মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তদন্ত ‘চোখে ধুলো দেওয়া’র প্রচেষ্টা : অ্যামনেস্টি
রোহিঙ্গা নির্যাতনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তদন্ত প্রতিবেদনকে 'চোখে ধুলো দেওয়া'র প্রচেষ্টা বলছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আর জাতিসংঘ বলেছে 'হোয়াইটওয়াশ'।
সোমবার সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং তার ফেসবুক পেজে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইনে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ-যৌন নিপীড়ন ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তদন্ত শুরু করে।
তবে তদন্ত প্রতিবেদনকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের গ্রামে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা, ধর্ষণ বা বন্দিদের নির্যাতনের যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রোহিঙ্গাদের গ্রামে আগুন দেওয়া ও মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগেরও অভিযোগ অস্বীকার করা হয় তাতে।
প্রতিবেদনে হত্যাযজ্ঞ যৌন নিপীড়ন ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো দোষ চাপিয়েছে 'বাঙালি সন্ত্রাসী'দের ওপর।
গেলো ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০টি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর নির্বিচার নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই নিপীড়নকে 'জাতিগত নিধনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ' বলেছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা নির্মম হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ ও গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার বিবরণ দিয়েছেন। নির্যাতন বন্ধে আন্তর্জাতিক মহল থেকে অং সাং সু চি সরকারের ওপর অব্যাহত চাপ থাকলেও দেশটির সেনাবাহিনী নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছে।
No comments