সাক্ষী ভাতা আইনে আছে বাস্তবে নেই
অপরাধ
প্রমাণে সাক্ষীই মূল। ফলে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সাক্ষীরা যাতে আদালতে
আসতে পারেন সেজন্য রয়েছে সাক্ষী ভাতাও। কিন্তু এ ভাতা পান পুলিশ সাক্ষী।
পান না সাধারণ সাক্ষীরা। বরং পুলিশ সাধারণ সাক্ষীদের কাছ থেকে উল্টো হাতিয়ে
নেন খরচের টাকা। অবস্থা এমন যে সাক্ষী হয়েই যেন বড় অপরাধ করেছেন সাধারণ
সাক্ষীরা।
আইনজীবীদের মতে, শুধুমাত্র পুলিশের অসদাচরণের কারণে সাক্ষীরা মূল অপরাধীর চেয়েও বড় অপরাধী মনে করে মানসিক সমস্যায় ভুগেন। ফলে সাক্ষ্য দিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। এতে সৃষ্টি হচ্ছে মামলার জট। উপযুক্ত সাক্ষীর অভাবে অপরাধীরা খালাস যেমন পাচ্ছেন তেমনি নিরপরাধীরাও কষ্ট পাচ্ছেন।
আদালত সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর আটটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৬ হাজার ৪১৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলায় চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ৮ হাজার ৭৪৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলার ১৩টি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৫ হাজার ৩৯৩টি মামলা বিচারাধীন আছে। গত জুলাই পর্যন্ত এসব মামলায় ১০ হাজার ৫০৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এ সাক্ষীদের মধ্যে যারা পুলিশে কর্মরত তাদের কেউ কেউ নিজের বিভাগ থেকে যাতায়াত ভাতা পেয়েছেন। তবে সাধারণ সাক্ষীসহ বেশিরভাগই কোনো ধরনের যাতায়াত ভাতা পাননি।
চট্টগ্রাম কোর্ট থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশ সাক্ষী থাকলে নিজ বিভাগ থেকে যাতায়াত খরচ দেয়া হয়। তবে অবসরে গেলে নিজ জেলা থেকে আদালতে আসা-যাওয়ার খরচ পাওয়ার সুযোগ থাকে না। ফলে টাকা খরচ করে সাক্ষ্য দিতে আসা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। যেমনটি সাধারণ সাক্ষীদের ক্ষেত্রেও সে ধরনের কোনো ভাতা দেয়া হয় না।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাক্ষীদের ভাতা দেয়ার জন্য আইন আছে। সাক্ষীর যাতায়াতসহ আনুষঙ্গিক খরচের বিল আদালত থেকে অনুমোদন করে সাক্ষীকে দেয়া সংশ্লিষ্ট মামলার সরকারি কৌঁসুলির দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
কিন্তু সাক্ষীরা যাতায়াত খরচ পাওয়া তো দূরের কথা উপযুক্ত সম্মানও পান না। তারা আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসলে আইনজীবী একদিকে যেতে বলে তো, পুলিশ আরেক দিকে যেতে বলে। তার উপর পুলিশ সাক্ষীদের কাছ থেকে উল্টো খরচের টাকা হাতিয়ে নেয়। অবস্থা এমন যে সাক্ষী হয়ে যেন বড় অপরাধ করেছেন তারা।
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, উপযুক্ত সম্মান দিতে না পারলে মানুষ সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসতে চাইবে কেন। আর সাক্ষ্য না দিলে মামলাও নিষ্পত্তি হবে না, মামলার জট সৃষ্টি হবে। এমনকি উপযুক্ত সাক্ষ্যর অভাবে অপরাধীরাও খালাস পাবে। নিরপরাধীরাও কষ্ট পাবে।
তিনি বলেন, এক সময় আদালতে সাক্ষীদের বসার নির্দিষ্ট জায়গা ছিল। সেখানে ক্যান্টিন ছিল, তারা দূর-দূরান্ত থেকে আসার পর বসে বিশ্রাম নিতে পারতেন। প্রত্যেক আদালতে সাক্ষী বসার নির্দিষ্ট বেঞ্চ ছিল। আগের সেই অবস্থা এখন আর নেই।
তিনি জানান, সাক্ষ্য না দিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮৫ ও ৪৮৫(ক) ধারায় যথাক্রমে অনধিক সাতদিন জেল এবং ২৫০ টাকা জরিমানার বিধান (১৯৭৮ সালে সর্বশেষ সংশোধিত) আছে। এ কারণে আদালত সাক্ষীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন। আর তাতে লাভ পুলিশের। তবে আদালত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনুপস্থিত সাক্ষীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বিধানগুলো কার্যকর করার আগে তাদের ন্যায্য যাতায়াত ভাতা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। সাক্ষী ভাতা নিশ্চিত করা গেলে বেসরকারি সাক্ষী হাজিরা কমপক্ষে দ্বিগুণ বাড়বে।
চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী আবু রায়হান বলেন, ফৌজদারি মামলার বিচার নিষ্পত্তি বিলম্বের ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে সাক্ষীদের সময়মতো আদালতে হাজির করতে না পারা। এর ফলে অসংখ্য জঘন্যতম অপরাধের বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। এটাই বাস্তবতা যে সাক্ষীদের নিজ খরচে আদালতে আসতে হয়। সরকারের যা বরাদ্দ আছে তা নানা জটিলতার কারণে সাক্ষীদের হাতে পৌঁছে না।
তিনি বলেন, নিজ খরচে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরে এসে সাক্ষ্য দিতে হয় সাক্ষীদের। গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে শহরে এসে হোটেলে অবস্থান করে নিজ খরচে সাক্ষ্য দেয়া অনেক কষ্টকর ও ব্যয়সাধ্য। ফৌজদারি মামলায় সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক সাক্ষী থাকেন। কোনো কোনো মামলায় একবার সাক্ষ্য দেয়ার পর আদালত পুনরায় সাক্ষী তলব করেন। আবার পুলিশ সাক্ষীদের একটা অংশ অবসরজনিত কারণে নিজ জেলায় চলে যান। ফলে দূরের জেলা থেকে কর্মস্থলের জেলায় সাক্ষী দিতে তাদের অনেক টাকার দরকার হয়। এসব কারণে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে অনীহা দেখান।
সূত্র জানায়, ১৮৯৮ সালে প্রণয়ন করা ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪৪ ধারায় বাদী এবং সাক্ষীদের খরচ দেয়ার কথা উল্লেখ আছে। তবে এই আইনে বলা হয়েছে সরকারের প্রণয়ন করা কোনো বিধি সাপেক্ষে এই খরচ দেয়া যাবে। কিন্তু আইনটি প্রণয়নের একশ’ বছর পরও কোনো বিধি প্রণয়ন করেনি দেশের কোনো সরকার।
তবে ১৯৮২ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর ও একই বছরের ৬ই অক্টোবর তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) সংস্থাপন বিভাগ দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সাক্ষীদের দৈনিক খাবার বাবদ ২০ টাকা, রাত্রি অবস্থানের জন্য হোটেল খরচ বাবদ ১০ টাকা, ৫ মাইলের মধ্যে আসা-যাওয়ার গাড়ি ভাড়া ৫ টাকা, ১০ মাইলের মধ্যে সাড়ে ৭ টাকা, ২০ মাইলের মধ্যে সাড়ে ১২ টাকা ও ২০ মাইলের অধিকের জন্য ১৫ টাকা গাড়ি ভাড়া বাবদ খরচ দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলো।
গত বছরের মে মাসে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বাজেটে সাক্ষীদের খরচ বরাদ্দ দিতে সরকারের কাছে একটি চিঠিও লিখেছিলেন। কিন্তু সেটা আর আলোর মুখ দেখেনি বলে জানান আইনজীবীরা। এতে মামলাজট পরিস্থিতিরও তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
আইনজীবীদের মতে, শুধুমাত্র পুলিশের অসদাচরণের কারণে সাক্ষীরা মূল অপরাধীর চেয়েও বড় অপরাধী মনে করে মানসিক সমস্যায় ভুগেন। ফলে সাক্ষ্য দিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। এতে সৃষ্টি হচ্ছে মামলার জট। উপযুক্ত সাক্ষীর অভাবে অপরাধীরা খালাস যেমন পাচ্ছেন তেমনি নিরপরাধীরাও কষ্ট পাচ্ছেন।
আদালত সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর আটটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৬ হাজার ৪১৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলায় চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ৮ হাজার ৭৪৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলার ১৩টি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৫ হাজার ৩৯৩টি মামলা বিচারাধীন আছে। গত জুলাই পর্যন্ত এসব মামলায় ১০ হাজার ৫০৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এ সাক্ষীদের মধ্যে যারা পুলিশে কর্মরত তাদের কেউ কেউ নিজের বিভাগ থেকে যাতায়াত ভাতা পেয়েছেন। তবে সাধারণ সাক্ষীসহ বেশিরভাগই কোনো ধরনের যাতায়াত ভাতা পাননি।
চট্টগ্রাম কোর্ট থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশ সাক্ষী থাকলে নিজ বিভাগ থেকে যাতায়াত খরচ দেয়া হয়। তবে অবসরে গেলে নিজ জেলা থেকে আদালতে আসা-যাওয়ার খরচ পাওয়ার সুযোগ থাকে না। ফলে টাকা খরচ করে সাক্ষ্য দিতে আসা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। যেমনটি সাধারণ সাক্ষীদের ক্ষেত্রেও সে ধরনের কোনো ভাতা দেয়া হয় না।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাক্ষীদের ভাতা দেয়ার জন্য আইন আছে। সাক্ষীর যাতায়াতসহ আনুষঙ্গিক খরচের বিল আদালত থেকে অনুমোদন করে সাক্ষীকে দেয়া সংশ্লিষ্ট মামলার সরকারি কৌঁসুলির দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
