রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: চীন চায় দ্রুত প্রক্রিয়া বাংলাদেশের চাওয়া সুষ্ঠু পরিবেশ by মিজানুর রহমান
রোহিঙ্গা
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার তাগিদ দিচ্ছে চীন। প্রত্যাবাসন
প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর কোনো জটিলতা হলে তা নিরসনে মধ্যস্থতার সুনির্দিষ্ট
প্রস্তাবও দিয়েছে বেইজিং। চীন চায় প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ যে ৮ হাজার
৩২ জনের তালিকা পাঠিয়েছে তার মধ্য থেকে যাদেরকে গ্রহণে মিয়ানমার অনাপত্তি
দিয়েছে, তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হোক। যাচাই-বাছাইকৃত তালিকা থেকে এক বা
একাধিক ব্যাচে তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঠানো শুরু হোক। সরকারি সূত্র
বলছে- চীনের এ প্রস্তাব ও তাগিদের বিষয়ে ঢাকা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বেইজিংকে
কিছু বলেনি। সরকারি নীতি নির্ধারণী মহলে বিষয়টি আলোচনা-পর্যালোচনা হচ্ছে।
প্রত্যাবাসন সংশ্লিষ্ট সরকারি এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, চীন যেভাবে
চায় সেভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রায় অসম্ভব। কারণ প্রত্যাবাসনের
আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে এটি স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং
টেকসই হতে হবে।
বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসী তা-ই চায়। এমনকি রোহিঙ্গারা, যারা যাবে তারাও নিরাপত্তার গ্যারান্টি এবং অধিকারের নিশ্চয়তা না পেলে যাওয়ার জন্য রাজি হবে না। তাদের তো জোর করে পাঠানো যাবে না মন্তব্য করে এক কর্মকর্তা বলেন- বাংলাদেশ চীনের পরামর্শ, তাগিদ ও প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে আমলে নিয়েছে। তবে সেই সঙ্গে দরকষাকষিও চলছে। চীনের পরামর্শেই বহুপক্ষীয় উদ্যোগ থেকে সরে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই হয়েছে। যদিও এ নিয়ে পেশাদার কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণ ও ভিন্ন বক্তব্য ছিল। এখন সেই চুক্তি মতেই পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। এতে প্রক্রিয়ায় কিছুটা দেরি হলেও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতেই মনোযোগ ঢাকার। অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের এখানে কিছুই চাওয়ার নেই। আমরা কামনা করতে পারি আর তাগিদ দিতে পারি। কারণ, প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে তারা চুক্তির শর্ত মতে রাখাইনে আদি রোহিঙ্গা এলাকায় অথবা তাদের পছন্দের জায়গায় তারা বাড়িঘর তৈরিসহ ফিরে যেতে প্রস্তুত বাস্তুচ্যুতদের জন্য নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং বসবাসের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করুক। চুক্তিতে এ নিয়ে মিয়ানমারের স্পষ্ট অঙ্গীকার রয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন হওয়ার পর অন্তত অবকাঠামো দৃশ্যমান হওয়ার এবং রাজনৈতিক পর্যায় থেকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি পেলেই রোহিঙ্গারা যেতে রাজি হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে চীনের তাগিদ ও মধ্যস্থতা প্রস্তাব প্রশ্নে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গতকাল মানবজমিনকে বলেন, চীন যেমন চায় আমরাও চাই প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করতে। কিন্তু সংকট হচ্ছে রাখাইনে এখনও রোহিঙ্গাদের বসবাসের অনুকূল পরিবেশ তৈরির কোনো তথ্য মিয়ানমার শেয়ার করেনি। মিয়ানমার প্রায়ই বলে তারা যাচাইকৃতদের গ্রহণে প্রস্তুত।
বাংলাদেশ তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে না। এটা ইয়াংগুনের স্ট্যান্ডবাজি। আদৌ তারা তাদের গ্রহণে প্রস্তুত কি না- এ নিয়ে কেবল বাংলাদেশ নয়, গোটা দুনিয়ার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সদ্য সমাপ্ত (২৮-৩০শে জুন) চীন সফরে সঙ্গে থাকা এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, বেইজিংয়ে গত ২৯শে জুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তা চাওয়া এবং পাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ঢাকায় আসা চীনের বিশেষ দূত সান গোসিয়াং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুততর