বাংলাদেশে ক্যানসারের প্রকোপ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে, চিকিৎসা অপ্রতুল
বাংলাদেশে
প্রতিবছর ক্যানসার রোগে এক লাখের অধিক মানুষ মারা যায়। আর এ রোগে
প্রতিবছর আক্রান্ত হয় আরো দেড় লাখ মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী
আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা এজেন্সি’র (আইএআরসি) সদ্য প্রকাশিত এক
রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ইদানিং গলা ও খাদ্যনালিতে ক্যানসারের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। নারী পুরুষ উভয়েই এ জাতীয় ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও পুরুষদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা তুলনামূলকভাবে বেশী। মেয়েদের ক্ষেত্রে স্তন, জরায়ু, পিত্তথলি ও মুখগহ্বরের ক্যানসার বেশী দেখা যাচ্ছে।
বিশষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপান, মদ্যপান, নেশাজাতীয় দ্রব্যগ্রহণ, ভেজাল খাদ্যগ্রহণ, বায়ুদুষণ- এসব কারণে ক্যানসার আক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্যদিকে, শিশুদের বুকের দুধ পান করতে না দেওয়া, পানের সাথে শুকনা তামাক পাতা ও জর্দা গ্রহণের অভ্যাস এবং গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবের কারণে মহিলারা অধিকমাত্রায় ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর ফুসফুসের ক্যানসারের জন্য ধুমপান ও তামাক বা জর্দা খাওয়ার অভ্যাসকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন রেডিও তেহরানকে বলেন, আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা এজেন্সি যে পরিসংখ্যান দিয়েছে বাস্তবে অবস্থা তার চেয়েও খারাপ। কারণ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পরিসংখানের ভিত্তিতে এ রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। জনসংখ্যাভিত্তিক পরিসংখ্যান নেয়া গেলে আরো বেশী আক্রান্ত হওয়া ও বেশি মৃত্যুর হিসাব পাওয়া যেত।
তিনি মনে করেন, ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় বাজেট বৃদ্ধি বা অধিক সংখ্যক হাসপাতাল নির্মাণের চেয়েও জরুরি দরকার এ রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তাছাড়া এ রোগের আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত করা দরকার। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা দরকার।
বাংলাদেশে ক্যানসার চিকিৎসার অপ্রতুলতার কথা উল্লেখ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ক্যানসার বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ইফতেখার উদ্দিন রেডিও তেহরানকে বলেন, রোগে আক্রান্ত হওয়া বা মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতালে সেবা দেবার সক্ষমতাও বাড়ছে না। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যার অনুপাতে যেখানে ১৬ কোটি মানুষের জন্য ১৬০টি রেডিওথেরাপি সেন্টার থাকার দরকার সেখানে আছে মাত্র ১৬টি।
সম্প্রতি সরকারের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক অনুষ্ঠানে স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশে ক্যানসার চিকিৎসার সুযোগ অপ্রতুল। তিনি বলেছেন, ছোঁয়াচে নয় এমন রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এর মধ্যে ক্যানসার হচ্ছে দ্বিতীয় প্রধান ঘাতকব্যাধী। সেদিক থেকে দেখতে গেলে দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য অন্তত: পাঁচ হাজার বেড দরকার। কিন্তু আছে মাত্র পাঁচ শ’ বেড।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ইদানিং গলা ও খাদ্যনালিতে ক্যানসারের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। নারী পুরুষ উভয়েই এ জাতীয় ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও পুরুষদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা তুলনামূলকভাবে বেশী। মেয়েদের ক্ষেত্রে স্তন, জরায়ু, পিত্তথলি ও মুখগহ্বরের ক্যানসার বেশী দেখা যাচ্ছে।
বিশষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপান, মদ্যপান, নেশাজাতীয় দ্রব্যগ্রহণ, ভেজাল খাদ্যগ্রহণ, বায়ুদুষণ- এসব কারণে ক্যানসার আক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্যদিকে, শিশুদের বুকের দুধ পান করতে না দেওয়া, পানের সাথে শুকনা তামাক পাতা ও জর্দা গ্রহণের অভ্যাস এবং গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবের কারণে মহিলারা অধিকমাত্রায় ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর ফুসফুসের ক্যানসারের জন্য ধুমপান ও তামাক বা জর্দা খাওয়ার অভ্যাসকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন রেডিও তেহরানকে বলেন, আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা এজেন্সি যে পরিসংখ্যান দিয়েছে বাস্তবে অবস্থা তার চেয়েও খারাপ। কারণ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পরিসংখানের ভিত্তিতে এ রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। জনসংখ্যাভিত্তিক পরিসংখ্যান নেয়া গেলে আরো বেশী আক্রান্ত হওয়া ও বেশি মৃত্যুর হিসাব পাওয়া যেত।
তিনি মনে করেন, ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় বাজেট বৃদ্ধি বা অধিক সংখ্যক হাসপাতাল নির্মাণের চেয়েও জরুরি দরকার এ রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তাছাড়া এ রোগের আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত করা দরকার। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা দরকার।
বাংলাদেশে ক্যানসার চিকিৎসার অপ্রতুলতার কথা উল্লেখ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ক্যানসার বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ইফতেখার উদ্দিন রেডিও তেহরানকে বলেন, রোগে আক্রান্ত হওয়া বা মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতালে সেবা দেবার সক্ষমতাও বাড়ছে না। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যার অনুপাতে যেখানে ১৬ কোটি মানুষের জন্য ১৬০টি রেডিওথেরাপি সেন্টার থাকার দরকার সেখানে আছে মাত্র ১৬টি।
সম্প্রতি সরকারের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক অনুষ্ঠানে স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশে ক্যানসার চিকিৎসার সুযোগ অপ্রতুল। তিনি বলেছেন, ছোঁয়াচে নয় এমন রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এর মধ্যে ক্যানসার হচ্ছে দ্বিতীয় প্রধান ঘাতকব্যাধী। সেদিক থেকে দেখতে গেলে দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য অন্তত: পাঁচ হাজার বেড দরকার। কিন্তু আছে মাত্র পাঁচ শ’ বেড।
No comments