কিন্তু সাক্ষীরা যাতায়াত খরচ পাওয়া তো দূরের কথা উপযুক্ত সম্মানও পান না। তারা আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসলে আইনজীবী একদিকে যেতে বলে তো, পুলিশ আরেক দিকে যেতে বলে। তার উপর পুলিশ সাক্ষীদের কাছ থেকে উল্টো খরচের টাকা হাতিয়ে নেয়। অবস্থা এমন যে সাক্ষী হয়ে যেন বড় অপরাধ করেছেন তারা।
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, উপযুক্ত সম্মান দিতে না পারলে মানুষ সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসতে চাইবে কেন। আর সাক্ষ্য না দিলে মামলাও নিষ্পত্তি হবে না, মামলার জট সৃষ্টি হবে। এমনকি উপযুক্ত সাক্ষ্যর অভাবে অপরাধীরাও খালাস পাবে। নিরপরাধীরাও কষ্ট পাবে।
তিনি বলেন, এক সময় আদালতে সাক্ষীদের বসার নির্দিষ্ট জায়গা ছিল। সেখানে ক্যান্টিন ছিল, তারা দূর-দূরান্ত থেকে আসার পর বসে বিশ্রাম নিতে পারতেন। প্রত্যেক আদালতে সাক্ষী বসার নির্দিষ্ট বেঞ্চ ছিল। আগের সেই অবস্থা এখন আর নেই।
তিনি জানান, সাক্ষ্য না দিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮৫ ও ৪৮৫(ক) ধারায় যথাক্রমে অনধিক সাতদিন জেল এবং ২৫০ টাকা জরিমানার বিধান (১৯৭৮ সালে সর্বশেষ সংশোধিত) আছে। এ কারণে আদালত সাক্ষীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন। আর তাতে লাভ পুলিশের। তবে আদালত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনুপস্থিত সাক্ষীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বিধানগুলো কার্যকর করার আগে তাদের ন্যায্য যাতায়াত ভাতা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। সাক্ষী ভাতা নিশ্চিত করা গেলে বেসরকারি সাক্ষী হাজিরা কমপক্ষে দ্বিগুণ বাড়বে।
চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী আবু রায়হান বলেন, ফৌজদারি মামলার বিচার নিষ্পত্তি বিলম্বের ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে সাক্ষীদের সময়মতো আদালতে হাজির করতে না পারা। এর ফলে অসংখ্য জঘন্যতম অপরাধের বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। এটাই বাস্তবতা যে সাক্ষীদের নিজ খরচে আদালতে আসতে হয়। সরকারের যা বরাদ্দ আছে তা নানা জটিলতার কারণে সাক্ষীদের হাতে পৌঁছে না।
তিনি বলেন, নিজ খরচে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরে এসে সাক্ষ্য দিতে হয় সাক্ষীদের। গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে শহরে এসে হোটেলে অবস্থান করে নিজ খরচে সাক্ষ্য দেয়া অনেক কষ্টকর ও ব্যয়সাধ্য। ফৌজদারি মামলায় সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক সাক্ষী থাকেন। কোনো কোনো মামলায় একবার সাক্ষ্য দেয়ার পর আদালত পুনরায় সাক্ষী তলব করেন। আবার পুলিশ সাক্ষীদের একটা অংশ অবসরজনিত কারণে নিজ জেলায় চলে যান। ফলে দূরের জেলা থেকে কর্মস্থলের জেলায় সাক্ষী দিতে তাদের অনেক টাকার দরকার হয়। এসব কারণে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে অনীহা দেখান।
সূত্র জানায়, ১৮৯৮ সালে প্রণয়ন করা ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪৪ ধারায় বাদী এবং সাক্ষীদের খরচ দেয়ার কথা উল্লেখ আছে। তবে এই আইনে বলা হয়েছে সরকারের প্রণয়ন করা কোনো বিধি সাপেক্ষে এই খরচ দেয়া যাবে। কিন্তু আইনটি প্রণয়নের একশ’ বছর পরও কোনো বিধি প্রণয়ন করেনি দেশের কোনো সরকার।
তবে ১৯৮২ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর ও একই বছরের ৬ই অক্টোবর তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) সংস্থাপন বিভাগ দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সাক্ষীদের দৈনিক খাবার বাবদ ২০ টাকা, রাত্রি অবস্থানের জন্য হোটেল খরচ বাবদ ১০ টাকা, ৫ মাইলের মধ্যে আসা-যাওয়ার গাড়ি ভাড়া ৫ টাকা, ১০ মাইলের মধ্যে সাড়ে ৭ টাকা, ২০ মাইলের মধ্যে সাড়ে ১২ টাকা ও ২০ মাইলের অধিকের জন্য ১৫ টাকা গাড়ি ভাড়া বাবদ খরচ দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলো।
গত বছরের মে মাসে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বাজেটে সাক্ষীদের খরচ বরাদ্দ দিতে সরকারের কাছে একটি চিঠিও লিখেছিলেন। কিন্তু সেটা আর আলোর মুখ দেখেনি বলে জানান আইনজীবীরা। এতে মামলাজট পরিস্থিতিরও তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
No comments