সীমান্ত পেরিয়ে আসা হাজারো শরর্ণাথী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের হাসিমুখে
ঘরে তুলে নিচ্ছে অস্ট্রিয়া ও জার্মানি। অস্ট্রিয়ায় ঢোকার পর স্বেচ্ছাসেবীরা
তাঁদের স্বাগত জানান। সেখান থেকেই তাঁদের ভিয়েনা ও জার্মানির
দক্ষিণাঞ্চলের মিউনিখে পাঠানো হয়।
|
বুদাপেস্ট
থেকে ট্রেনে সিরীয় শরণার্থীরা স্থানীয় সময় আজ রোববার সকালে জার্মানির
ফ্রাঙ্কফুর্ট পৌঁছান। এ সময় স্টেশনে তাঁদের স্বাগত জানাচ্ছেন
শুভাকাঙ্ক্ষীরা। ছবি: রয়টার্স |
|
ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে বেলুন হাতে সিরিয়ার এক শরণার্থী শিশু। বেলুন দিয়ে তাকে সেখানে স্বাগত জানিয়েছেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা। ছবি: রয়টার্স |
স্থানীয়
সময় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী
অস্ট্রিয়ায় পৌঁছেছে। তবে তাঁদের ঢোকার ব্যাপারে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি
অস্ট্রিয়া।
|
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার একটি রেলস্টেশনে বাবল নিয়ে খেলছে সিরিয়ার কোবানি থেকে আসা এক শিশু। ছবি: রয়টার্স |
বিপন্ন
এই মানুষগুলোকে সাদরে বরণ করেছে জার্মানিও। দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা
ম্যার্কেল বলেন, কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই জার্মানি তাঁদের দেশে ঢুকতে দেবে।
তবে জার্মানি ও হাঙ্গেরি এও বলেছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে মানবিক
বিপর্যয় সৃষ্টি হওয়ায় সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।
এরপরে আশ্রয়ের জন্য তাঁদের আবেদন করতে হবে।
|
বুদাপেস্ট
থেকে ট্রেনে করে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট যাচ্ছেন সিরীয় শরণার্থীরা। শীত
থেকে বাঁচতে শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁদের গরম কাপড় দিচ্ছেন। ছবি: রয়টার্স |
|
ভিয়েনা যাওয়ার পথে ট্রেনে শিশুকে নিয়ে ঘুমিয়ে আছেন এক অভিবাসনপ্রত্যাশী মা। ছবি: রয়টার্স |
গতকাল
হাঙ্গেরি বাসে করে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অস্ট্রিয়া পাঠানোর বন্দোবস্ত করে।
এর আগে কয়েক দিন ধরেই বুদাপেস্টের স্টেশনে অপেক্ষায় ছিলেন
অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তাঁদের সেখানে দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকতে হয়।
ইউরোপগামী ট্রেনে উঠতে বাধা দেওয়ায় দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা
হাতাহাতিও হয়। সিরীয় শরণার্থী আয়লানের নিথর দেহ তুরস্কের সাগরতীরে ভেসে
আসার পর ইউরোপের অভিবাসন নীতি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপরই হাঙ্গেরি
অবস্থান বদলায়। অস্ট্রিয়া ও জার্মানিও তাঁদের স্বাগত জানায়।
|
জার্মানির
ফ্রাঙ্কফুর্ট একটি রেলস্টেশনে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য বিভিন্ন আকারের
জুতো রাখা হয়েছে। ট্রেন থেকে নেমে যাতে অসুবিধায় না পড়েন তাই এ ব্যবস্থা।
ছবি: রয়টার্স |
No comments