ঢাকার সড়কে বাস দাঁড়াবে কোথায়? by হাফিজ মুহাম্মদ
রাজধানীর
সড়কের পুরোটাই যেন বাস স্টপেজ। যেখানে যাত্রী আছে সেখানেই বাস দাঁড়াবে।
এটাই যেন নিয়ম। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন নির্ধারিত স্থানে বাস না থামা-ই
বিশৃঙ্খলার বড় কারণ। কিন্তু সড়কে বাস আসলে দাঁড়াবে কোথায়? পুরো সিটি এলাকায়
বাস দাঁড়ানোর স্থান বা স্টপেজ আছে হাতেগোনা কয়েকটি। কিছু কিছু স্থানে এক
সময় বাস দাঁড়ানোর চিহ্নও ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এটিও আর সড়কে দেখা যায় না।
তাই বাসসহ অন্য গণপরিবহন ইচ্ছেমতো যেখানে সেখানে দাঁড় করিয়ে যাত্রী
উঠায়-নামায়। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্ধারিত স্থানে বাস দাঁড়াতে বাধ্য
করার জন্য আগে বাস স্টপেজ ঠিক করে দিতে হবে। যেখানে সুবিধা আছে বে-বাস:
বাস নির্মাণ, যেখানে সুবিধা নেই সেখানে রোড সাইন দিয়ে বাস দাঁড়ানোর স্থান
চিহ্নিত করে দিতে হবে। স্থান চিহ্নিত করার পর ওই স্থানের আগে পরে যাতে কোনো
বাস দাঁড়াতে না পারে সেজন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। নিরাপদ
সড়কের দাবিতে চলা আন্দোলনের পর রাজধানীতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ
নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে নির্ধারিত স্থানে বাসসহ গণপরিবহন
থামানোর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সেই নির্ধারিত স্থান বা বাস স্টপেজ না থাকলে
বাস দাঁড়াবে কোথায় এ প্রশ্ন চালক ও পরিবহন শ্রমিকদের। দেশব্যাপী ছাত্র
আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নগরীর সড়কে গণপরিবহনের
জন্য দেয়া হয় একাধিক নির্দেশনা। যার একটি হচ্ছে নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া
যাত্রী উঠানো এবং নামানো যাবে না। এ নির্দেশনা ২০ আগস্টের মধ্যে কার্যকর
করার নির্দেশনা থাকলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। নির্দিষ্ট
স্টপেজ তৈরি তো দূরে থাক যে দুই একটি রয়েছে সেখানেও দেখা গেছে আগের
অবস্থা। যাদের জন্য নির্দেশনা তাদের অনেকের জানা নেই মূল সড়কের পাশের বাড়তি
অংশটি বা বাস স্টপেজ। যা যাত্রী উঠানো-নামানোর জন্য বৈধ স্থান।
সরজমিনে গতকাল রাজধানীর একাধিক স্থান ঘুরে দেখা যায়, বাস চালকরা যেখানে ইচ্ছে বাস থামাচ্ছে, যাত্রী নামিয়ে আবার পুনরায় উঠিয়ে চলে যাচ্ছেন। তারা কোনো কিছুই যেন জানে না। রাজধানীর কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ড। মিরপুর-মতিঝিল রুটে চলে নিউ ভিশন বাস। এখানে যাত্রী দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওভার ব্রিজের নিচে। বাসটি কোন স্থানে থামবে তার কোনো নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত নেই। বাসটি থামলো ওভার ব্রিজ থেকে আরো ৬০/৭০ গজ সামনে। এখানে কিছু লোক নামেন। পরে দৌড়ে এসে কিছু লোক আবার বাসে উঠেন। একই চিত্র শ্যামলী স্ট্যান্ডেও দেখা গেলো। নিউ ভিশন বাসের চালকের কাছে জানতে চাওয়া হলো আপনি কেন সড়কের উপরে বাস থামালেন। রাস্তার মধ্যে তো বাস থামানো নিষেধ। চালক বলেন, ঠিক আছে বাস সড়কের উপরে থামাবো না। কই থামবো তা তো আমাদের বলে দেয়নি। আমাদের বাস স্টপেজ নির্দিষ্ট করে দিয়ে জানানো হলে আমরা সেখানেই বাস থামাবো। একই চিত্র দেখা গেলো রাজধানীর ব্যস্ততম স্থান শাহবাগে। একে তো একাধিক সড়ক মিলিত হয়েছে ওইখানে। আবার সড়কের দুই পাশে রয়েছে দুইটি বড় হাসপাতাল। এরপরও সেখানে নেই বাস থামনোর