বুলডোজার দিয়ে রোহিঙ্গা নির্যাতনের আলামত নষ্ট করছে মিয়ানমার: এইচআরডব্লিউ
মিয়ানমারের
রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে জনশূন্য হয়ে পড়া রোহিঙ্গা গ্রামগুলো
বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হিউম্যান
রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। তাদের দাবি, মিয়ানমার মূলত রোহিঙ্গা নির্যাতনের
আলামত নষ্ট করছে।
'ডিজিটাল গ্লোব' নামে একটি প্রতিষ্ঠানের তোলা স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে গত বছরের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত উত্তর রাখাইনে অন্তত ৫৫টি রোহিঙ্গা গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার অকাট্য প্রমাণ হাজির করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি। অবশ্য মিয়ানমার দাবি করেছে, সংঘাত-সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত রাখাইন রাজ্য পুনর্গঠনের অংশ হিসেবেই এসব গ্রাম নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
এদিকে, রোহিঙ্গা সংকটের ছয় মাস পূর্তিতে শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইউনিসেফ বলেছে, আসন্ন ঝড়ো মৌসুম ও সহিংসতার কারণে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে থাকা কমপক্ষে ৭ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি শিশু ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের সহায়তা করতে জরুরি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
এইচআরডব্লিউর অভিযোগ, উত্তর রাখাইনে ভারি যন্ত্র ব্যবহার করে ৫৫টি জনশূন্য রোহিঙ্গা গ্রাম, স্থাপনা এমনকি ফসলের ক্ষেত গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার সরকার এমনটা করছে, কারণ তারা সেখানে সেনাবাহিনীর নৃশংসতার প্রমাণ মুছে ফেলতে চায়। তাই অবিলম্বে নিরাপত্তা পরিষদসহ জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা ও দাতাদের উচিত মিয়ানমার সরকারকে এই তৎপরতা বন্ধ করতে বলা। এর আগেও আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গাদের শত শত গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, 'গুঁড়িয়ে দেওয়া গ্রামগুলো রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার চিহ্ন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এক সময় সেখানে যে রোহিঙ্গাদের বসবাস ছিল, তাদের স্মৃতি এবং আইনি অধিকারের চিহ্ন এখন বুলডোজার দিয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে। তবে এগুলো সংরক্ষণ করা খুবই জরুরি। কারণ এসব আলামত জাতিসংঘের নিযুক্ত বিশেষজ্ঞদের সেই সময়ের অপরাধগুলো যথাযথভাবে নথিবদ্ধ করার জন্য অপরিহার্য। এর মধ্য দিয়েই দোষীদের চিহ্নিত করা সম্ভব। কিন্তু এভাবে অপরাধের আলামত ধ্বংসের চেষ্টা ন্যায়বিচারের পথে বাধা।'
সংস্থাটি আরও জানায়, উত্তর রাখাইনের মিন হল্ট এলাকার দুটি গ্রামের স্যাটেলাইট ছবি তাদের হাতে এসেছে, যেগুলো গত বছর সেনাবাহিনীর অগ্নিসংযোগের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল। গত কিছু দিনে খুব সম্ভবত সেগুলো আবার বসবাসের উপযোগী অবস্থায় পৌঁছেছিল। কিন্তু সেই গ্রাম দুটিও গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইউনিসেফ বলছে, আসন্ন ঝড়ো মৌসুম ও সহিংসতায় মিয়ানমার ও বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে থাকা লাখ লাখ রোহিঙ্গা শিশুর জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে। ঘূর্ণিঝড় মৌসুমে সৃষ্ট বন্যায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে জরাজীর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো প্লাবিত হতে পারে। এতে সেখানে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়বে। এছাড়া ক্লিনিক, শিক্ষাকেন্দ্র ও শিশুদের জন্য চালু করা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
অন্যদিকে, রাখাইনে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের হেগে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
'ডিজিটাল গ্লোব' নামে একটি প্রতিষ্ঠানের তোলা স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে গত বছরের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত উত্তর রাখাইনে অন্তত ৫৫টি রোহিঙ্গা গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার অকাট্য প্রমাণ হাজির করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি। অবশ্য মিয়ানমার দাবি করেছে, সংঘাত-সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত রাখাইন রাজ্য পুনর্গঠনের অংশ হিসেবেই এসব গ্রাম নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
এদিকে, রোহিঙ্গা সংকটের ছয় মাস পূর্তিতে শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইউনিসেফ বলেছে, আসন্ন ঝড়ো মৌসুম ও সহিংসতার কারণে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে থাকা কমপক্ষে ৭ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি শিশু ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের সহায়তা করতে জরুরি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
এইচআরডব্লিউর অভিযোগ, উত্তর রাখাইনে ভারি যন্ত্র ব্যবহার করে ৫৫টি জনশূন্য রোহিঙ্গা গ্রাম, স্থাপনা এমনকি ফসলের ক্ষেত গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার সরকার এমনটা করছে, কারণ তারা সেখানে সেনাবাহিনীর নৃশংসতার প্রমাণ মুছে ফেলতে চায়। তাই অবিলম্বে নিরাপত্তা পরিষদসহ জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা ও দাতাদের উচিত মিয়ানমার সরকারকে এই তৎপরতা বন্ধ করতে বলা। এর আগেও আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গাদের শত শত গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, 'গুঁড়িয়ে দেওয়া গ্রামগুলো রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার চিহ্ন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এক সময় সেখানে যে রোহিঙ্গাদের বসবাস ছিল, তাদের স্মৃতি এবং আইনি অধিকারের চিহ্ন এখন বুলডোজার দিয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে। তবে এগুলো সংরক্ষণ করা খুবই জরুরি। কারণ এসব আলামত জাতিসংঘের নিযুক্ত বিশেষজ্ঞদের সেই সময়ের অপরাধগুলো যথাযথভাবে নথিবদ্ধ করার জন্য অপরিহার্য। এর মধ্য দিয়েই দোষীদের চিহ্নিত করা সম্ভব। কিন্তু এভাবে অপরাধের আলামত ধ্বংসের চেষ্টা ন্যায়বিচারের পথে বাধা।'
সংস্থাটি আরও জানায়, উত্তর রাখাইনের মিন হল্ট এলাকার দুটি গ্রামের স্যাটেলাইট ছবি তাদের হাতে এসেছে, যেগুলো গত বছর সেনাবাহিনীর অগ্নিসংযোগের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল। গত কিছু দিনে খুব সম্ভবত সেগুলো আবার বসবাসের উপযোগী অবস্থায় পৌঁছেছিল। কিন্তু সেই গ্রাম দুটিও গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বুলডোজার দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইউনিসেফ বলছে, আসন্ন ঝড়ো মৌসুম ও সহিংসতায় মিয়ানমার ও বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে থাকা লাখ লাখ রোহিঙ্গা শিশুর জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে। ঘূর্ণিঝড় মৌসুমে সৃষ্ট বন্যায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে জরাজীর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো প্লাবিত হতে পারে। এতে সেখানে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়বে। এছাড়া ক্লিনিক, শিক্ষাকেন্দ্র ও শিশুদের জন্য চালু করা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
অন্যদিকে, রাখাইনে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের হেগে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
No comments