সিসিটিভি ফুটেজে মুহিবুর হত্যার দৃশ্য by ওয়েছ খছরু
সুইডেন
প্রবাসী মুহিবুর রহমান খুনের মিশনে অংশ নিয়েছে তিন যুবক। একটি মোটরসাইকেলে
আসা ওই যুবকরা মুহিবুর রহমানকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলের অদূরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে এ দৃশ্য ধরা পড়েছে। পুলিশের ধারণা,
পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে সুইডেন প্রবাসী মুহিবুর রহমানকে। তবে, খুনিরা
যে মোটরসাইকেলে পালিয়েছে সেটির নাম্বার ঝাপসা। এ কারণে সিলেট কোতোয়ালি
থানা পুলিশ নাম্বারের সটিকতা নির্ণয়ের জন্য সিআইডির কাছে ওই ফুটেজ
পাঠিয়েছে। এদিকে, মুহিবুর রহমান খুনের ঘটনায় সিলেটের মীরাবাজারের
আগপাড়াবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাড়ার ভেতরে এমন ঘটনায় তারা হতবাক। আর
খুনের ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও খুনিরা শনাক্ত না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে
স্থানীয়দের মধ্যে। তারা জানিয়েছেন, আগপাড়া এলাকায় মুহিবুর রহমানের কোনো
শত্রু ছিল না। নিজ বাড়ি জগন্নাথপুরের কাতিয়া এলাকার বিরোধ সংক্রান্ত কোনো
ঘটনায় এ খুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান তারা। পুলিশ বলছে, আপাতত তারা
খুনিদের সন্ধানে রয়েছে। আর পরিবার থেকে কোনো তথ্য দিলে সেগুলো তারা
যাচাই-বাছাই করবেন। ষাটোর্ধ্ব মুহিবুর রহমান সুইডেন প্রবাসী।
পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন বসবাস করেন সুইডেনে। নগরীর মীরাবাজারের আগপাড়া এলাকায় রয়েছে তার নিজস্ব বাসা। বাসা নম্বর আগপাড়া ১২৪। মূল বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলার কাতিয়ার অলইতলি গ্রাম। তার পিতা মৃত আইন উদ্দিন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মুহিবুর রহমান প্রায় সময় পরিবার পরিজনকে সুইডেনে রেখেই সিলেটে আসতেন। ঈদ-পার্বণকে সামনে রেখে তিনি দেশে বেশি আসতেন। দেশে এলেই নিজের বাড়ি জগন্নাথপুরের অলইতলি গ্রামে যাতায়াত করতেন বেশি। এবার প্রায় দুই মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন এবং কয়েকদিন তিনি জগন্নাথপুরের অলইতলির বাড়িতে যান। কখনো কখনো তার সঙ্গে আত্মীয় স্বজনও থাকতেন। পরিবারের লোকজনকে সুইডেনে রেখেই তিনি সিলেটে আসেন। ঈদকে সামনে রেখে তিনি কোরবানিরও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঘটনা ১৯শে আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে। সিসিটিভির ফুটেজ ঘেঁটে পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতে সুইডেন প্রবাসী মুহিবুর রহমান বাসা থেকে একাই বের হন। একটু দূরে আসার পর মোটরসাইকেলে আসা তিন যুবক তার ওপর হামলা চালায়। তারা মুহিবুরের মাথায় ও ঘাড়ে কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে ফের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
তবে, খুনের ঘটনার আগে থেকেই তারা ওই এলাকায় রেকি করছিল। মুহিবুর রহমানকে তারা ফলো করছিল বলে ফুটেজে প্রতীয়মান হয়। এদিকে, ঘটনার পরপরই মুহিবুর রহমানকে স্থানীয়রা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ঈদের দিন মধ্যরাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মুহিবুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় ২১শে আগস্ট তার স্বজন জোবায়ের আহমদ কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি হামলার ঘটনা উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ওই এজাহারকে হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে। এদিকে, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় পুলিশ ওই এলাকা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। কোতোয়ালি থানার ওসি রোকেয়া খানম গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, তিন যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে এসে প্রবাসী মুহিবুর রহমানের ওপর হামলা চালিয়েছে।