নির্দিষ্ট কোনো স্টপেজ। যে পাশে বারডেম হাসপাতাল সে পাশে বাস থামে বাংলাদেশ বেতার থেকে শুরু করে একেবারে মোড় পর্যন্ত। বাসের চালক যেখানে খালি পাচ্ছে সেখান থেকেই লোক উঠায় নামায়। বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পাশেও দেখা যায় একই অবস্থা। সড়কের ওই পাশেও শাহবাগ মোড় থেকে একেবারে বাস থামছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড় পর্যন্ত। নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ না থাকায় সে সুযোগটিই নিচ্ছে বাস চালকরা। এই মোড়ে কথা হয়ে আবদুল্লাহপুর-মতিঝিল রুটে চলাচল করা বিআরটিসি বাসের এক চালকের সঙ্গে। তিনি জানান, তারা নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ বলতে বুঝেন স্ট্যান্ডগুলো। তিনি বলেন, এ মোড়ে তো কোথাও লেখা নেই এখানে বাস স্টপিজ তাইলে লোক তুলতে কিসের নিষেধ। তবে রাজধানী ঘুরে মাত্র কয়েকটি স্থানে পাওয়া যায় বাসের নির্দিষ্ট স্টপেজ। নগরীর ব্যস্ততম স্থান ফার্মগেটের সড়কের উভয় পাশ এবং কাওরানবাজার সড়কের পূর্ব পাশে রয়েছে নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ। এ ছাড়াও মহাখালি ফ্লাইওভারের নিচের পশ্চিম পাশ, বনানী বাস স্ট্যান্ড, এয়ারপোর্ট বাস স্ট্যান্ডে রয়েছে নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ। কিন্তু সেসব স্থানে খুব কম বাসই থামতে দেখা যায়। মূল সড়কের পাশে থাকে যাত্রী দাঁড়ানো, সেখান থেকেই বাস চালকরা যাত্রী উঠিয়ে চলে যায়। আবার অনেক সময় সড়কের মধ্যেও যাত্রী উঠাতে নামাতে দেখা যায়।
ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের সামনেই রয়েছে নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ। এখানে নামেমাত্র কয়েকটি পরিবহনকে থামিয়ে যাত্রী উঠাতে-নামাতে দেখা যায়। যেগুলো সারাবছর ওই স্থানেই থামায়। এ ছাড়া বাকি বাসগুলো কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ের মূল সড়কেই যাত্রী উঠানামা করায়। এখানে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ বক্স। বাস চালকদেরকে নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ ব্যবহার করানোর জন্য পুলিশকে কখনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি খুব একটা। ফার্মগেটে কিছু বাস নির্দিষ্ট স্টপেজ ব্যবহার করলেও কাওরানবাজারে তা দেখাই যায় না। এখানে বাস স্টপেজটা দীর্ঘ। কাওরানবাজারের এক মাথা থেকে শুরু করে একেবারে মোড় পর্যন্ত শেষ হয়েছে। মূল সড়কের পাশেই রয়েছে একটি সরু সড়ক যেখান থেকে যাত্রীরা উঠানামা করবে। কিন্তু এই সরু সড়কটি কখনো স্টপেজের জন্য ব্যবহার হয় না। শুধু বাস দ্রুত চলার জন্যই ব্যবহার হয়। আবার অনেক চালক জানেন না যে এটি যাত্রী উঠানো নামানোর নির্দিষ্ট স্টপেজ। এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিবহন (তিন নম্বর) বাসের সেলিম নামের এক চালক বলেন, এটা যে স্টপেজ তা আমাদের জানা নেই। আমরা জানলে তো ভিতর থেকেই যাত্রী তুলতাম। মূল সড়কে যাত্রীদের উঠানামা করাতাম না। একই কথা বললেন একাধিক পথচারী। তারা বলেন, এই সরু সড়কটি যে বাস স্টপিজ তা আমরাও জানি না। আবদুল মালেক নামের এক যাত্রী বলেন, বাস মূল সড়ক থেকে চলে যায়। ভিতরে থাকলে অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকলেও বাস পাই না। তাই বাধ্য হয়েই মূল সড়ক থেকে বাসে উঠতে হয়।
