প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা ইউনূস সেন্টারের
বুধবার
সংসদে দেয়া বক্তৃতায় ড. ইউনূসকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
বক্তব্যের ব্যাখ্যা পাঠিয়েছে ইউনূস সেন্টার। সংবাদপত্রে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে
ইউনূস সেন্টার জানিয়েছে, গতকাল ও আজ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী ৯ই সেপ্টেম্বর বুধবার জাতীয় সংসদে বক্তৃতা কালে নোবেল শান্তি
পুরস্কার জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি পরোক্ষে ইঙ্গিত করে তাঁকে
সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন বলে সংবাদ
প্রচারিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী জিএসপি সুবিধা
বাতিল বিষয়ে বলেছেন যে, ‘কোন পরাশক্তি নয়, দেশের অভ্যন্তরের অশুভ শক্তিই
জিএসপি সুবিধা বাতিলের পেছনে ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আরেকজন ব্যক্তি, যিনি
আইনী যুদ্ধে একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ হারিয়ে অত্যন্ত
ক্ষুদ্ধ হন,’ এবং ‘সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণায় লিপ্ত হন।’
পত্রিকার ভাষ্য অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কেই এসব কথা বলেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এই অসত্য অভিযোগে আমরা দুঃখিত ও হতাশ হয়েছি। কোনরকম প্রমাণ উপন্থাপন ব্যতিরেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপন অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজে তাঁর সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের পরিপন্থি কোন কাজ তিনি কখনোই করতে পারেন না। তিনি সবসময় বাংলাদেশের স্বার্থ ও সাফল্যের জন্য কাজ করেছেন এবং এই দেশকে উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের একটি মডেল হিসেবে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে গেছেন। তিনি দেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণায় নেমেছেন, এ ধরনের অভিযোগ শুধু মিথ্যাচারই নয়, দুর্ভাগ্যজনকও।
দেশের জন্য এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রফেসর ইউনূসের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য আছে। এগুলো দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি করে। আমরা আরো আগেই এই ধরনের অভিযোগের বিস্তারিত জবাব দিয়েছি। আমাদের বক্তব্য মিডিয়াতে সবিস্তারে প্রচারও করা হয়েছে। এটা দুঃখজনক যে, আমাদের সেসব বক্তব্য বিবেচনায় না নিয়ে একই রকম অসত্য অভিযোগ আবারো করা হচ্ছে।
প্রফেসর ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা এবং তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় এই ব্যাংকটি দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নের একটি রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছেÑ এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য। প্রফেসর ইউনূস এই ব্যাংকটির শুধু প্রতিষ্ঠাতাই নন, তিনি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ব্যাংকটিকে একটি বিশ্বনন্দিত ব্যাংক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। যার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে নোবেল পুরস্কারসহ অগণিত পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে। সারা পৃথিবীর মানুষ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে চেনে তাঁর নিজের পরিচয়ে - কোন ব্যাংকের এমডি হিসেবে নয়। ফলে ‘ব্যাংকের সামান্য এমডি’র পদ হারানোর পর ক্ষিপ্ত হয়ে’ ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার কাজে নেমে পড়েছেন - এই অভিযোগ শুধু ভিত্তিহীনই নয়, হাস্যকরও। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ ‘ধরে রাখতে’ হিলারি ক্লিনটনের দ্বারস্থ হবার অভিযাগটিও একই কারণে সমান হাস্যকর। আমরা এই অভিযোগের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রফেসর ইউনূস বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে এক হয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার চেষ্টা করেছেন - এই অভিযোগও একান্তই অবান্তব। কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রফেসর ইউনূসের কোন কালেই কোন সংশ্রব ছিল না এবং এখনো নেই - এ কথা সকলেই জানেন।
একটি পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘(তিনি) বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য অনেক অপচেষ্টা ও অপকর্ম করেছেন।’ প্রফেসর ইউনূস যখনই যে দেশে গেছেন সে দেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এর কোন ব্যত্যয় হয়নি। যে কোন দেশের লোক এ দেশে এসে তাঁর সঙ্গে আলাপ করে গেছেন তাঁরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে উচ্চ ধারণা নিয়ে গেছেন। প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার সাথে জড়িত একথা বাংলাদেশের কোন লোক তো নয়ই, পৃথিবীর কোন দেশের লোক বিশ্বাস করবে না।
নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সেবায়ই তাঁর সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি সবসময় বাংলাদেশের স্বার্থ ও সাফল্যের জন্য কাজ করেছেন এবং এই দেশকে উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের একটি মডেল হিসেবে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন, এ ধরনের কোন কথা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কোনরকম তথ্য-প্রমাণ ছাড়া প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের মত একজন সম্মানিত ও বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তি সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বলে যেসব নেতিবাচক কথা মিডিয়ায় এসেছে তা খুবই দুঃখজনক।
পত্রিকার ভাষ্য অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কেই এসব কথা বলেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এই অসত্য অভিযোগে আমরা দুঃখিত ও হতাশ হয়েছি। কোনরকম প্রমাণ উপন্থাপন ব্যতিরেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপন অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজে তাঁর সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের পরিপন্থি কোন কাজ তিনি কখনোই করতে পারেন না। তিনি সবসময় বাংলাদেশের স্বার্থ ও সাফল্যের জন্য কাজ করেছেন এবং এই দেশকে উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের একটি মডেল হিসেবে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে গেছেন। তিনি দেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণায় নেমেছেন, এ ধরনের অভিযোগ শুধু মিথ্যাচারই নয়, দুর্ভাগ্যজনকও।
দেশের জন্য এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রফেসর ইউনূসের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য আছে। এগুলো দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি করে। আমরা আরো আগেই এই ধরনের অভিযোগের বিস্তারিত জবাব দিয়েছি। আমাদের বক্তব্য মিডিয়াতে সবিস্তারে প্রচারও করা হয়েছে। এটা দুঃখজনক যে, আমাদের সেসব বক্তব্য বিবেচনায় না নিয়ে একই রকম অসত্য অভিযোগ আবারো করা হচ্ছে।
প্রফেসর ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা এবং তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় এই ব্যাংকটি দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নের একটি রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছেÑ এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য। প্রফেসর ইউনূস এই ব্যাংকটির শুধু প্রতিষ্ঠাতাই নন, তিনি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ব্যাংকটিকে একটি বিশ্বনন্দিত ব্যাংক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। যার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে নোবেল পুরস্কারসহ অগণিত পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে। সারা পৃথিবীর মানুষ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে চেনে তাঁর নিজের পরিচয়ে - কোন ব্যাংকের এমডি হিসেবে নয়। ফলে ‘ব্যাংকের সামান্য এমডি’র পদ হারানোর পর ক্ষিপ্ত হয়ে’ ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার কাজে নেমে পড়েছেন - এই অভিযোগ শুধু ভিত্তিহীনই নয়, হাস্যকরও। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ ‘ধরে রাখতে’ হিলারি ক্লিনটনের দ্বারস্থ হবার অভিযাগটিও একই কারণে সমান হাস্যকর। আমরা এই অভিযোগের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রফেসর ইউনূস বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে এক হয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার চেষ্টা করেছেন - এই অভিযোগও একান্তই অবান্তব। কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রফেসর ইউনূসের কোন কালেই কোন সংশ্রব ছিল না এবং এখনো নেই - এ কথা সকলেই জানেন।
একটি পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘(তিনি) বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য অনেক অপচেষ্টা ও অপকর্ম করেছেন।’ প্রফেসর ইউনূস যখনই যে দেশে গেছেন সে দেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এর কোন ব্যত্যয় হয়নি। যে কোন দেশের লোক এ দেশে এসে তাঁর সঙ্গে আলাপ করে গেছেন তাঁরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে উচ্চ ধারণা নিয়ে গেছেন। প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার সাথে জড়িত একথা বাংলাদেশের কোন লোক তো নয়ই, পৃথিবীর কোন দেশের লোক বিশ্বাস করবে না।
নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সেবায়ই তাঁর সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি সবসময় বাংলাদেশের স্বার্থ ও সাফল্যের জন্য কাজ করেছেন এবং এই দেশকে উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের একটি মডেল হিসেবে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন, এ ধরনের কোন কথা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কোনরকম তথ্য-প্রমাণ ছাড়া প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের মত একজন সম্মানিত ও বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তি সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বলে যেসব নেতিবাচক কথা মিডিয়ায় এসেছে তা খুবই দুঃখজনক।
No comments