পাঁচ দশক পর যুক্তরাষ্ট্র-কিউবা সম্পর্ক স্বাভাবিক হলো by ম্যাথিউ লি ও পিটার ওরসি
লাল-সাদা
তারকাখচিত কিউবার পতাকা তোলা হলো ওয়াশিংটনে কিউবার দূতাবাসে। গত
সোমবারের এই প্রতীকী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সূচিত হলো যুক্তরাষ্ট্র ও
কিউবার মধ্যকার সম্পর্কের এক নতুন স্নায়ুযুদ্ধোত্তর যুগ।
দুই
দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার মধ্যে পূর্ণ
কূটনৈতিক সম্পর্কের পুনরুজ্জীবন ২০ জুলাই থেকে কার্যকর হয়। রোববার দিবাগত
মধ্যরাতে তা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে অনুষ্ঠিত ওই পতাকা উত্তোলন
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিউবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রদ্রিগেজ।
মধ্যরাতে পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পর এই
অনুষ্ঠান হয়। দেশ দুটির মধ্যে ঐকমত্য হয়েছিল, ২০ জুলাই স্বাভাবিক সম্পর্ক
পুনরায় শুরু হবে, এর মধ্য দিয়ে তা কার্যকর হলো। তার আগে মার্কিন পররাষ্ট্র
দপ্তরের লবিতে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই কিউবার পতাকা তোলা হয়েছে, যেসব
দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে, সেসব দেশের পতাকাগুলোর
পাশাপাশি। আর ওয়াশিংটন ও হাভানায় যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার কূটনীতিকেরা
সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে যত পোস্ট দেওয়া হয়েছে ও তার হালনাগাদ এসেছে,
সেগুলো টুকে রেখেছেন। দূতাবাসের বাইরে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়েছিল। কিউবার
জাতীয় সংগীত বাজানো হলে তারা হর্ষধ্বনি দিয়েছে। তিনজন উর্দিপরা কিউবান
সেনা পতাকা দণ্ডের সামনে দাঁড়িয়ে পতাকা তোলেন।
সেই ১৯৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার কূটনৈতিক সম্পর্কে ছেদ পড়ে। তবে ১৯৭০ সাল থেকে দেশ দুটির রাজধানীতে অন্য দেশের সার্ভিস ইন্টারেস্টস সেকশনের সীমিত উপস্থিতি ছিল। আর এখন তা পূর্ণাঙ্গ দূতাবাসে পরিণত হওয়ায় পাঁচ দশকের অনুসৃত মার্কিন নীতির অবসান ঘটল। আমেরিকা মহাদেশে সোভিয়েত সম্প্রসারণের অভিযোগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কিউবার তরুণ বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্র এ নীতি গ্রহণ করে।
মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পরই ওয়াশিংটনে কিউবার ইন্টারেস্টস সেকশন তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে ‘দূতাবাস’ লেখে। আর হাভানায় মার্কিন ইন্টারেস্টস সেকশন তাদের ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল ছবি হালনাগাদ করে পোস্ট করে মার্কিন দূতাবাস, কিউবা। আর হাভানায় মার্কিন মিশনের উপপ্রধান কনরাড ট্রিবল টুইট করেন, ‘এইমাত্র হাভানার মার্কিন দূতাবাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের অপস সেন্টারে প্রথম ফোন করলাম। ১৯৬১ সালের জানুয়ারি মাসে এই ব্যবস্থা ছিল না।’
যদিও দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকীকরণের ব্যাপারটা এখন কেন্দ্রীয়, তা সত্ত্বেও তাদের মধ্যকার আদর্শিক পার্থক্য যোজন যোজন। আর অনেক বিষয়েরই সমাধান এখনো হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে উভয় পক্ষের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে কণ্টকিত বিতর্ক, ৫৩ বছরের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে হাভানার জোরারোপ। আবার যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, কিউবার গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে হবে। কিন্তু রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীসহ কয়েকজন মার্কিন আইনজীবী প্রতিজ্ঞা করেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না। আর কিউবার ব্যাপারে ওবামা যা যা করেছেন, সেখান থেকেও তাঁরা পিছু হটবেন বলেও জানিয়েছেন। তবে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে এই কমিউনিস্ট দ্বীপরাষ্ট্রটির ব্যাপারে ওবামার নেতৃত্বাধীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির লক্ষণীয় পরিবর্তন হলো। ওবামা প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কিউবার সঙ্গে ঐকমত্যে আসতে চাচ্ছিলেন, ধীরে ধীরে তিনি এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর বিধিনিষেধের গেরো আলগা করেছেন।
