একটি অপশক্তি নির্বাচন বানচালের প্রস্তুতি নিচ্ছে
আওয়ামী
লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশি-বিদেশি উস্কানিতে একটি
অপশক্তি নির্বাচন বানচাল ও দেশে অরাজকতা সৃষ্টির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ধরনের
তথ্য প্রমাণ সরকারের হাতে রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ওয়ান ইলেভেনের নীল
নকশা বাস্তবায়ন। এই অপশক্তি, ছদ্মবেশীরা হলো সুশীল সমাজের একাংশ। তারা ফটো
সাংবাদিক শহিদুল আলমকে কেন্দ্র করে বিদেশিদের সঙ্গে নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে হাইব্রিড বা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা
হয়েছে। এ সম্পর্কিত একটি তালিকা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার হাতে রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া
হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা সারা দেশ থেকে রিপোর্ট
নিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে একটি কমিটি তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এই তালিকাটির যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম চলছে। ফলে আগামী নির্বাচনে দলের টিকিট অনুপ্রবেশকারীরা পাবে না। ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিসহ অন্য কমিটিতেও অনুপ্রবেশকারীদের স্থান হবে না।
গতকাল সচিবালয়ে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন সঠিক সময় সংবিধান অনুযায়ী হবে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের জন্য যতই অপকৌশল বা আন্দোলনের হুমকি দিক না কেন তা প্রতিহত করা হবে। আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের জন্য, গণতন্ত্র রক্ষায় জনস্বার্থে সব সময় অপশক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে আন্দোলন করেছে। আওয়ামী লীগ অতীতে রাজপথে ছিল, বর্তমানে দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য রাজপথে আছে, ভবিষ্যতেও রাজপথে থাকবে। ফলে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি আন্দোলনের জন্য যতই হুমকি দিক না কেন, কোনো লাভ হবে না।
বিএনপির আন্দোলন করার মতো সাংগঠনিক শক্তি নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে এসির মধ্যে থেকে পুলিশের গতিবিধি সম্পর্কে ফোনে জানতে চেষ্টা করেন। নেতারা যদি মাঠে না নামে তা হলে কি কর্মীরা মাঠে থাকবে? কখনই থাকবে না। তবে তাদের নেতৃত্বে ছদ্মবেশে জামায়াত-জঙ্গি-সামপ্রদায়িক শক্তিগুলো দিয়ে নাশকতামূলক গুপ্ত হামলা চালাতে পারে। ওই সামপ্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠীর ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিগুলো, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সজাগ দৃষ্টিতে রয়েছে। পাশাপাশি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের বাইরে কেউ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চলালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর হস্তে তা দমন করবে।
মন্ত্রী এ সময় নাম প্রকাশ না করে বলেন, গুজব ছড়ানো নোবেল জয়ী ওই বিদেশিদের সঙ্গে আমাদের দেশের একজন নোবেলজয়ীও জড়িত রয়েছেন। তিনি ওখানে বসে আল জাজিরা টেলিভিশনের মাধ্যমে অনেক উস্কানিমূলক গুজব ছড়াচ্ছেন। এই নোবেল বিজয়ী একসময় রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা আমরা করবো কেন? বিএনপি একটি রেজিস্ট্রিকৃত রাজনৈতিক দল। তারা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চায় তা হলে নির্বাচন তো বসে থাকবে না। সংলাপ তাদের সঙ্গে কি করে হবে? ২০১৪ সালে সংলাপ নামের ট্রেনটি তারা মিস করেছে। সংলাপ নামের দরজাটি বন্ধ করে দিয়েছে। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে ডেকেছিলেন। তারা সাড়া দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী নিজে তাদের বাড়ির সামনে গিয়েছিলেন তারা দরজা খুলেনি। এখনতো সংলাপ করার সময় নেই। মন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির কাছে আমরা সত্য ঘটনাগুলো তুলে ধরবো। দেশের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরা হবে। বিএনপির শাসন আমলের চিত্র আর আওয়ামী লীগের শাসন আমলের চিত্র দেখেই জনগণ তাদের মতামত দেবেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তারা এড়াতে পারবে না। বিএনপি ওই সময় ক্ষমতায় ছিল। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতার উপর গ্রেনেড হামলা হতে পারে না। প্রকাশ্যে কর্তব্যরত পুলিশের চোখের সামনে সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেল। এরপর গ্রেনেড হামলার আলামত নষ্ট করে দিলো।
