যশোরে যুবলীগ নেতাকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গুলির অভিযোগ
সন্ত্রাসের
জনপদ খ্যাত যশোর শহর ফের অশান্ত হতে শুরু করেছে। ক্ষমতাসীন দলের
অভ্যন্তরীণ বিরোধে বাড়ছে সহিংসতা। বাড়ছে বোমাবাজি আর গোলাগুলির ঘটনা। তারই
ধারাবাহিকতায় রোববার গভীররাতে যশোর শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহবুব
রহমান ম্যানসেল (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রাত আড়াইটার দিকে যশোর শহরের
ষষ্ঠিতলাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতের স্বজনরা বলছেন, পুলিশ ম্যানসেলকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে বামপায়ে গুলি করে। কিন্তু পুলিশ বলছে, ক্ষমতাসীন দলের বিবদমান দুইপক্ষের গোলাগুলির খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যায় এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ম্যানসেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়া হয়েছে।
আহতের বাবা মোহাম্মদ আলমাস বলেন, ‘রাতে ম্যানসেল বাসার নিচতলায় ঘুমিয়ে ছিল। রাত আড়াইটার দিকে সাদা পোশাকের একদল পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। এরপর তারা ম্যানসেলকে তুলে বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়।
পরে গুলির শব্দ শুনি। আমরা কেউ ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। কেননা বাড়ির দরজা পেছন থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরে হাসপাতালে গিয়ে দেখি ছেলের বামপায়ে গুলির জখম।’
আহতের মামা ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) হাসান ইমাম লাল বলেন, ‘গভীর রাতে ষষ্ঠিতলাপাড়ার কয়েকটি বাড়ির সামনে অনেক পুলিশ অবস্থান নেয়। তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে বাড়ির লোকজনকে। এমনকি তারা আমার পরিবারকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেও গাল দেয়। কিছুসময় পর গুলির শব্দ শুনতে পাই। সেসময় আমরা ঘর থেকে বের হতে পারিনি, কেননা আমাদের ঘরে বাইরে থেকে দরজার হ্যাজবল্ড লাগানো ছিল।’
তিনি জানান, ওইসময় পুলিশের ছোড়া ইটপাটকেলে আমার ঘরের জানালার কাচ ভেঙে যায়। তারা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারে লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
যোগাযোগ করা হলে যশোর জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠু বলেন, কিছুদিন আগে ম্যানসেলের স্ট্রোক হয়। তার শরীরের ডান পাশ প্রায় অবশ। তিনি বাড়িতেই বেশিরভাগ সময় থাকতেন। গতরাতে পুলিশের সঙ্গে মুখবাঁধা অবস্থায় শহরের চিহ্নিত কতিপয় সন্ত্রাসী ষষ্ঠিতলাপাড়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন আব্দুর রউফ জানান, আহতের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দ্রুত ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করালে হয়তো তার পা রক্ষা করা যাবে।
জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, ‘রাত দুইটার দিকে আমরা খবর পাই- ষষ্ঠিতলাপাড়া এলাকায় সরকারি দলের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং ম্যানসেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেই।’ তিনি দাবি করেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল ও ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। ম্যানসেল একজন টপটেরর সন্ত্রাসী। তার নামে থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে পুলিশের খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড ছিল। পুলিশ তাকে আটক দেখিয়ে কাস্টডিতে নিয়েছে।
রাজনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ম্যানসেল যশোরে বিবদমান আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে এমপি গ্রুপের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। গত দুই দিন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিবাদ চরমে পৌঁছেছে। গুলিবিদ্ধ ম্যানসেল যুবলীগের নেতা হলেও তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার তাকে হত্যার চেষ্টাও করেছে প্রতিপক্ষ। এদিকে, যুবলীগ নেতা ম্যানসেল গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার জন্য এমপি গ্রুপের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে চাকলাদারপন্থি ক্যাডার ও পুলিশকে দায়ী করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আহতের স্বজনরা বলছেন, পুলিশ ম্যানসেলকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে বামপায়ে গুলি করে। কিন্তু পুলিশ বলছে, ক্ষমতাসীন দলের বিবদমান দুইপক্ষের গোলাগুলির খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যায় এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ম্যানসেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়া হয়েছে।
আহতের বাবা মোহাম্মদ আলমাস বলেন, ‘রাতে ম্যানসেল বাসার নিচতলায় ঘুমিয়ে ছিল। রাত আড়াইটার দিকে সাদা পোশাকের একদল পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। এরপর তারা ম্যানসেলকে তুলে বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়।
পরে গুলির শব্দ শুনি। আমরা কেউ ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। কেননা বাড়ির দরজা পেছন থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরে হাসপাতালে গিয়ে দেখি ছেলের বামপায়ে গুলির জখম।’
আহতের মামা ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) হাসান ইমাম লাল বলেন, ‘গভীর রাতে ষষ্ঠিতলাপাড়ার কয়েকটি বাড়ির সামনে অনেক পুলিশ অবস্থান নেয়। তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে বাড়ির লোকজনকে। এমনকি তারা আমার পরিবারকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেও গাল দেয়। কিছুসময় পর গুলির শব্দ শুনতে পাই। সেসময় আমরা ঘর থেকে বের হতে পারিনি, কেননা আমাদের ঘরে বাইরে থেকে দরজার হ্যাজবল্ড লাগানো ছিল।’
তিনি জানান, ওইসময় পুলিশের ছোড়া ইটপাটকেলে আমার ঘরের জানালার কাচ ভেঙে যায়। তারা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারে লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
যোগাযোগ করা হলে যশোর জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠু বলেন, কিছুদিন আগে ম্যানসেলের স্ট্রোক হয়। তার শরীরের ডান পাশ প্রায় অবশ। তিনি বাড়িতেই বেশিরভাগ সময় থাকতেন। গতরাতে পুলিশের সঙ্গে মুখবাঁধা অবস্থায় শহরের চিহ্নিত কতিপয় সন্ত্রাসী ষষ্ঠিতলাপাড়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন আব্দুর রউফ জানান, আহতের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দ্রুত ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করালে হয়তো তার পা রক্ষা করা যাবে।
জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, ‘রাত দুইটার দিকে আমরা খবর পাই- ষষ্ঠিতলাপাড়া এলাকায় সরকারি দলের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং ম্যানসেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেই।’ তিনি দাবি করেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল ও ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। ম্যানসেল একজন টপটেরর সন্ত্রাসী। তার নামে থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে পুলিশের খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড ছিল। পুলিশ তাকে আটক দেখিয়ে কাস্টডিতে নিয়েছে।
রাজনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ম্যানসেল যশোরে বিবদমান আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে এমপি গ্রুপের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। গত দুই দিন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিবাদ চরমে পৌঁছেছে। গুলিবিদ্ধ ম্যানসেল যুবলীগের নেতা হলেও তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার তাকে হত্যার চেষ্টাও করেছে প্রতিপক্ষ। এদিকে, যুবলীগ নেতা ম্যানসেল গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার জন্য এমপি গ্রুপের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে চাকলাদারপন্থি ক্যাডার ও পুলিশকে দায়ী করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
No comments