আফজাল-মেমনের ফাঁসি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : বিচারপতি এ পি শাহ
আফজাল গুরু এবং ইয়াকুব মেমন, ইনসেটে বিচারপতি এ পি শাহ |
আফজাল
গুরু এবং ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য
করেছেন দিল্লি হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি এ পি শাহ। ভারতে এই দুই মুসলিম
ব্যক্তিত্বের ফাঁসি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। অনেকে মনে করছেন, তারা
মুসলিম বলেই তাদের এই শাস্তি দেয়া হয়েছে।
ভারতের জাতীয় আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি অজিত প্রকাশ শাহ (এ পি শাহ) এক সংবাদ চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আফজাল গুরুর ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনপত্র দীর্ঘ সময় ধরে মুলতুবি রাখা হয়েছিল। পরে সরকার আচমকাই তার ফাঁসি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইয়াকুব মেমন প্রসঙ্গে বিচারপতি অজিত প্রকাশ শাহ বলেন, ‘মেমনের ক্ষেত্রে সবকিছু খতিয়ে দেখলে তার ফাঁসি হওয়ার কথা নয়।’ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বহু বছর ধরে কারাগারে থাকলে তার ফাঁসি হওয়া দুষ্কর হয়।
বিচারপতি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে এ নিয়ে মতাদর্শগত পার্থক্য ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রাণ ভিক্ষার আবেদন খারিজ হওয়ার পরে ১৪ দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করা যায় না। এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। আর ফাঁসি এমন এক রায় যার উপরে কোনো শাস্তি হয় না।’ ফাঁসি দিয়ে সন্ত্রাস ঠেকানো যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তার দাবি, সরকার এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করে পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিষয়।
১৯৯৩ সালে মুম্বাইতে ধারাবাহিক বোমা হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গত ৩০ জুলাই ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি হয়। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে হামলা চালানোর দায়ে আফজাল গুরু দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে ফাঁসি দেয়া হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর, আফজাল গুরুর ফাঁসি দেয়া ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেন। একইভাবে ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির বিরোধিতা করেছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এবার দিল্লি হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি এবং জাতীয় আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি অজিত প্রকাশ শাহ বললেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই আফজাল গুরু এবং ইয়াকুব মেমনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল।
সূত্র : রেডিও তেহরান
ভারতের জাতীয় আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি অজিত প্রকাশ শাহ (এ পি শাহ) এক সংবাদ চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আফজাল গুরুর ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনপত্র দীর্ঘ সময় ধরে মুলতুবি রাখা হয়েছিল। পরে সরকার আচমকাই তার ফাঁসি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইয়াকুব মেমন প্রসঙ্গে বিচারপতি অজিত প্রকাশ শাহ বলেন, ‘মেমনের ক্ষেত্রে সবকিছু খতিয়ে দেখলে তার ফাঁসি হওয়ার কথা নয়।’ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বহু বছর ধরে কারাগারে থাকলে তার ফাঁসি হওয়া দুষ্কর হয়।
বিচারপতি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে এ নিয়ে মতাদর্শগত পার্থক্য ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রাণ ভিক্ষার আবেদন খারিজ হওয়ার পরে ১৪ দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করা যায় না। এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। আর ফাঁসি এমন এক রায় যার উপরে কোনো শাস্তি হয় না।’ ফাঁসি দিয়ে সন্ত্রাস ঠেকানো যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তার দাবি, সরকার এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করে পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিষয়।
১৯৯৩ সালে মুম্বাইতে ধারাবাহিক বোমা হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গত ৩০ জুলাই ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি হয়। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে হামলা চালানোর দায়ে আফজাল গুরু দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে ফাঁসি দেয়া হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর, আফজাল গুরুর ফাঁসি দেয়া ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেন। একইভাবে ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির বিরোধিতা করেছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এবার দিল্লি হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি এবং জাতীয় আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি অজিত প্রকাশ শাহ বললেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই আফজাল গুরু এবং ইয়াকুব মেমনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল।
সূত্র : রেডিও তেহরান
No comments