৭০০ কোটি কি শুধুই গল্প!

হাইলাইটস
৭০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য। যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্র এবং কেরালা সরকারের মধ্যে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ চলল, এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সেই আর্থিক সাহায্যের অস্তিত্ব ঘিরেই!
ভারতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, তাঁর দেশ এখনও বন্যা-বিধ্বস্ত কেরালার জন্য কোনও আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেনি।
তিরুবনন্তপুরম: ৭০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য। যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্র এবং কেরালা সরকারের মধ্যে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ চলল, এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সেই আর্থিক সাহায্যের অস্তিত্ব ঘিরেই! ভারতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, তাঁর দেশ এখনও বন্যা-বিধ্বস্ত কেরালার জন্য কোনও আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেনি। এ নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে কোনও কথাও হয়নি তাঁদের। শেখ মহম্মদ বিন রশিদ শুধুমাত্র জরুরি ভিত্তিতে একটি কমিটি তৈরি করেছেন, যে কমিটি কেরালার জন্য ত্রাণ নিয়ে আলোচনা করছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সাহায্যের অঙ্ক ঠিক করবে তারা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে ‘৭০০ কোটি’র গল্প এল কোথা থেকে? খোদ বিদেশ মন্ত্রক পর্যন্ত যা নিয়ে বিবৃতি দিতে বাধ্য হল!
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বক্তব্য, তাঁর তথ্যে কোনও ভুল নেই। কারণ, ত্রাণ এবং আর্থিক সাহায্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির হবু রাজার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আশা করি কেন্দ্র এখন এটা অস্বীকার করবে না।’ কেরালার জন্য ৭০০ কোটি টাকার সাহায্য গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল চাপে ছিল মোদী সরকার। এ দিন সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বিজয়নকে বিঁধতে আসরে নেমে পড়ে বিজেপি। দলের কেরালার সভাপতি জানতে চান, ইউএই যখন বলছে তারা এখনও সাহায্যের অঙ্ক ঘোষণা করেনি, তা হলে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী ৭০০ কোটির কথা জানলেন কী ভাবে? বিজয়ন জানিয়েছেন, ইউসুফ আলি নামে এক প্রবাসী মালয়ালি শিল্পপতি তাঁকে জানিয়েছিলেন মোদী এবং শেখের মধ্যে ৭০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য নিয়ে কথা হয়েছে। সেই কথাই তিনি টুইটারে লিখেছিলেন। এ প্রসঙ্গে ১৮ অগস্ট মোদীর করা একটি টুইটের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, যাতে সাহায্যের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য ইউএই-র যুবরাজকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি অবশ্য এত সহজে বিজয়নকে রেহাই দিতে নারাজ। তাঁদের অভিযোগ, ৭০০ কোটির গল্প তৈরি করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিষাক্ত প্রচার অভিযানে নামা হয়েছিল।
ঘটনা হল, এখন ৭০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য নিয়ে বিজেপি কেরালার মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেও দু’দিন আগে মোদীর মন্ত্রিসভারই সদস্য কে জে আলফোন্স দাবি জানিয়েছিলেন, আমিরশাহি থেকে আসা ৭০০ কোটির আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করুক কেন্দ্র। এমনকী, বিদেশ মন্ত্রক টুইট করে এও জানিয়েছিল, নীতিগত কারণে তারা বিদেশি রাষ্ট্রের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নিতে পারবে না। তবে প্রবাসী কিংবা বিদেশি কেউ চাইলে প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থদান করতে পারেন। যাতে অনেকের মনে হয়েছিল, চাপের মুখে কেন্দ্র ঘুরপথে বিদেশি অর্থ নেওয়ার দরজা খুলে দিচ্ছে। তবে, আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব এখনও না এলেও, বিপুল পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী ইতিমধ্যেই কেরালার উদ্দেশে রওনা করে দিয়েছে ইউএই।
সূত্রঃ এই সময়

No comments

Powered by Blogger.