আইসিসিতে মিয়ানমারের বিচার দাবি আসিয়ানের ১৩২ এমপির
রোহিঙ্গা
জনগোষ্ঠীর ওপর নৃশংসতার জন্য মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি
জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১৩২ জন এমপি। তারা মিয়ানমারকে এ জন্য
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন,
সিঙ্গাপুর, তিমুরের ১৩২ জন এমপি এ যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা
ইউএনবির। বিবৃতি দাতাদের মধ্যে রয়েছেন আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান ফর
হিউম্যান রাইটসের ২২ সদস্য। বিবৃতিতে তারা মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে তাদের
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা
পরিষদের প্রতি। কিন্তু রোম চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ নয় মিয়ানমার। তাই
সেখানে কোনো বিচার করার এক্তিয়ার নেই আইসিসির। তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ
চাইলে সেখানে তদন্ত করতে পারে এই আদালতের মাধ্যমে।
মালয়েশিয়ান পার্লামেন্টের একজন সদস্য চার্লস সান্তিয়াগো। তিনি এপিএইচআরের চেয়ারপারসনও। তিনি বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারপর এক বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর জন্য যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনার কোনো লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। মিয়ানমার এ বিষয়ে নিজে তদন্ত করতে অনিচ্ছুক ও অক্ষম। তাই আমরা এখন এমন এক অবস্থানে আছি যেখান থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, মিয়ানমার পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অবিলম্বে নেয়ার জন্য আমার অন্য ১৩১ জন সহকর্মী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন আমি তাদের সঙ্গে একমত। যারা মিয়ানমারে ওই নৃশংসতার জন্য দায়ী অবশ্যই তাদের বিচার হতে হবে। তাদেরকে এই অপরাধ থেকে মুক্তি দেয়া যেতে পারে না।
কারণ, তারা ভবিষ্যতেও একই অপরাধ আরো ঘটাবে। এক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এসব এমপির নিজ নিজ সরকার যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তা স্বীকার করেন তারা। তারা ইন্দোনেশিয়াসহ আসিয়ানভুক্ত সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যাতে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সব রকম মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পক্ষপাতিত্বহীন তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা বিষয়ক মেকানিজম প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিউর ইয়াং লি। তার এ আহ্বানের প্রতি সমর্থন দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা।
আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা) গত বছর মিয়ানমারের পুলিশ পোস্টের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। এর প্রতিশোধ নিতে ২৫শে আগস্ট রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। শুক্রবার এ হামলার বর্ষপূর্তি হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী ওই হামলায় হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। ব্যাপক যৌন সহিংসতা চালিয়েছে। এর ফলে বাধ্য হয়ে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা তাদের বাড়িঘর, দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মালয়েশিয়ান পার্লামেন্টের একজন সদস্য চার্লস সান্তিয়াগো। তিনি এপিএইচআরের চেয়ারপারসনও। তিনি বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারপর এক বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর জন্য যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনার কোনো লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। মিয়ানমার এ বিষয়ে নিজে তদন্ত করতে অনিচ্ছুক ও অক্ষম। তাই আমরা এখন এমন এক অবস্থানে আছি যেখান থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, মিয়ানমার পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অবিলম্বে নেয়ার জন্য আমার অন্য ১৩১ জন সহকর্মী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন আমি তাদের সঙ্গে একমত। যারা মিয়ানমারে ওই নৃশংসতার জন্য দায়ী অবশ্যই তাদের বিচার হতে হবে। তাদেরকে এই অপরাধ থেকে মুক্তি দেয়া যেতে পারে না।
কারণ, তারা ভবিষ্যতেও একই অপরাধ আরো ঘটাবে। এক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এসব এমপির নিজ নিজ সরকার যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তা স্বীকার করেন তারা। তারা ইন্দোনেশিয়াসহ আসিয়ানভুক্ত সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যাতে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সব রকম মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পক্ষপাতিত্বহীন তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা বিষয়ক মেকানিজম প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিউর ইয়াং লি। তার এ আহ্বানের প্রতি সমর্থন দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা।
আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা) গত বছর মিয়ানমারের পুলিশ পোস্টের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। এর প্রতিশোধ নিতে ২৫শে আগস্ট রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। শুক্রবার এ হামলার বর্ষপূর্তি হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী ওই হামলায় হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। ব্যাপক যৌন সহিংসতা চালিয়েছে। এর ফলে বাধ্য হয়ে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা তাদের বাড়িঘর, দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
No comments