বাম জোটের পদযাত্রা: আন্দোলন অব্যাহত থাকবে
গণতান্ত্রিক
বাম জোটের সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, সংবিধান পরিবর্তনের সুযোগ সংবিধানের
ভেতরেই রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে এখনো পর্যন্ত ১৭ বার সংশোধনী আনা হয়েছে।
সরকার চাইলে এখনো সংবিধানের সংশোধনী আনা সম্ভব। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের
সামনে ভোটাধিকার নিশ্চিতের পদযাত্রাপূর্বক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, সংলাপের মীমাংসা না হওয়ার আগে নির্বাচন
কমিশন তফসিলের তারিখ ঘোষণা করেছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজেও সংলাপের
বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন। অথচ তার আগেই কীভাবে তফসিল ঘোষণা
হয়? তাই সংলাপের ফলপ্রসূ সমাধান না আসা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে তফসিল
ঘোষণা স্থগিত রাখার আহ্বান জানান তিনি। সংলাপ চলাকালীন অবস্থায় বাম নেতাদের
বিরুদ্ধে হামলা-মামলা চলছে- এমন অভিযোগ এনে তিনি বলেন, সংলাপের মধ্যদিয়ে
সমাধানের সৎ ইচ্ছা দেখাতে চাইলে, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে মামলা হয়নি, মামলা হয়েছে নাশকতা, মাদক, জঙ্গি এসব কারণ দেখিয়ে। তাই রাজবন্দিদের তালিকা চাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কৌশলী বক্তব্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘দেশ আজ ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে। এ দেশে ভাত ও ভোটের অধিকারের আন্দোলন নতুন নয়। দুটি দল (বিএনপি-আওয়ামী লীগ) বিরোধী দলে থাকলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। আবার তারাই ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার সব চেষ্টা করে। তাই দেশের জনগণ তাদের চিরদিন বিরোধী দলেই দেখতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘সরকার শুধু সংবিধানের কথা বলে। কিন্তু সেই সংবিধানেই বলা আছে, কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব না, সে কথা কেন বলছে না সরকার?’ আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে। তাই সরকারের বক্তব্য সংবিধানবিরোধী বলেও উল্লেখ করেন প্রবীণ এই বাম নেতা।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি যে বক্তব্য দিচ্ছেন-এমন বক্তব্য আইয়ুব খান, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের মুখ থেকেও শুনি নাই। তারপরেও কীভাবে বলেন, আপনার সৎ ইচ্ছার ওপর আস্থা রাখতে?’ তিনি বলেন, ‘এতদিন যে অপরাধ করেছেন, তাতে দায় মুক্তির অধ্যাদেশ করে মুক্তি পাবেন না। আওয়ামী দুঃশাসনের নজির মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। তাই মানুষ এর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ব্যালট ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু সেই অধিকারও কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে আজ।’ সংলাপ হচ্ছে আবার আন্দোলন করবেন- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে এই বাম নেতা বলেন, ‘এই প্রশ্নের জবাব আপনি আপনার পিতার কাছ থেকে শিখে নেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু সংলাপ করেছেন ইয়াহিয়ার সঙ্গে। পাশাপাশি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলারও আহ্বান জানিয়েছেন।’ নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো সরকারের আজ্ঞাবহ। এদের পরিচালনায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’ তিনি আরো বলেন, জনগণের চাপে সরকার আজ সংলাপ করছে। আর এই সংলাপে ভোটাধিকার বাস্তবায়নের সঠিক নির্দেশনা না আসলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
গণতান্ত্রিক বাম জোটের পদযাত্রা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল ঘুরে আবার পল্টনে এসে শেষ হয়। সমাবেশে সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আজিজুর রহমান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মোমিনুর রহমান বিশাল প্রমুখ।
প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে মামলা হয়নি, মামলা হয়েছে নাশকতা, মাদক, জঙ্গি এসব কারণ দেখিয়ে। তাই রাজবন্দিদের তালিকা চাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কৌশলী বক্তব্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘দেশ আজ ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে। এ দেশে ভাত ও ভোটের অধিকারের আন্দোলন নতুন নয়। দুটি দল (বিএনপি-আওয়ামী লীগ) বিরোধী দলে থাকলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। আবার তারাই ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার সব চেষ্টা করে। তাই দেশের জনগণ তাদের চিরদিন বিরোধী দলেই দেখতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘সরকার শুধু সংবিধানের কথা বলে। কিন্তু সেই সংবিধানেই বলা আছে, কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব না, সে কথা কেন বলছে না সরকার?’ আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে। তাই সরকারের বক্তব্য সংবিধানবিরোধী বলেও উল্লেখ করেন প্রবীণ এই বাম নেতা।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি যে বক্তব্য দিচ্ছেন-এমন বক্তব্য আইয়ুব খান, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের মুখ থেকেও শুনি নাই। তারপরেও কীভাবে বলেন, আপনার সৎ ইচ্ছার ওপর আস্থা রাখতে?’ তিনি বলেন, ‘এতদিন যে অপরাধ করেছেন, তাতে দায় মুক্তির অধ্যাদেশ করে মুক্তি পাবেন না। আওয়ামী দুঃশাসনের নজির মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। তাই মানুষ এর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ব্যালট ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু সেই অধিকারও কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে আজ।’ সংলাপ হচ্ছে আবার আন্দোলন করবেন- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে এই বাম নেতা বলেন, ‘এই প্রশ্নের জবাব আপনি আপনার পিতার কাছ থেকে শিখে নেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু সংলাপ করেছেন ইয়াহিয়ার সঙ্গে। পাশাপাশি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলারও আহ্বান জানিয়েছেন।’ নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো সরকারের আজ্ঞাবহ। এদের পরিচালনায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’ তিনি আরো বলেন, জনগণের চাপে সরকার আজ সংলাপ করছে। আর এই সংলাপে ভোটাধিকার বাস্তবায়নের সঠিক নির্দেশনা না আসলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
গণতান্ত্রিক বাম জোটের পদযাত্রা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল ঘুরে আবার পল্টনে এসে শেষ হয়। সমাবেশে সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আজিজুর রহমান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মোমিনুর রহমান বিশাল প্রমুখ।
No comments