নগরীতে বাস থামার নির্দিষ্ট স্টপেজ না থাকায় একদিকে বাস চালকরা হচ্ছেন বেপরোয়া। অন্যদিকে সাধারণ যাত্রীরা হয়ে পড়ছেন অসহায়। তাদের বাধ্য হয়েই মূল সড়ক থেকে বাসে উঠতে হয়। এসবের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০১৮-১৯ বাজেটে বক্তৃতায় মেয়র সাইদ খোকন জানান, নগরীর যানজট নিরসনের জন্য মেগা প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৩০টি বাস-বে/বাস স্টপেজ নির্মাণে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। যার তিনটির কাজ শুরু হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অন্যদিকে উত্তর সিটি করপোরেশনের কয়েকটি স্থানে বাস স্টপেজ থাকলে বাকি স্ট্যান্ডে কবে নাগাদ নির্মাণ করা হবে তাদের জানা নেই। তবে তারা কাজ করছেন বলে জানান। উত্তর সিটি করপোরেশনের পরিবহন শাখার মহা-ব্যবস্থাপক আবদুল লতিফ খান বলেন, আমাদের উত্তর সিটি করপোরেশন ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের কয়েকটি স্থানে নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ রয়েছে। এগুলোর বাইরে অন্য সব স্থানেই বাস স্টপেজ নির্মাণ করা হবে। আমাদের পরিবহন বিভাগের প্রকৌশলীরা এর তত্ত্বাবধান করছেন।
সরজমিনে গতকাল রাজধানীর একাধিক স্থান ঘুরে দেখা যায়, বাস চালকরা যেখানে ইচ্ছে বাস থামাচ্ছে, যাত্রী নামিয়ে আবার পুনরায় উঠিয়ে চলে যাচ্ছেন। তারা কোনো কিছুই যেন জানে না। রাজধানীর কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ড। মিরপুর-মতিঝিল রুটে চলে নিউ ভিশন বাস। এখানে যাত্রী দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওভার ব্রিজের নিচে। বাসটি কোন স্থানে থামবে তার কোনো নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত নেই। বাসটি থামলো ওভার ব্রিজ থেকে আরো ৬০/৭০ গজ সামনে। এখানে কিছু লোক নামেন। পরে দৌড়ে এসে কিছু লোক আবার বাসে উঠেন। একই চিত্র শ্যামলী স্ট্যান্ডেও দেখা গেলো। নিউ ভিশন বাসের চালকের কাছে জানতে চাওয়া হলো আপনি কেন সড়কের উপরে বাস থামালেন। রাস্তার মধ্যে তো বাস থামানো নিষেধ। চালক বলেন, ঠিক আছে বাস সড়কের উপরে থামাবো না। কই থামবো তা তো আমাদের বলে দেয়নি। আমাদের বাস স্টপেজ নির্দিষ্ট করে দিয়ে জানানো হলে আমরা সেখানেই বাস থামাবো। একই চিত্র দেখা গেলো রাজধানীর ব্যস্ততম স্থান শাহবাগে। একে তো একাধিক সড়ক মিলিত হয়েছে ওইখানে। আবার সড়কের দুই পাশে রয়েছে দুইটি বড় হাসপাতাল। এরপরও সেখানে নেই বাস থামনোর নির্দিষ্ট কোনো স্টপেজ। যে পাশে বারডেম হাসপাতাল সে পাশে বাস থামে বাংলাদেশ বেতার থেকে শুরু করে একেবারে মোড় পর্যন্ত। বাসের চালক যেখানে খালি পাচ্ছে সেখান থেকেই লোক উঠায় নামায়। বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পাশেও দেখা যায় একই অবস্থা। সড়কের ওই পাশেও শাহবাগ মোড় থেকে একেবারে বাস থামছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড় পর্যন্ত। নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ না থাকায় সে সুযোগটিই নিচ্ছে বাস চালকরা। এই মোড়ে কথা হয়ে আবদুল্লাহপুর-মতিঝিল রুটে চলাচল করা বিআরটিসি বাসের এক চালকের সঙ্গে। তিনি জানান, তারা নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ বলতে বুঝেন স্ট্যান্ডগুলো। তিনি বলেন, এ মোড়ে তো কোথাও লেখা নেই এখানে বাস স্টপিজ তাইলে লোক তুলতে কিসের নিষেধ। তবে রাজধানী ঘুরে মাত্র কয়েকটি স্থানে পাওয়া যায় বাসের নির্দিষ্ট স্টপেজ। নগরীর ব্যস্ততম স্থান ফার্মগেটের সড়কের উভয় পাশ এবং কাওরানবাজার সড়কের পূর্ব পাশে রয়েছে নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ। এ ছাড়াও মহাখালি ফ্লাইওভারের নিচের পশ্চিম পাশ, বনানী বাস স্ট্যান্ড, এয়ারপোর্ট বাস স্ট্যান্ডে রয়েছে নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ। কিন্তু সেসব স্থানে খুব কম বাসই থামতে দেখা যায়। মূল সড়কের পাশে থাকে যাত্রী দাঁড়ানো, সেখান থেকেই বাস চালকরা যাত্রী উঠিয়ে চলে যায়। আবার অনেক সময় সড়কের মধ্যেও যাত্রী উঠাতে নামাতে দেখা যায়।
ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের সামনেই রয়েছে নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ। এখানে নামেমাত্র কয়েকটি পরিবহনকে থামিয়ে যাত্রী উঠাতে-নামাতে দেখা যায়। যেগুলো সারাবছর ওই স্থানেই থামায়। এ ছাড়া বাকি বাসগুলো কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ের মূল সড়কেই যাত্রী উঠানামা করায়। এখানে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ বক্স। বাস চালকদেরকে নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ ব্যবহার করানোর জন্য পুলিশকে কখনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি খুব একটা। ফার্মগেটে কিছু বাস নির্দিষ্ট স্টপেজ ব্যবহার করলেও কাওরানবাজারে তা দেখাই যায় না। এখানে বাস স্টপেজটা দীর্ঘ। কাওরানবাজারের এক মাথা থেকে শুরু করে একেবারে মোড় পর্যন্ত শেষ হয়েছে। মূল সড়কের পাশেই রয়েছে একটি সরু সড়ক যেখান থেকে যাত্রীরা উঠানামা করবে। কিন্তু এই সরু সড়কটি কখনো স্টপেজের জন্য ব্যবহার হয় না। শুধু বাস দ্রুত চলার জন্যই ব্যবহার হয়। আবার অনেক চালক জানেন না যে এটি যাত্রী উঠানো নামানোর নির্দিষ্ট স্টপেজ। এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিবহন (তিন নম্বর) বাসের সেলিম নামের এক চালক বলেন, এটা যে স্টপেজ তা আমাদের জানা নেই। আমরা জানলে তো ভিতর থেকেই যাত্রী তুলতাম। মূল সড়কে যাত্রীদের উঠানামা করাতাম না। একই কথা বললেন একাধিক পথচারী। তারা বলেন, এই সরু সড়কটি যে বাস স্টপিজ তা আমরাও জানি না। আবদুল মালেক নামের এক যাত্রী বলেন, বাস মূল সড়ক থেকে চলে যায়। ভিতরে থাকলে অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকলেও বাস পাই না। তাই বাধ্য হয়েই মূল সড়ক থেকে বাসে উঠতে হয়।
নগরীতে বাস থামার নির্দিষ্ট স্টপেজ না থাকায় একদিকে বাস চালকরা হচ্ছেন বেপরোয়া। অন্যদিকে সাধারণ যাত্রীরা হয়ে পড়ছেন অসহায়। তাদের বাধ্য হয়েই মূল সড়ক থেকে বাসে উঠতে হয়। এসবের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০১৮-১৯ বাজেটে বক্তৃতায় মেয়র সাইদ খোকন জানান, নগরীর যানজট নিরসনের জন্য মেগা প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৩০টি বাস-বে/বাস স্টপেজ নির্মাণে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। যার তিনটির কাজ শুরু হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অন্যদিকে উত্তর সিটি করপোরেশনের কয়েকটি স্থানে বাস স্টপেজ থাকলে বাকি স্ট্যান্ডে কবে নাগাদ নির্মাণ করা হবে তাদের জানা নেই। তবে তারা কাজ করছেন বলে জানান। উত্তর সিটি করপোরেশনের পরিবহন শাখার মহা-ব্যবস্থাপক আবদুল লতিফ খান বলেন, আমাদের উত্তর সিটি করপোরেশন ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের কয়েকটি স্থানে নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ রয়েছে। এগুলোর বাইরে অন্য সব স্থানেই বাস স্টপেজ নির্মাণ করা হবে। আমাদের পরিবহন বিভাগের প্রকৌশলীরা এর তত্ত্বাবধান করছেন।
No comments