মা-বাবাকে খুঁজে ফিরছে অবুঝ মেহনাজ-শেহজাদ by ওয়েছ খছরু
সান্ত্বনার
ভাষা কারো জানা নেই। মা-বাবা মারা গেছে চোখের সামনে। ঘাতক লরি কেড়ে নিয়েছে
তাদের শেষ আশ্রয়স্থল। অবাক চোখে কেবল তাকিয়ে দেখছে সবাইকে। সবই আছে
কিন্তু নেই বাবা-মা। কে সান্ত্বনা দেবে তাদের। অবুঝ দুটি শিশুর দিকে তাকিয়ে
কাঁদছে সবাই। এমন ঘটনায় শোকে মর্মাহত গোটা এলাকা।
আফসোসের অন্ত নেই স্বজনদের। ভিসা, টিকিট সবই কনফার্ম ছিল। প্রিয় সন্তানদের নিয়ে স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় যাওয়ার সব প্রস্তুতিও চূড়ান্ত করে রেখেছিলেন। হঠাৎ ঝড়ে তছনছ হয়ে গেলো তার সংসার। স্ত্রী রাফিয়া সুলতানা চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি জমালেন পরপারে। তাদের দুটি সন্তান বেঁচে গেলেও স্বামী-স্ত্রী দুজনই মৃত্যুর কাছে হার মানলেন।
কায়ছান ইসলাম চৌধুরী। সিলেটের ব্যবসায়ী সহ সামাজিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ। নগরীর কাস্টঘরের ভাদেশ্বর হাউস হচ্ছে তার বাসা। বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামে। তিনি দক্ষিণ ভাদেশ্বর রাজাপুর গ্রামের এসএম ইসলাম মঈনের ছেলে। গোলাপগঞ্জে বাড়ি হলেও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সিলেট নগরেই বাস করতেন। তার পরিবারের সব সদস্যই আমেরিকা প্রবাসী। কয়েক বছর ধরে পরিবারের সদস্যরা কায়ছানকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সম্প্রতি পরিবারসহ তার ভিসা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে তার আমেরিকা পাড়ি দেয়ার কথা ছিল। সেজন্য কায়ছান প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন।
ঘটনাটি গত রোববার সন্ধ্যার পর। বিমানবন্দরে সড়কের লাক্কাতোড়া বাগান এলাকায় স্ত্রী রাফিয়া সুলতানা চৌধুরী ও দুই সন্তান মেহনাজ চৌধুরী (৮) ও শেহজাদ আহমদ চৌধুরীকে (৫) নিয়ে বেড়াতে যান। একটি সিএনজি অটোরিক্সা যোগে তারা লাক্কাতোড়া চা বাগান এলাকায় ঘুরাঘুরি করে সিলেট নগরীতে ফিরছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী লরি তাদের বহনকারী সিএনজি অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কায়ছান ইসলাম চৌধুরী ও স্ত্রী রাফিয়া সুলতানা চৌধুরী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তেলবাহী লরি তাদের সিএনজি অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে চলে যাওয়ার সময় তারা ধাওয়া করে লরিসহ চালক ও হেলপারকে আটক করেছেন। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। এদিকে দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বেঁচে যাওয়া দুই শিশু মেহনাজ ও শেহজাদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বিমানবন্দর থানার ওসি এসএম শাহদাত হোসেন জানান, ঘটনাস্থলের অদূর থেকে তেলবাহী লরিসহ চালক আলাউদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে দুঘর্টনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কায়ছান চৌধুরীর চাচাতো ভাই ফাহিম চৌধুরী জানান, সম্প্রতি কায়ছান সপরিবারে আমেরিকা যাওয়ার ভিসা পেয়েছিলেন। এই আনন্দ উদযাপন করতে তিনি পরিবার নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছিলেন। এদিকে ঘটনার খবর শুনে কায়ছানের পরিবারের সদস্যরা আমেরিকা থেকে দেশের পথে রওনা দিয়েছেন। তারা আসার পর লাশ দুটি দাফন করা হবে। তাদের শিশু মেহনাজ ও শেহজাদ আত্মীয়দের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থেকে তারা খুঁজে ফিরছে মা-বাবাকে। এখনো তাদের মা ও বাবার মৃত্যুর ঘটনাটি জানানো হয়নি।
নিসচা সিলেট জেলার শোক: সিলেটের এয়ারপোর্ট রোডে সিএনজি অটোরিকশা-তেলবাহী লরি মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশার আরোহী স্বামী-স্ত্রী ও জকিগঞ্জ উপজেলার পীরনগর নামক স্থানে জকিগঞ্জ পৌরসভার সচিবের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নিসচা সিলেটের নেতৃবৃন্দ। এক শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনারোধে বেপরোয়া গাড়ি না চালানো, সচেতনতা বৃদ্ধি ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। শোকদাতারা হলেন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সিলেট জেলার সভাপতি, সংগঠক এম বাবর লস্কর, সহসভাপতি আব্দুর রহমান, আশরাফ উদ্দিন রুবেল, কবির আহমদ খান, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. লোকমান আলী, সহসাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আলম, অর্থ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, প্রচার সম্পাদক প্রভাষক ফয়সল আহমদ, দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক জামাল উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আশফাক উদ্দিন আহমদ, মহিলা সম্পাদক জান্নাতুল নাজনিন আশা, ইসমত ইবনে ইসহাক সানজিদ, সামাদুল ইসলাম অপু।