করার কথা বলেছিলেন। মন্ত্রী ওয়াং ই ও তা-ই বলেছেন। সেখানে মিয়ানমারের ভাষ্য বা প্রচারণা যে তারা যাচাই-বাছাইকৃতদের গ্রহণে প্রস্তুত সেটি জানিয়ে চীনের প্রতিনিধিরা বলেন, প্রথম ব্যাচ পাঠানোর পর কোনো জটিলতা হলে তা নিরসন সহজ হবে। প্রয়োজনে আমরাও মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলবো। আগে শুরু হোক। সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশের তরফে চুক্তি অনুযায়ী ফেরত যাওয়ার আগে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও বসবাসের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ চাইছে, আগে পরিবেশ নিশ্চিত হোক- পরে প্রত্যাবাসন শুরু করতে।
বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসী তা-ই চায়। এমনকি রোহিঙ্গারা, যারা যাবে তারাও নিরাপত্তার গ্যারান্টি এবং অধিকারের নিশ্চয়তা না পেলে যাওয়ার জন্য রাজি হবে না। তাদের তো জোর করে পাঠানো যাবে না মন্তব্য করে এক কর্মকর্তা বলেন- বাংলাদেশ চীনের পরামর্শ, তাগিদ ও প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে আমলে নিয়েছে। তবে সেই সঙ্গে দরকষাকষিও চলছে। চীনের পরামর্শেই বহুপক্ষীয় উদ্যোগ থেকে সরে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই হয়েছে। যদিও এ নিয়ে পেশাদার কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণ ও ভিন্ন বক্তব্য ছিল। এখন সেই চুক্তি মতেই পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। এতে প্রক্রিয়ায় কিছুটা দেরি হলেও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতেই মনোযোগ ঢাকার। অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের এখানে কিছুই চাওয়ার নেই। আমরা কামনা করতে পারি আর তাগিদ দিতে পারি। কারণ, প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে তারা চুক্তির শর্ত মতে রাখাইনে আদি রোহিঙ্গা এলাকায় অথবা তাদের পছন্দের জায়গায় তারা বাড়িঘর তৈরিসহ ফিরে যেতে প্রস্তুত বাস্তুচ্যুতদের জন্য নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং বসবাসের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করুক। চুক্তিতে এ নিয়ে মিয়ানমারের স্পষ্ট অঙ্গীকার রয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন হওয়ার পর অন্তত অবকাঠামো দৃশ্যমান হওয়ার এবং রাজনৈতিক পর্যায় থেকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি পেলেই রোহিঙ্গারা যেতে রাজি হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে চীনের তাগিদ ও মধ্যস্থতা প্রস্তাব প্রশ্নে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গতকাল মানবজমিনকে বলেন, চীন যেমন চায় আমরাও চাই প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করতে। কিন্তু সংকট হচ্ছে রাখাইনে এখনও রোহিঙ্গাদের বসবাসের অনুকূল পরিবেশ তৈরির কোনো তথ্য মিয়ানমার শেয়ার করেনি। মিয়ানমার প্রায়ই বলে তারা যাচাইকৃতদের গ্রহণে প্রস্তুত।
বাংলাদেশ তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে না। এটা ইয়াংগুনের স্ট্যান্ডবাজি। আদৌ তারা তাদের গ্রহণে প্রস্তুত কি না- এ নিয়ে কেবল বাংলাদেশ নয়, গোটা দুনিয়ার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সদ্য সমাপ্ত (২৮-৩০শে জুন) চীন সফরে সঙ্গে থাকা এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, বেইজিংয়ে গত ২৯শে জুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তা চাওয়া এবং পাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ঢাকায় আসা চীনের বিশেষ দূত সান গোসিয়াং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুততর করার কথা বলেছিলেন। মন্ত্রী ওয়াং ই ও তা-ই বলেছেন। সেখানে মিয়ানমারের ভাষ্য বা প্রচারণা যে তারা যাচাই-বাছাইকৃতদের গ্রহণে প্রস্তুত সেটি জানিয়ে চীনের প্রতিনিধিরা বলেন, প্রথম ব্যাচ পাঠানোর পর কোনো জটিলতা হলে তা নিরসন সহজ হবে। প্রয়োজনে আমরাও মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলবো। আগে শুরু হোক। সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশের তরফে চুক্তি অনুযায়ী ফেরত যাওয়ার আগে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও বসবাসের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ চাইছে, আগে পরিবেশ নিশ্চিত হোক- পরে প্রত্যাবাসন শুরু করতে।
No comments