কী কারণে রাইফার মৃত্যু? by হুমায়ুন মাসুদ
‘যখন
কোনও শিশু সিআরওইউপি’তে (স্বরতন্ত্র ও শ্বাসনালীতে ব্যথা) আক্রান্ত হয় তখন
তার শ্বাসনালীটা ছোট হয়ে আসে। একপর্যায়ে সে আর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে
না। এতে তার মাথায় অক্সিজেন কমে যায়। এসময় শিশুটিকে ইনটিউবেশনের মাধ্যমে
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, রাইফার
ক্ষেত্রে দায়িত্বরত চিকিৎসক সে কাজটি করেননি। মাথায় অক্সিজেন কমে গিয়ে
শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পারার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’ চট্টগ্রামের নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিশু বিশেষজ্ঞ বাংলা ট্রিবিউনকে এই কথা বলেন। ‘ব্রিদিং
টিউব ইনটিউবেশন’ না করার কারণেই চট্টগ্রামে সাংবাদিক রুবেল খানের মেয়ে
রাইফা খানের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে শিশুরোগ নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চিকিৎসা শাস্ত্রের নিয়ম মেনে রাইফাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি, যে কারণে অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে শিশুটিকে।’ বিএমএ নেতাদের রোষানলে পড়বেন এই ভয়ে তিনি নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
রাইফার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ম্যাক্স হাসপাতালে রাইফাকে চিকিৎসক যে ধরনের চিকিৎসা প্রেসক্রাইব করেছেন তাতে ইনটিউবেশনের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। উল্টো সেখানে ‘রফেসিন’ নামে অ্যান্টিবায়েটিক ইনজেকশনটি বারবার দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকায় কর্মরত একটি সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রোগীর যতক্ষণ প্রয়োজন না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত চিকিৎসক ইনটিউবেশন প্রেসক্রাইব করেন না। তবে সাধারণত অসুস্থ শিশুকে সুস্থ করার জন্য অ্যান্টিবায়েটিক দিয়েই চিকিৎসা চালিয়ে যান। রোগীর কাছে উপস্থিত চিকিৎসকই একমাত্র বলতে পারেন রোগীর কখন ইনটিউবেশন লাগবে। যদি চিকিৎসক দেখেন টিউব না লাগালে রোগীর জিহ্বা কেটে যেতে পারে এবং তার শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে তখন ইনটিউবেশন সাজেস্ট করেন। তবে এই শিশুর ক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটেছিল আমি তা বলতে পারবো না।’
এ সম্পর্কে জানতে রাইফাকে চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তার বিধান রায় চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। দায়িত্বরত ডাক্তার দেবাশিষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলা ট্র্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনার পর বিএমএ চট্টগ্রাম শাখা ও সাংবাদিকদের যৌথ বৈঠকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে আমাকে রাখা হয়েছে তাই এ বিষয়ে আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারবো না। এ বিষয়ে আমার কমেন্ট করা উচিত হবে না।’
স্বরতন্ত্র ও শ্বাসনালীতে ব্যথা নিয়ে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল রাফিদা খান রাইফাকে। চিকিৎসা শাস্ত্রে এই রোগটিকে সিআরওইউপি (CROUP) বলা হয়ে থাকে। এখানে সি (C) দিয়ে কফ, আর (R)দিয়ে রেস্টলেসনেস, ও (O) দিয়ে আউট অফ ব্রেথিং, ইউ (U) দিয়ে আনইউজাল সাউন্ড এবং পি (P) দিয়ে পেইন অ্যান্ড পাইরেটিককে বোঝানো হয়েছে। সাধারণত এই রোগটি হলে একজন রোগী এসব জটিলতায় ভোগেন। রাইফাও এসব জটিলতায় ভুগছিল। চিকিৎসাশাস্ত্র মেনে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হলে হয়তো আড়াই বছর বয়সী এই শিশুটি বেঁচে যেতো। কিন্তু ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে এই শিশুটিকে।
চিকিৎসা সর্ম্পকিত ওয়েবসাইট ‘মাইও ক্লিনিক’ (MAYO CLINIC)-এ বলা হয়েছে, ৬ মাস থেকে ৬ বছর পর্যন্ত শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। স্বাভাবিক প্রদাহের ক্ষেত্রে বাসায় রেখে পরিচর্যার মাধ্যমে শিশুটি সেরে ওঠে। কিন্তু রোগটি যখন খারাপ রূপ ধারণ করে তখন শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। নির্ধারিত চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি এসময় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার জন্য আক্রান্ত শিশুটিকে অস্থায়ী ব্রিদিং টিউব ইনটিউবেশন করতে হয়।
