ইয়ুথ ক্যাম্পেইন ‘প্ল্যান বি’ উদ্বোধন, দেশে ন্যায়বিচার নেই
বিকল্প
ধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, হয়ে
যাওয়া ছাত্র আন্দোলন দেশকে দেখিয়ে দিয়েছে। রাজনীতিবিদদের দেখিয়ে দিয়েছে।
বুঝিয়ে দিয়েছে। দেশে ন্যায়বিচার নেই। তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ছাত্ররা
ন্যায়বিচার চেয়েছে। তা সারা দেশে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। রাজধানীর কৃষিবিদ
ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে বিকল্প ধারার সহযোগী সংগঠন প্রজন্ম বাংলাদেশের নতুন
কর্মসূচি ‘প্ল্যান বি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বয়সের দোহাই দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সমালোচনা করে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, কোন বয়সে আমরা মাকে মা ডাকবো? বাবাকে বাবা ডাকবো? মাতৃভূমি দেশকে ভালোবাসবো? এই প্রশ্ন কেন আসবে। কম বয়সী ছাত্ররা কী দেশকে ভালোবাসবে না? ন্যায়বিচার চাইতে পারবে না? তোমরা তোমাদের মতো করে দেশকে ভালোবাস। দেশের আমজনতা পাশে থাকবে। ভবিষ্যৎ তোমাদের হাতেই।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, আমি বাংলাদেশের কোনো আন্দোলনে অনুপস্থিত ছিলাম না। কিন্তু কিছুদিন আগে আজারবাইজান গিয়েছিলাম। ১২ দিন ছিলাম। এরই মধ্যে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ছাত্ররা চোখ খুলে দিয়েছে। তাহলে তাদেরকে পেটানোর সময় কী চোখ বন্ধ ছিল? তারা তো বলেছিল, আমরা ন্যায়বিচার চাই। শান্তি চাই। নিরাপদ বাংলাদেশ চাই।
তিনি আরো বলেন, নতুন নেতৃত্ব তৈরির পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র নেতৃত্ব সৃষ্টির পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রজন্ম মানে শুধু বয়স নয়। দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন চিন্তা, দর্শন, দিকদর্শন। কোটা ও নিরাপদ সড়ক নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। সবাই বলেছে চোখ খুলে দিয়েছে। তার মানে কী সবার চোখ বন্ধ ছিল? এখন কী আবার খোলা চোখ বন্ধ হয়ে গেছে। কুষ্টিয়াতে একটি বাস মা-মেয়েকে ধাক্কা দিয়েছে। চালক জানে না কখন থামতে বা চলতে হবে। রাষ্ট্রের অবস্থাও তাই। নতুন প্রজন্ম এদের বিরুদ্ধে।
অনুষ্ঠানে প্রজন্ম বাংলাদেশের অহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি প্ল্যান বি তুলে ধরেন বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী। তিনি মাসব্যাপী ইউথ ক্যাম্পেইন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক যাত্রার পর এক দলের পর অপর দল ক্ষমতায় এসেছে। জোটের পর ক্ষমতায় এসেছে মহাজোট। এই নিয়ে আমজনতা ৪বার বেল তলায় গেছে। এখন পঞ্চমবারের মতো জনগণকে বেলতলায় নেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ। কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। গণতন্ত্র বনাম উন্নয়ন নামে এক অদ্ভুত বিতর্কে জড়ানো হয়েছে। আমরা দুটোই চাই। ২ দলের হানাহানি ও সে ঝুঁকি থেকে বের হয়ে আমাদের ভারসাম্যের সরকার দরকার। যার একজনের লাগাম অন্যজন টেনে ধরবে।
বিশাল জনগোষ্ঠী এখন রাজনীতিকে পছন্দ করে না। তাদেরকে বুঝাতে হবে। মাঠে নামতে হবে।
অহিংস ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আখ্যা দিয়ে প্ল্যান বি ঘোষণা করে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম রক্ত দিতে চায় না। ঘাম ও মেধা দিতে চায়। আগামী ১০, ১১ ও ১২ই সেপ্টেম্বর অহিংস কর্মসূচি শুরু হবে। ২৮শে সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী আফতাব নগরে মাসব্যাপী সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একই ক্যাম্পেইন চলবে। একই সঙ্গে চলবে রক্তদান কর্মসূচি। পর্যায়ক্রমে ঢাকা, জগন্নাথ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং তিতুমীরসহ বিভিন্ন কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্যাম্পেইন নিয়ে যেতে চাই। যাতে সহিংসতার অপবাদ দিতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনে দু’হাত বেঁধে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