সেটি সিসিটিভি ফুটেজে ধারণ হয়েছে। হামলার পর খুনিরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের মুখ ও মোটরসাইকেলের নাম্বার ঝাপসা দেখা যায়। এ কারণে ওই ফুটেজটি সিআইডির কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ খুনের ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে কোনো তথ্য থাকলে সেটি পুলিশকে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, মোটরসাইকেলের নাম্বার পাওয়া গেলে তদন্ত অনেক এগিয়ে যাবে। স্থানীয় ১৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। পাড়ার ভেতরে এমন ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা চাই খুনিরা গ্রেপ্তার হোক। খুনের ঘটনার পর মুহিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা সুইডেন থেকে সিলেটে ফিরেছেন বলে জানান তিনি।
পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন বসবাস করেন সুইডেনে। নগরীর মীরাবাজারের আগপাড়া এলাকায় রয়েছে তার নিজস্ব বাসা। বাসা নম্বর আগপাড়া ১২৪। মূল বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলার কাতিয়ার অলইতলি গ্রাম। তার পিতা মৃত আইন উদ্দিন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মুহিবুর রহমান প্রায় সময় পরিবার পরিজনকে সুইডেনে রেখেই সিলেটে আসতেন। ঈদ-পার্বণকে সামনে রেখে তিনি দেশে বেশি আসতেন। দেশে এলেই নিজের বাড়ি জগন্নাথপুরের অলইতলি গ্রামে যাতায়াত করতেন বেশি। এবার প্রায় দুই মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন এবং কয়েকদিন তিনি জগন্নাথপুরের অলইতলির বাড়িতে যান। কখনো কখনো তার সঙ্গে আত্মীয় স্বজনও থাকতেন। পরিবারের লোকজনকে সুইডেনে রেখেই তিনি সিলেটে আসেন। ঈদকে সামনে রেখে তিনি কোরবানিরও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঘটনা ১৯শে আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে। সিসিটিভির ফুটেজ ঘেঁটে পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতে সুইডেন প্রবাসী মুহিবুর রহমান বাসা থেকে একাই বের হন। একটু দূরে আসার পর মোটরসাইকেলে আসা তিন যুবক তার ওপর হামলা চালায়। তারা মুহিবুরের মাথায় ও ঘাড়ে কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে ফের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
তবে, খুনের ঘটনার আগে থেকেই তারা ওই এলাকায় রেকি করছিল। মুহিবুর রহমানকে তারা ফলো করছিল বলে ফুটেজে প্রতীয়মান হয়। এদিকে, ঘটনার পরপরই মুহিবুর রহমানকে স্থানীয়রা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ঈদের দিন মধ্যরাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মুহিবুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় ২১শে আগস্ট তার স্বজন জোবায়ের আহমদ কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি হামলার ঘটনা উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ওই এজাহারকে হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে। এদিকে, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় পুলিশ ওই এলাকা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। কোতোয়ালি থানার ওসি রোকেয়া খানম গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, তিন যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে এসে প্রবাসী মুহিবুর রহমানের ওপর হামলা চালিয়েছে।
সেটি সিসিটিভি ফুটেজে ধারণ হয়েছে। হামলার পর খুনিরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের মুখ ও মোটরসাইকেলের নাম্বার ঝাপসা দেখা যায়। এ কারণে ওই ফুটেজটি সিআইডির কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ খুনের ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে কোনো তথ্য থাকলে সেটি পুলিশকে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, মোটরসাইকেলের নাম্বার পাওয়া গেলে তদন্ত অনেক এগিয়ে যাবে। স্থানীয় ১৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। পাড়ার ভেতরে এমন ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা চাই খুনিরা গ্রেপ্তার হোক। খুনের ঘটনার পর মুহিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা সুইডেন থেকে সিলেটে ফিরেছেন বলে জানান তিনি।
No comments