চিকিৎসাশাস্ত্রে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে ইনটিউবেশনের কথা থাকলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রাইফাকে এনআইসিইউতে রেখে ইনটিউবেশন করা হয়নি। উল্টো খুব বেশি প্রয়োজন না হলে অ্যান্টিবায়েটিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও রাইফাকে দু’দফায় অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এসব কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
সাংবাদিক রুবেল খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গলা ব্যথা ও জ্বরের কারণে আমার মেয়েকে বৃহস্পতিবার বিকালে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করাই। সে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বিধান রায় চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে দায়িত্বরত চিকিৎসক আমার মেয়েকে বেবি স্যালাইন দেওয়ার পাশাপাশি একটি অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেন। ওই ইনজেকশনটি পুশ করার পর তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়। ব্যাপারটি দায়িত্বরত চিকিৎসককে জানালে তিনি এই ওষুধ দিতে হবে বলে জানান এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।’
রুবেল খান বলেন, ‘শুক্রবার দিনভর আমার মেয়ে হাসিখুশি ছিল। কিন্তু রাতে আবারও আমার মেয়েকে একই ওষুধ দেওয়া হয়। এরপর তার খিঁচুনি শুরু হয়। এতে আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশীষ এসে রাইফাকে সেডিল ইনজেকশন দেন। কিছুক্ষণ পর আমার মেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।’
রুবেল খান বলেন, ‘খিঁচুনি শুরুর এক ঘণ্টা পর আমার মেয়েকে সেডিল ইনজেকশন দেওয়া হয়। কিন্তু, এই এক ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকরা অন্য কোনও চেষ্টা করেননি। দায়িত্বরত চিকিৎসক অবশ্যই আমার মেয়ের চিকিৎসায় অবহেলা করেছেন। আমার মেয়েকে তারা হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। যাতে আর কোনও পিতা সন্তানহারা না হন।’
রবিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আসা তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের কাছে রাইফার চিকিৎসার বিবরণ তুলে ধরেন হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার লিয়াকত আলী। ওই বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘তাকে (রাইফা) নিয়ম মেনে চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত তাকে বাঁচানো যায়নি।’
এসময় কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কোনও সঠিক তথ্য তুলে ধরতে পারেননি তিনি। পরে এক পর্যায়ে তদন্ত করে দায়িত্বরত চিকিৎসকদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে শিশুরোগ নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চিকিৎসা শাস্ত্রের নিয়ম মেনে রাইফাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি, যে কারণে অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে শিশুটিকে।’ বিএমএ নেতাদের রোষানলে পড়বেন এই ভয়ে তিনি নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
রাইফার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ম্যাক্স হাসপাতালে রাইফাকে চিকিৎসক যে ধরনের চিকিৎসা প্রেসক্রাইব করেছেন তাতে ইনটিউবেশনের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। উল্টো সেখানে ‘রফেসিন’ নামে অ্যান্টিবায়েটিক ইনজেকশনটি বারবার দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকায় কর্মরত একটি সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রোগীর যতক্ষণ প্রয়োজন না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত চিকিৎসক ইনটিউবেশন প্রেসক্রাইব করেন না। তবে সাধারণত অসুস্থ শিশুকে সুস্থ করার জন্য অ্যান্টিবায়েটিক দিয়েই চিকিৎসা চালিয়ে যান। রোগীর কাছে উপস্থিত চিকিৎসকই একমাত্র বলতে পারেন রোগীর কখন ইনটিউবেশন লাগবে। যদি চিকিৎসক দেখেন টিউব না লাগালে রোগীর জিহ্বা কেটে যেতে পারে এবং তার শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে তখন ইনটিউবেশন সাজেস্ট করেন। তবে এই শিশুর ক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটেছিল আমি তা বলতে পারবো না।’