আফসোসের অন্ত নেই স্বজনদের। ভিসা, টিকিট সবই কনফার্ম ছিল। প্রিয় সন্তানদের নিয়ে স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় যাওয়ার সব প্রস্তুতিও চূড়ান্ত করে রেখেছিলেন। হঠাৎ ঝড়ে তছনছ হয়ে গেলো তার সংসার। স্ত্রী রাফিয়া সুলতানা চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি জমালেন পরপারে। তাদের দুটি সন্তান বেঁচে গেলেও স্বামী-স্ত্রী দুজনই মৃত্যুর কাছে হার মানলেন।
কায়ছান ইসলাম চৌধুরী। সিলেটের ব্যবসায়ী সহ সামাজিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ। নগরীর কাস্টঘরের ভাদেশ্বর হাউস হচ্ছে তার বাসা। বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামে। তিনি দক্ষিণ ভাদেশ্বর রাজাপুর গ্রামের এসএম ইসলাম মঈনের ছেলে। গোলাপগঞ্জে বাড়ি হলেও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সিলেট নগরেই বাস করতেন। তার পরিবারের সব সদস্যই আমেরিকা প্রবাসী। কয়েক বছর ধরে পরিবারের সদস্যরা কায়ছানকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সম্প্রতি পরিবারসহ তার ভিসা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে তার আমেরিকা পাড়ি দেয়ার কথা ছিল। সেজন্য কায়ছান প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন।
ঘটনাটি গত রোববার সন্ধ্যার পর। বিমানবন্দরে সড়কের লাক্কাতোড়া বাগান এলাকায় স্ত্রী রাফিয়া সুলতানা চৌধুরী ও দুই সন্তান মেহনাজ চৌধুরী (৮) ও শেহজাদ আহমদ চৌধুরীকে (৫) নিয়ে বেড়াতে যান। একটি সিএনজি অটোরিক্সা যোগে তারা লাক্কাতোড়া চা বাগান এলাকায় ঘুরাঘুরি করে সিলেট নগরীতে ফিরছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী লরি তাদের বহনকারী সিএনজি অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কায়ছান ইসলাম চৌধুরী ও স্ত্রী রাফিয়া সুলতানা চৌধুরী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তেলবাহী লরি তাদের সিএনজি অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে চলে যাওয়ার সময় তারা ধাওয়া করে লরিসহ চালক ও হেলপারকে আটক করেছেন। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। এদিকে দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বেঁচে যাওয়া দুই শিশু মেহনাজ ও শেহজাদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বিমানবন্দর থানার ওসি এসএম শাহদাত হোসেন জানান, ঘটনাস্থলের অদূর থেকে তেলবাহী লরিসহ চালক আলাউদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে দুঘর্টনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কায়ছান চৌধুরীর চাচাতো ভাই ফাহিম চৌধুরী জানান, সম্প্রতি কায়ছান সপরিবারে আমেরিকা যাওয়ার ভিসা পেয়েছিলেন। এই আনন্দ উদযাপন করতে তিনি পরিবার নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছিলেন। এদিকে ঘটনার খবর শুনে কায়ছানের পরিবারের সদস্যরা আমেরিকা থেকে দেশের পথে রওনা দিয়েছেন। তারা আসার পর লাশ দুটি দাফন করা হবে। তাদের শিশু মেহনাজ ও শেহজাদ আত্মীয়দের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থেকে তারা খুঁজে ফিরছে মা-বাবাকে। এখনো তাদের মা ও বাবার মৃত্যুর ঘটনাটি জানানো হয়নি।
নিসচা সিলেট জেলার শোক: সিলেটের এয়ারপোর্ট রোডে সিএনজি অটোরিকশা-তেলবাহী লরি মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশার আরোহী স্বামী-স্ত্রী ও জকিগঞ্জ উপজেলার পীরনগর নামক স্থানে জকিগঞ্জ পৌরসভার সচিবের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নিসচা সিলেটের নেতৃবৃন্দ। এক শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনারোধে বেপরোয়া গাড়ি না চালানো, সচেতনতা বৃদ্ধি ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। শোকদাতারা হলেন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সিলেট জেলার সভাপতি, সংগঠক এম বাবর লস্কর, সহসভাপতি আব্দুর রহমান, আশরাফ উদ্দিন রুবেল, কবির আহমদ খান, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. লোকমান আলী, সহসাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আলম, অর্থ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, প্রচার সম্পাদক প্রভাষক ফয়সল আহমদ, দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক জামাল উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আশফাক উদ্দিন আহমদ, মহিলা সম্পাদক জান্নাতুল নাজনিন আশা, ইসমত ইবনে ইসহাক সানজিদ, সামাদুল ইসলাম অপু।
No comments