বয়সের দোহাই দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সমালোচনা করে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, কোন বয়সে আমরা মাকে মা ডাকবো? বাবাকে বাবা ডাকবো? মাতৃভূমি দেশকে ভালোবাসবো? এই প্রশ্ন কেন আসবে। কম বয়সী ছাত্ররা কী দেশকে ভালোবাসবে না? ন্যায়বিচার চাইতে পারবে না? তোমরা তোমাদের মতো করে দেশকে ভালোবাস। দেশের আমজনতা পাশে থাকবে। ভবিষ্যৎ তোমাদের হাতেই।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, আমি বাংলাদেশের কোনো আন্দোলনে অনুপস্থিত ছিলাম না। কিন্তু কিছুদিন আগে আজারবাইজান গিয়েছিলাম। ১২ দিন ছিলাম। এরই মধ্যে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ছাত্ররা চোখ খুলে দিয়েছে। তাহলে তাদেরকে পেটানোর সময় কী চোখ বন্ধ ছিল? তারা তো বলেছিল, আমরা ন্যায়বিচার চাই। শান্তি চাই। নিরাপদ বাংলাদেশ চাই।
তিনি আরো বলেন, নতুন নেতৃত্ব তৈরির পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র নেতৃত্ব সৃষ্টির পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রজন্ম মানে শুধু বয়স নয়। দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন চিন্তা, দর্শন, দিকদর্শন। কোটা ও নিরাপদ সড়ক নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। সবাই বলেছে চোখ খুলে দিয়েছে। তার মানে কী সবার চোখ বন্ধ ছিল? এখন কী আবার খোলা চোখ বন্ধ হয়ে গেছে। কুষ্টিয়াতে একটি বাস মা-মেয়েকে ধাক্কা দিয়েছে। চালক জানে না কখন থামতে বা চলতে হবে। রাষ্ট্রের অবস্থাও তাই। নতুন প্রজন্ম এদের বিরুদ্ধে।
অনুষ্ঠানে প্রজন্ম বাংলাদেশের অহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি প্ল্যান বি তুলে ধরেন বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী। তিনি মাসব্যাপী ইউথ ক্যাম্পেইন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক যাত্রার পর এক দলের পর অপর দল ক্ষমতায় এসেছে। জোটের পর ক্ষমতায় এসেছে মহাজোট। এই নিয়ে আমজনতা ৪বার বেল তলায় গেছে। এখন পঞ্চমবারের মতো জনগণকে বেলতলায় নেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ। কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। গণতন্ত্র বনাম উন্নয়ন নামে এক অদ্ভুত বিতর্কে জড়ানো হয়েছে। আমরা দুটোই চাই। ২ দলের হানাহানি ও সে ঝুঁকি থেকে বের হয়ে আমাদের ভারসাম্যের সরকার দরকার। যার একজনের লাগাম অন্যজন টেনে ধরবে।
বিশাল জনগোষ্ঠী এখন রাজনীতিকে পছন্দ করে না। তাদেরকে বুঝাতে হবে। মাঠে নামতে হবে।
অহিংস ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আখ্যা দিয়ে প্ল্যান বি ঘোষণা করে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম রক্ত দিতে চায় না। ঘাম ও মেধা দিতে চায়। আগামী ১০, ১১ ও ১২ই সেপ্টেম্বর অহিংস কর্মসূচি শুরু হবে। ২৮শে সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী আফতাব নগরে মাসব্যাপী সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একই ক্যাম্পেইন চলবে। একই সঙ্গে চলবে রক্তদান কর্মসূচি। পর্যায়ক্রমে ঢাকা, জগন্নাথ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং তিতুমীরসহ বিভিন্ন কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্যাম্পেইন নিয়ে যেতে চাই। যাতে সহিংসতার অপবাদ দিতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনে দু’হাত বেঁধে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
No comments