এ সম্পর্কে জানতে রাইফাকে চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তার বিধান রায় চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। দায়িত্বরত ডাক্তার দেবাশিষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলা ট্র্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনার পর বিএমএ চট্টগ্রাম শাখা ও সাংবাদিকদের যৌথ বৈঠকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে আমাকে রাখা হয়েছে তাই এ বিষয়ে আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারবো না। এ বিষয়ে আমার কমেন্ট করা উচিত হবে না।’
স্বরতন্ত্র ও শ্বাসনালীতে ব্যথা নিয়ে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল রাফিদা খান রাইফাকে। চিকিৎসা শাস্ত্রে এই রোগটিকে সিআরওইউপি (CROUP) বলা হয়ে থাকে। এখানে সি (C) দিয়ে কফ, আর (R)দিয়ে রেস্টলেসনেস, ও (O) দিয়ে আউট অফ ব্রেথিং, ইউ (U) দিয়ে আনইউজাল সাউন্ড এবং পি (P) দিয়ে পেইন অ্যান্ড পাইরেটিককে বোঝানো হয়েছে। সাধারণত এই রোগটি হলে একজন রোগী এসব জটিলতায় ভোগেন। রাইফাও এসব জটিলতায় ভুগছিল। চিকিৎসাশাস্ত্র মেনে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হলে হয়তো আড়াই বছর বয়সী এই শিশুটি বেঁচে যেতো। কিন্তু ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে এই শিশুটিকে।
চিকিৎসা সর্ম্পকিত ওয়েবসাইট ‘মাইও ক্লিনিক’ (MAYO CLINIC)-এ বলা হয়েছে, ৬ মাস থেকে ৬ বছর পর্যন্ত শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। স্বাভাবিক প্রদাহের ক্ষেত্রে বাসায় রেখে পরিচর্যার মাধ্যমে শিশুটি সেরে ওঠে। কিন্তু রোগটি যখন খারাপ রূপ ধারণ করে তখন শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। নির্ধারিত চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি এসময় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার জন্য আক্রান্ত শিশুটিকে অস্থায়ী ব্রিদিং টিউব ইনটিউবেশন করতে হয়।
চিকিৎসাশাস্ত্রে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে ইনটিউবেশনের কথা থাকলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রাইফাকে এনআইসিইউতে রেখে ইনটিউবেশন করা হয়নি। উল্টো খুব বেশি প্রয়োজন না হলে অ্যান্টিবায়েটিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও রাইফাকে দু’দফায় অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এসব কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
সাংবাদিক রুবেল খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গলা ব্যথা ও জ্বরের কারণে আমার মেয়েকে বৃহস্পতিবার বিকালে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করাই। সে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বিধান রায় চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে দায়িত্বরত চিকিৎসক আমার মেয়েকে বেবি স্যালাইন দেওয়ার পাশাপাশি একটি অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেন। ওই ইনজেকশনটি পুশ করার পর তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়। ব্যাপারটি দায়িত্বরত চিকিৎসককে জানালে তিনি এই ওষুধ দিতে হবে বলে জানান এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।’
রুবেল খান বলেন, ‘শুক্রবার দিনভর আমার মেয়ে হাসিখুশি ছিল। কিন্তু রাতে আবারও আমার মেয়েকে একই ওষুধ দেওয়া হয়। এরপর তার খিঁচুনি শুরু হয়। এতে আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশীষ এসে রাইফাকে সেডিল ইনজেকশন দেন। কিছুক্ষণ পর আমার মেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।’
রুবেল খান বলেন, ‘খিঁচুনি শুরুর এক ঘণ্টা পর আমার মেয়েকে সেডিল ইনজেকশন দেওয়া হয়। কিন্তু, এই এক ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকরা অন্য কোনও চেষ্টা করেননি। দায়িত্বরত চিকিৎসক অবশ্যই আমার মেয়ের চিকিৎসায় অবহেলা করেছেন। আমার মেয়েকে তারা হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। যাতে আর কোনও পিতা সন্তানহারা না হন।’
রবিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আসা তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের কাছে রাইফার চিকিৎসার বিবরণ তুলে ধরেন হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার লিয়াকত আলী। ওই বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘তাকে (রাইফা) নিয়ম মেনে চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত তাকে বাঁচানো যায়নি।’
এসময় কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কোনও সঠিক তথ্য তুলে ধরতে পারেননি তিনি। পরে এক পর্যায়ে তদন্ত করে দায়িত্বরত চিকিৎসকদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
No comments