এফবিআই দিয়ে তদন্ত করাতে দিলো না, বরং বিএনপি সরকার জজ মিয়া নাটক সাজালো। বিএনপি যদি এই হামলার সঙ্গে জড়িত না থাকে তা হলে কেন তারা বিচারের পথ রুদ্ধ করতে এসব কার্যক্রম করলো। গ্রেনেড হামলার প্ল্যানার, মাস্টারমাইন্ড বিএনপি। আর কিলিং এজেন্ট যাদের নিয়োগ করেছে সেটিও তাদের। মন্ত্রী বলেন, বিএনপির টার্গেট ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করার। ওইদিন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার জন্য গিয়েছিলেন। আর সেদিনই বিএনপি সরকারের নিয়োগকৃত কিলিং এজেন্টরা তাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করলো। এসবের দায় বিএনপির কোনো নেতা এড়াতে পারে না। পদ্মা সেতু সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর কার্যক্রম ৫৭ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। মেট্রোরেলের কার্যক্রম ২০২০ সালে সম্পন্ন হবে। আর সড়ক পরিবহন আইন আসন্ন অধিবেশনে পাস হবে।
এ সম্পর্কে একটি কমিটি তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এই তালিকাটির যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম চলছে। ফলে আগামী নির্বাচনে দলের টিকিট অনুপ্রবেশকারীরা পাবে না। ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিসহ অন্য কমিটিতেও অনুপ্রবেশকারীদের স্থান হবে না।
গতকাল সচিবালয়ে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন সঠিক সময় সংবিধান অনুযায়ী হবে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের জন্য যতই অপকৌশল বা আন্দোলনের হুমকি দিক না কেন তা প্রতিহত করা হবে। আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের জন্য, গণতন্ত্র রক্ষায় জনস্বার্থে সব সময় অপশক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে আন্দোলন করেছে। আওয়ামী লীগ অতীতে রাজপথে ছিল, বর্তমানে দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য রাজপথে আছে, ভবিষ্যতেও রাজপথে থাকবে। ফলে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি আন্দোলনের জন্য যতই হুমকি দিক না কেন, কোনো লাভ হবে না।
বিএনপির আন্দোলন করার মতো সাংগঠনিক শক্তি নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে এসির মধ্যে থেকে পুলিশের গতিবিধি সম্পর্কে ফোনে জানতে চেষ্টা করেন। নেতারা যদি মাঠে না নামে তা হলে কি কর্মীরা মাঠে থাকবে? কখনই থাকবে না। তবে তাদের নেতৃত্বে ছদ্মবেশে জামায়াত-জঙ্গি-সামপ্রদায়িক শক্তিগুলো দিয়ে নাশকতামূলক গুপ্ত হামলা চালাতে পারে। ওই সামপ্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠীর ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিগুলো, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সজাগ দৃষ্টিতে রয়েছে। পাশাপাশি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের বাইরে কেউ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চলালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর হস্তে তা দমন করবে।
মন্ত্রী এ সময় নাম প্রকাশ না করে বলেন, গুজব ছড়ানো নোবেল জয়ী ওই বিদেশিদের সঙ্গে আমাদের দেশের একজন নোবেলজয়ীও জড়িত রয়েছেন। তিনি ওখানে বসে আল জাজিরা টেলিভিশনের মাধ্যমে অনেক উস্কানিমূলক গুজব ছড়াচ্ছেন। এই নোবেল বিজয়ী একসময় রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা আমরা করবো কেন? বিএনপি একটি রেজিস্ট্রিকৃত রাজনৈতিক দল। তারা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চায় তা হলে নির্বাচন তো বসে থাকবে না। সংলাপ তাদের সঙ্গে কি করে হবে? ২০১৪ সালে সংলাপ নামের ট্রেনটি তারা মিস করেছে। সংলাপ নামের দরজাটি বন্ধ করে দিয়েছে। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে ডেকেছিলেন। তারা সাড়া দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী নিজে তাদের বাড়ির সামনে গিয়েছিলেন তারা দরজা খুলেনি। এখনতো সংলাপ করার সময় নেই। মন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির কাছে আমরা সত্য ঘটনাগুলো তুলে ধরবো। দেশের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরা হবে। বিএনপির শাসন আমলের চিত্র আর আওয়ামী লীগের শাসন আমলের চিত্র দেখেই জনগণ তাদের মতামত দেবেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তারা এড়াতে পারবে না। বিএনপি ওই সময় ক্ষমতায় ছিল। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতার উপর গ্রেনেড হামলা হতে পারে না। প্রকাশ্যে কর্তব্যরত পুলিশের চোখের সামনে সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেল। এরপর গ্রেনেড হামলার আলামত নষ্ট করে দিলো।
এফবিআই দিয়ে তদন্ত করাতে দিলো না, বরং বিএনপি সরকার জজ মিয়া নাটক সাজালো। বিএনপি যদি এই হামলার সঙ্গে জড়িত না থাকে তা হলে কেন তারা বিচারের পথ রুদ্ধ করতে এসব কার্যক্রম করলো। গ্রেনেড হামলার প্ল্যানার, মাস্টারমাইন্ড বিএনপি। আর কিলিং এজেন্ট যাদের নিয়োগ করেছে সেটিও তাদের। মন্ত্রী বলেন, বিএনপির টার্গেট ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করার। ওইদিন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার জন্য গিয়েছিলেন। আর সেদিনই বিএনপি সরকারের নিয়োগকৃত কিলিং এজেন্টরা তাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করলো। এসবের দায় বিএনপির কোনো নেতা এড়াতে পারে না। পদ্মা সেতু সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর কার্যক্রম ৫৭ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। মেট্রোরেলের কার্যক্রম ২০২০ সালে সম্পন্ন হবে। আর সড়ক পরিবহন আইন আসন্ন অধিবেশনে পাস হবে।
No comments