কুলদীপ নায়ার (১৯২৩-২০১৮)
ভারতের
প্রখ্যাত সাংবাদিক, লেখক, বিশ্লেষক কুলদীপ নায়ার আর নেই। বুধবার গভীর রাতে
দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার জীবনাবসান হয়। মৃত্যুকালে
তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে পুরো উপ-মহাদেশেই জনপ্রিয়
ছিলেন কুলদীপ নায়ার।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনেও কাজ করেছেন তিনি। গণতন্ত্রের পক্ষে সদা সরব এই সাংবাদিক শাসকমহলের সমালোচনায় মুখর ছিলেন বেশির ভাগ সময়। কারাভোগও করতে হয়েছে তাকে ।কুলদীপ নায়ারের জন্ম ১৯২৩ সালের ১৪ই আগস্ট বৃটিশ ভারতের পাঞ্জাবের শিয়ালকোটে। আইন শাস্ত্রে লেখাপড়া করেও তিনি কর্মজীবন শুরু করেন উর্দু পত্রিকা দৈনিক আনজামের একজন রিপোর্টার হিসেবে। ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইনডিয়ান এক্সপ্রেস এবং স্টেটসম্যান সম্পাদনা করা কুলদীপ নায়ার ছিলেন সেইসব সাংবাদিকদের একজন, যারা সত্তরের দশকে ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে জরুরি অবস্থা জারির বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। প্রতিবাদী হওয়ায় তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছিল। কুলদীপ নায়ার ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে যুক্তরাজ্যে ভারতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
ধর্মীয় উগ্রবাদের পাশাপাশি উগ্রজাতীয়তাবাদের বিরোধিতায় সরব এই কলামনিস্ট শেষ বয়সে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিলেন তার রাজনৈতিক বিশ্লেষণের জন্য। গণতন্ত্রকামী এই অধিকারকর্মী তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে লিখে গেছেন ১৫টি বই। তার আত্মজীবনী বিয়ন্ড দ্য লাইনসে ব্যক্তি জীবনের পাশাপাশি ইতিহাসের নানা অধ্যায় উঠে এসেছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন। কুলদীপ নায়ারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বহু মানুষ। এক টুইটে মোদি বলেছেন, কুলদীপ নায়ার আমাদের সময়ের এক মহান বুদ্ধিজীবী ছিলেন। মতামত প্রকাশে স্পষ্টভাষী ও নির্ভীক ছিলেন তিনি। জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে তার অবস্থান, উন্নত ভারতের জন্য তার নিবেদন সবসময় মনে থাকবে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক।
পুরো উপমহাদেশব্যাপী কুলদীপ নায়ারের বিরাট প্রভাবের বিষয়টি উঠে আসে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামের এক লেখায়। তিনি লিখেছেন, কুলদীপ নায়ারের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন আন্তরিক ও বিশ্বস্ত বন্ধুকে হারাল, ভারত হারাল ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের একজন বিবেকবান রক্ষককে। পাকিস্তান হারাল দুই প্রতিবেশীদের মধ্যে বৃহত্তর বোঝাপড়ার অতন্দ্র কণ্ঠস্বর। দক্ষিণ এশিয়া হারাল সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের প্রতি ঘৃণা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সর্বত্র সর্বাধিক জোরালো বক্তব্যের অধিকারী ব্যক্তিত্বকে। সাংবাদিকতা হারাল এই পেশার নীতি-আদর্শের জন্য অতুলনীয় উদাহরণকে। আর মানবতা হারাল মানুষের শুভবোধে ওপর প্রকৃত আস্থাশীল একজনকে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনেও কাজ করেছেন তিনি। গণতন্ত্রের পক্ষে সদা সরব এই সাংবাদিক শাসকমহলের সমালোচনায় মুখর ছিলেন বেশির ভাগ সময়। কারাভোগও করতে হয়েছে তাকে ।কুলদীপ নায়ারের জন্ম ১৯২৩ সালের ১৪ই আগস্ট বৃটিশ ভারতের পাঞ্জাবের শিয়ালকোটে। আইন শাস্ত্রে লেখাপড়া করেও তিনি কর্মজীবন শুরু করেন উর্দু পত্রিকা দৈনিক আনজামের একজন রিপোর্টার হিসেবে। ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইনডিয়ান এক্সপ্রেস এবং স্টেটসম্যান সম্পাদনা করা কুলদীপ নায়ার ছিলেন সেইসব সাংবাদিকদের একজন, যারা সত্তরের দশকে ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে জরুরি অবস্থা জারির বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। প্রতিবাদী হওয়ায় তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছিল। কুলদীপ নায়ার ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে যুক্তরাজ্যে ভারতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
ধর্মীয় উগ্রবাদের পাশাপাশি উগ্রজাতীয়তাবাদের বিরোধিতায় সরব এই কলামনিস্ট শেষ বয়সে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিলেন তার রাজনৈতিক বিশ্লেষণের জন্য। গণতন্ত্রকামী এই অধিকারকর্মী তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে লিখে গেছেন ১৫টি বই। তার আত্মজীবনী বিয়ন্ড দ্য লাইনসে ব্যক্তি জীবনের পাশাপাশি ইতিহাসের নানা অধ্যায় উঠে এসেছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন। কুলদীপ নায়ারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বহু মানুষ। এক টুইটে মোদি বলেছেন, কুলদীপ নায়ার আমাদের সময়ের এক মহান বুদ্ধিজীবী ছিলেন। মতামত প্রকাশে স্পষ্টভাষী ও নির্ভীক ছিলেন তিনি। জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে তার অবস্থান, উন্নত ভারতের জন্য তার নিবেদন সবসময় মনে থাকবে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক।
পুরো উপমহাদেশব্যাপী কুলদীপ নায়ারের বিরাট প্রভাবের বিষয়টি উঠে আসে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামের এক লেখায়। তিনি লিখেছেন, কুলদীপ নায়ারের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন আন্তরিক ও বিশ্বস্ত বন্ধুকে হারাল, ভারত হারাল ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের একজন বিবেকবান রক্ষককে। পাকিস্তান হারাল দুই প্রতিবেশীদের মধ্যে বৃহত্তর বোঝাপড়ার অতন্দ্র কণ্ঠস্বর। দক্ষিণ এশিয়া হারাল সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের প্রতি ঘৃণা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সর্বত্র সর্বাধিক জোরালো বক্তব্যের অধিকারী ব্যক্তিত্বকে। সাংবাদিকতা হারাল এই পেশার নীতি-আদর্শের জন্য অতুলনীয় উদাহরণকে। আর মানবতা হারাল মানুষের শুভবোধে ওপর প্রকৃত আস্থাশীল একজনকে।
No comments