যৌনচক্রে বন্দি ১২ মাস
কেটি
ল্যাং (২৭)। এই যুবতী ১২ মাস বন্দি ছিলেন একটি যৌনচক্রে। তাকে দিয়ে
পতিতাবৃত্তি করানো হয়েছে কুইন্সল্যান্ড, দুবাই, আবু ধাবি এমনকি
যুক্তরাষ্ট্রে। তার সঙ্গে এ সময় ব্যবহার করা হতো ক্রীতদাসীর মতো। তিনি
বন্দি ছিলেন ডামিওন সেন্ট প্যাট্রিক ব্যাসটনের যৌনচক্রে। সে জামাইকার একজন
পর্যটক। তার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন কেটি ল্যাং। তারপর থেকেই তাকে যৌনতার
ফাঁদে আটকে ফেলা হয়। অস্ট্রেলিয়ার সিক্সটি মিনিটস শোতে এসব কথা বলেছেন কেটি
ল্যাং। বলেছেন, এখনও মনে আছে বস্টনে যখন তিনি প্যাট্রিকের কথায় শারীরিক
সম্পর্ক গড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তখন কিভাবে তার ওপর হামলা হয়েছিল। কেট
বলেন, সে লাফিয়ে উঠে আমার গলা চেপে ধরে। আমাকে ছুড়ে ফেলে। প্যাট্রিক
ব্যাস্টন সাবেক একজন পুরুষ স্ট্রিপার। তাকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার
করা হয়। তাকে ফ্লোরিডায় যৌনচক্রে পাচার সহ ২১টি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
এর ফলে সেখানে তাকে ২৭ বছরের জেল দেয়া হয়। তার সম্পর্কে কেটি ল্যাং বলেন,
তাকে দেখে আমি সব সময় থাকতাম ভীতসন্ত্রস্ত্র। সে শুধু আমাকেই আঘাত করতো না।
একই সঙ্গে আমার পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দিতে। সে সব সময়ই বলতো- আমি
জানি তোমার পরিবারের সদস্যরা কোথায় আছে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই আমার যা
হবার হোক, আমার পরিবারের যেন কোন ক্ষতি না হয়। ফলে বাধ্য হয়ে তার হাতে
আমাকে তুলে দিই। প্যাট্রিক ব্যাস্টনের বিরুদ্ধে একই রকম সাক্ষ্য দিয়েছেন
আরও ৫ নারী। তারাও বলেছেন, তাদেরকেও দেহ ব্যবসায়ী বানানো হয়েছিল। অর্থের
বিনিময়ে নর্তকী বানানো হয়েছিল। কেটি ল্যাং বলেন, একবার সে আমাকে দুবাই নিয়ে
আসে। আমার আত্মীয়দের ক্ষতি হতে পারে এ ভয়ে তার সঙ্গে দুবাই যেতে রাজি হই।
সেখানে নিয়ে আমাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো হয়। এক বছর পরে কেটি ল্যাং
অস্ট্রেলিয়া ফেরেন তার ভিসা নবায়নের জন্য। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাকে এ সময়
প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি প্যাট্রিক ব্যাস্টনের বিরুদ্ধে
সব তথ্য প্রকাশ করে দেন।
No comments