূর্ণ শান্তিচুক্তিতে উপনীত হতে কয়েক বছর লেগে যাবে।
আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি জালমায় খলিলজাদ আলোচনা নিয়ে আফগান সরকারকে অবহিত করতে কাবুল সফর করেছেন। এ সময় নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘রূপরেখার খসড়ায় আমরা সম্মত হয়েছি। তবে এটি চুক্তিতে পরিণত হতে আরও সময় লাগবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, প্রস্তাবিত চুক্তির একটি অংশে বলা আছে, আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতে না দেওয়ার অঙ্গীকার করবে তালেবান।
এই সংঘাত নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান ছিল অনেকটা এরকম যে, তালেবানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা। মার্কিন প্রশাসন আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণভাবে সৈন্য প্রত্যাহারের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখছে। বিনিময়ে তালেবানকে অস্ত্রবিরতি ও সরাসরি আলোচনায় বসতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে। তালেবান বলছে, সরকারের সঙ্গে আলোচনা তখনই শুরু হবে যদি সৈন্য প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট একটি তারিখ ঘোষিত হয়।
আফগানিস্তানে ১৭ বছর ধরে চলা এই সংঘাতে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের উপাত্ত মতে, যুদ্ধপরবর্তী বছরগুলোতেও, অর্থাৎ ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর ৬ থেকে ১১ হাজার করে মানুষ নিহত হয়েছে।
কাতারে গত সপ্তাহে ছয় দিন ধরে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মার্কিন আলোচকরা। অপরদিকে আফগান প্রেসিডেন্টও তালেবানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার দাবি জানিয়েছেন। তবে সরকারকে ‘তাঁবেদার’ আখ্যা দিয়ে ওই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামপন্থি এই গোষ্ঠী।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করেছে তালেবানরা।
এখনও দেশটির শীর্ষ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে টিকে আছে এই গোষ্ঠী। আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে দেশটিতে মার্কিন আক্রমণের মধ্য দিয়ে। তালেবান শাসকগোষ্ঠী জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দাকে আশ্রয় দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার জন্য আল কায়দাকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলার পর আল কায়দাকে আশ্রয় দেওয়ায় তালেবানের ওপর আক্রমণ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
এই ১৭ বছর সংঘাতের পর অবশেষে দুই পক্ষ আলোচনায় বসেছে। যদিও চুক্তির খসড়া রূপরেখায় উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে বলা হচ্ছে, তবুও বিশ্লেষকরা বলছেন, পূর্ণ শান্তিচুক্তিতে উপনীত হতে কয়েক বছর লেগে যাবে।
আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি জালমায় খলিলজাদ আলোচনা নিয়ে আফগান সরকারকে অবহিত করতে কাবুল সফর করেছেন। এ সময় নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘রূপরেখার খসড়ায় আমরা সম্মত হয়েছি। তবে এটি চুক্তিতে পরিণত হতে আরও সময় লাগবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, প্রস্তাবিত চুক্তির একটি অংশে বলা আছে, আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতে না দেওয়ার অঙ্গীকার করবে তালেবান।
এই সংঘাত নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান ছিল অনেকটা এরকম যে, তালেবানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা। মার্কিন প্রশাসন আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণভাবে সৈন্য প্রত্যাহারের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখছে। বিনিময়ে তালেবানকে অস্ত্রবিরতি ও সরাসরি আলোচনায় বসতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে। তালেবান বলছে, সরকারের সঙ্গে আলোচনা তখনই শুরু হবে যদি সৈন্য প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট একটি তারিখ ঘোষিত হয়।
আফগানিস্তানে ১৭ বছর ধরে চলা এই সংঘাতে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের উপাত্ত মতে, যুদ্ধপরবর্তী বছরগুলোতেও, অর্থাৎ ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর ৬ থেকে ১১ হাজার করে মানুষ নিহত হয়েছে।
No comments