ইভিএম নিয়ে ইসিতে নানা আলোচনা
গণপ্রতিনিধিত্ব
আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধান
অন্তর্ভুক্তের বিষয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল
ইসলাম। তিনি জানান, আরপিওতে ইভিএম এর প্রভিশন (বিধান) রাখা হলে ভবিষ্যতে
নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা যাবে। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কী না তা নিশ্চিত করেননি এ কমিশনার।
গতকাল নির্বাচন কমিশনের ৩৫তম সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন। এর
আগে গতকাল সকাল ১০টায় কমিশন সভা শুরু হয়ে চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। নির্বাচন
কমিশনার ও ইসির আইন সংস্কার কমিটির সভাপতি কবিতা খানম ঢাকার বাইরে থাকায়
সভায় অংশ নিতে পারেননি। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল
হুদার গতকাল দুপুরের ফ্লাইটে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কর্মসূচি থাকায় সংক্ষিপ্ত
সভা শেষে তা মুলতবি করা হয়। আগামী ৩০শে আগস্ট পুনরায় কমিশন সভা অনুষ্ঠিত
হবে।
বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, কমিশন সভায় আরপিও সংশোধন করে ইভিএম এর বিধান অন্তর্ভুক্তের বিষয়ে মূল আলোচনা হয়। এছাড়া সভায় ইসির আইন পরামর্শক তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে- আরপিওর বিভিন্ন ধারায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী, বিভিন্ন সময়ে আরপিওর সংশোধনী একত্রিত করে নতুন রূপ দেয়া, আরপিও বাংলায় রূপান্তর করা। বৈঠকে আরপিও সংশোধনী একত্রিত করার বিষয়ে আপত্তি তোলেন ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা বৈঠকে বলেন, সামনে সংসদ নির্বাচন। নতুন আইন করার মতো পর্যাপ্ত সময় নেই। এ উদ্যোগ নিলে নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জানান, বৈঠকে আরপিওতে ইভিএম এর বিধান অন্তর্ভুক্তের বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, আইন পরামর্শক আরপিও সংশোধনে যেসব প্রস্তাব তুলেছেন, অনেক ক্ষেত্রে বর্তমান ইভিএম’র সঙ্গে সামঞ্জস্য নেই। এসব সংশোধন করা দরকার। আরপিওতে যেসব স্থানে ব্যালট শব্দ উল্লেখ রয়েছে, প্রায় সব স্থানে ব্যালট শব্দের সঙ্গে ইভিএম শব্দও যুক্ত করতে হবে। আরপিওতে সাজার বিধানগুলোতেও ইভিএম’র বিষয়টি যুক্ত করতে হবে। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে হলে এ সংক্রান্ত একটি বিধিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এসব সংশোধনীর বিষয়ে আগামী সভায় তোলার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আরপিওর মতো একটি আইনকে এত তাড়াহুড়ো করে চূড়ান্ত করার কথা চিন্তা করছি না। আমরা আরপিও সংশোধন নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। ভবিষ্যতে আরো আলোচনা করার পর চূড়ান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেবো। তিনি বলেন, যেসব ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন করা দরকার বলে মনে করছি, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইন সংস্কার কমিটি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেকগুলো পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করেছে। তবে আমরা এসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়ন করবো তা নয়, ধাপে ধাপে এগুলো নিয়ে অগ্রসর হবো।
আরপিওতে ইভিএম-এর বিধান অন্তর্ভুক্তের বিষয়ে তিনি বলেন, বৈঠকে ইভিএম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আরপিওতে ইভিএম ব্যবহারের প্রভিশন তৈরি করে রাখতে চাই। যাতে ভবিষ্যতে ইলেকট্রনিক মেশিন ব্যবহার করা যায়।
