আইআরআইয়ের জরিপ- দুর্নীতি নিয়ে উদ্বেগ বাংলাদেশীদের: দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে তারা
বাংলাদেশীদের
উদ্বেগ দুর্নীতি নিয়ে। এই সমস্য সমাধানে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ কম বলে মনে
করে দেশবাসী। দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে বেশির ভাগ মানুষ। ক্ষমতাসীন
আওয়ামী লীগের চেয়ে জনসমর্থন বেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এসব কথা বলা
হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট নামের একটি
সংস্থার মতামত জরিপে। এতে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে
বিভক্তি আছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ২৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন বাংলাদেশের
প্রধান সমস্যা দুর্নীতি। তবে ১৬ শতাংশ মনে করেন প্রধান সমস্যা রাজনৈতিক
অস্থিতিশীলতা। অন্যদিকে ১৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন নিরাপত্তা সমস্যাই বড়।
আইআরআই এ বছরের মে ও জুন মাসে ২৫২৫ জনের ওপর এ জরিপ পরিচালনা করে। এ জরিপের
ফল প্রকাশ হয় যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার। এতে বলা হয়েছে, জরিপে
মতামত দেয়া শতকরা ৬২ শতাংশ বিশ্বাস করেন দেশ সঠিক নেতৃত্বেই চলছে। এর আগের
জরিপে এ ব্যাপারে মত ছিল শতকরা ৫৬ শতাংশের। শতকরা ৭২ শতাংশ মানুষ মনে করেন
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ইতিবাচক। ৬৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন দেশের সার্বিক
নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভালো। বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ইতিবাচক বলে
মনে করেন ৬৪ শতাংশ মানুষ। নির্বাচনী সহিংসতা ও হরতাল কমে আসার ব্যাপারটিও
জরিপে উঠে এসেছে। জরিপে দেখা গেছে দুর্নীতি রোধে সরকার সম্পৃক্ত। তবে
দুর্নীতি রোধ সরকার করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন ৪৭ শতাংশ
উত্তরদাতা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের দেড়
বছর পার হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রতি সমর্থন বেড়েছে। সরকারের প্রতি ৬৬ শতাংশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার প্রতি সমর্থন ৬৭ শতাংশে পৌঁছেছে। স্থানীয় এক মিডিয়ায় বলা হয়, আগামী
জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরদাতারা দুই ভাগে বিভক্ত
হয়ে পড়েন। ৪৩ শতাংশ মনে করেন শতাংশ অতিসত্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া
দরকার। ৪০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, এই সরকার মেয়াদ পূর্ণ করেই তবেই
নতুন সংসদ নির্বাচন দেয়া উচিত। এর আগে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আইআরআইয়ের
জরিপে দেখা গিয়েছিল যে,৪০ শতাংশ চান অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হোক।
অপরদিকে ৪৫ শতাংশ চান বর্তমান সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করুক। এক্ষেত্রে
অতিসত্বর নির্বাচনের পক্ষে রায় পড়েছে বেশি। দুর্নীতির প্রশ্নে জরিপে অংশ
নেয়াদের ১১ শতাংশ বলেছেন তারা ঘুষ দিয়েছেন। তাদের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি
বলেছেন তারা অন্তত ৫ হাজার টাকা (প্রায় ৬৫ ডলার) ঘুষ দিয়েছেন।
No comments