আগামী ৯ই সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। ওই অধিবেশনে আরপিও সংশোধন সম্ভব কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করবো যথাযথ রূপ দিয়ে আরপিও সংশোধনের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার। এরপর আইন মন্ত্রণালয় তা ভেটিং করে মন্ত্রিসভা ও জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবে। এসব প্রক্রিয়া সরকারের বিষয়, আমাদের বিষয় নয়। আমরা আরপিও সংশোধন করতেছি। যদি আমাদের কারণে বা অন্য কারণে সংশোধন না হলে বিদ্যমান আইন দিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচন হবে।
যদিও এর আগে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসি আরপিও সংশোধন করবে না। শুধুমাত্র ইভিএম-এর বিধান যুক্ত করবে।
বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, কমিশন সভায় আরপিও সংশোধন করে ইভিএম এর বিধান অন্তর্ভুক্তের বিষয়ে মূল আলোচনা হয়। এছাড়া সভায় ইসির আইন পরামর্শক তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে- আরপিওর বিভিন্ন ধারায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী, বিভিন্ন সময়ে আরপিওর সংশোধনী একত্রিত করে নতুন রূপ দেয়া, আরপিও বাংলায় রূপান্তর করা। বৈঠকে আরপিও সংশোধনী একত্রিত করার বিষয়ে আপত্তি তোলেন ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা বৈঠকে বলেন, সামনে সংসদ নির্বাচন। নতুন আইন করার মতো পর্যাপ্ত সময় নেই। এ উদ্যোগ নিলে নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জানান, বৈঠকে আরপিওতে ইভিএম এর বিধান অন্তর্ভুক্তের বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, আইন পরামর্শক আরপিও সংশোধনে যেসব প্রস্তাব তুলেছেন, অনেক ক্ষেত্রে বর্তমান ইভিএম’র সঙ্গে সামঞ্জস্য নেই। এসব সংশোধন করা দরকার। আরপিওতে যেসব স্থানে ব্যালট শব্দ উল্লেখ রয়েছে, প্রায় সব স্থানে ব্যালট শব্দের সঙ্গে ইভিএম শব্দও যুক্ত করতে হবে। আরপিওতে সাজার বিধানগুলোতেও ইভিএম’র বিষয়টি যুক্ত করতে হবে। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে হলে এ সংক্রান্ত একটি বিধিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এসব সংশোধনীর বিষয়ে আগামী সভায় তোলার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আরপিওর মতো একটি আইনকে এত তাড়াহুড়ো করে চূড়ান্ত করার কথা চিন্তা করছি না। আমরা আরপিও সংশোধন নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। ভবিষ্যতে আরো আলোচনা করার পর চূড়ান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেবো। তিনি বলেন, যেসব ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন করা দরকার বলে মনে করছি, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইন সংস্কার কমিটি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেকগুলো পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করেছে। তবে আমরা এসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়ন করবো তা নয়, ধাপে ধাপে এগুলো নিয়ে অগ্রসর হবো।
আরপিওতে ইভিএম-এর বিধান অন্তর্ভুক্তের বিষয়ে তিনি বলেন, বৈঠকে ইভিএম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আরপিওতে ইভিএম ব্যবহারের প্রভিশন তৈরি করে রাখতে চাই। যাতে ভবিষ্যতে ইলেকট্রনিক মেশিন ব্যবহার করা যায়।
আগামী ৯ই সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। ওই অধিবেশনে আরপিও সংশোধন সম্ভব কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করবো যথাযথ রূপ দিয়ে আরপিও সংশোধনের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার। এরপর আইন মন্ত্রণালয় তা ভেটিং করে মন্ত্রিসভা ও জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবে। এসব প্রক্রিয়া সরকারের বিষয়, আমাদের বিষয় নয়। আমরা আরপিও সংশোধন করতেছি। যদি আমাদের কারণে বা অন্য কারণে সংশোধন না হলে বিদ্যমান আইন দিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচন হবে।
যদিও এর আগে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসি আরপিও সংশোধন করবে না। শুধুমাত্র ইভিএম-এর বিধান যুক্ত করবে।
No comments