কিন্তু কিউবা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের কনট্রাক্টর অ্যালন গ্রসকে আটক করে রাখায় অনেক দিন ধরেই ওবামার উদ্যোগ সফল হচ্ছিল না। কয়েক মাসের গোপন আলোচনার পর গ্রসসহ কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দীকে কিউবা গত ডিসেম্বরে মুক্তি দেয়। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সাজাপ্রাপ্ত কিউবার স্পাই রিঙের অবশিষ্ট সদস্যরাও মুক্তি পান। এরপর ১৭ ডিসেম্বর ওবামা ও রাউল কাস্ত্রো ঘোষণা দেন, দেশ দুটির মধ্যকার পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু হবে।
ওবামা কিউবা–বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতিকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এতে কোনো অভীষ্ট অর্জন করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একই কাজ করে যাবে, আবার ফলও প্রত্যাশা করবে, তা হয় না। সে কারণেই তিনি বলেন, সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে শুরু হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র কিউবাকে সন্ত্রাসের মদদদাতা রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আগ পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া ধীরগতিতেই চলেছে। ১ জুলাই এসব বিষয়ের সুরাহা হওয়ায় দেশ দুটি কূটনৈতিক নোট চালাচালি শুরু করে। আর ঠিক হয়, ২০ জুলাই কূটনৈতিক সম্পর্ক পূর্ণাঙ্গরূপে পুনরুজ্জীবিত হবে।
১৬ স্ট্রিট ম্যানশনের দৃষ্টিনন্দন ভবনে সোমবারের ওই পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে কিউবা থেকে ৫০০ অতিথি এসেছিলেন। এর মধ্যে ছিল ৩০ সদস্যের কূটনীতিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য নেতা। সেখানে এত দিন সুইস দূতাবাসের অর্থানুকূল্যে ইন্টারেস্টস সেকশনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
যদিও সোমবারের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের শান শওকত হাভানায় মার্কিন সার্ভিস ইন্টারেস্টস সেকশনের চোখে পড়বে না, তা সত্ত্বেও সেখানকার শ্রমিকেরা মার্কিন কার্যালয়ের বাইরের দেয়াল ফুটো করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা প্রতীকী চিহ্নসংবলিত কাগজ ঝুলিয়ে দিয়েছে। তারা নতুন বিজনেস কার্ড ও লেটারহেডে ‘দূতাবাস’ শব্দটি ছাপিয়ে সেই দেয়ালে ঝুলিয়ে দিয়েছে, ‘ইন্টারেস্টস সেকশন’ লেখেনি তারা। হাভানার সমুদ্রমুখী ম্যালকন বুলভার্ডে কাচের ছয়তলা ভবনটির বাইরে এতকাল পতাকার খুঁটিটি নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে ছিল, সেই ভবনটি এখন সংস্কার করা হয়েছে, সেখানে বাঁধানো হাঁটাপথও বানানো হয়েছে।
গত সোমবারের আগের সপ্তাহের প্রতিটি দিন কর্মীরা দিনটি কবে আসবে, তার প্রহর গুনেছেন। কার্যালয়ের বেড়ায় তাঁরা হাতে আঁকা প্রতীকী চিহ্নসংবলিত কাগজ ঝুলিয়েছেন। স্প্যানিশ ভাষায় তাঁরা যা লিখেছেন, তার অর্থ দাঁড়ায় এ রকম: ‘ছয় দিনের মধ্যে আমরা দূতাবাস হব!’ আরও কত কী।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন; দ্য হাফিংটন পোস্ট থেকে নেওয়া
ম্যাথিউ লি: সাংবাদিক ও লেখক; পিটার ওরসি: সাংবাদিক।
সেই ১৯৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার কূটনৈতিক সম্পর্কে ছেদ পড়ে। তবে ১৯৭০ সাল থেকে দেশ দুটির রাজধানীতে অন্য দেশের সার্ভিস ইন্টারেস্টস সেকশনের সীমিত উপস্থিতি ছিল। আর এখন তা পূর্ণাঙ্গ দূতাবাসে পরিণত হওয়ায় পাঁচ দশকের অনুসৃত মার্কিন নীতির অবসান ঘটল। আমেরিকা মহাদেশে সোভিয়েত সম্প্রসারণের অভিযোগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কিউবার তরুণ বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্র এ নীতি গ্রহণ করে।
মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পরই ওয়াশিংটনে কিউবার ইন্টারেস্টস সেকশন তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে ‘দূতাবাস’ লেখে। আর হাভানায় মার্কিন ইন্টারেস্টস সেকশন তাদের ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল ছবি হালনাগাদ করে পোস্ট করে মার্কিন দূতাবাস, কিউবা। আর হাভানায় মার্কিন মিশনের উপপ্রধান কনরাড ট্রিবল টুইট করেন, ‘এইমাত্র হাভানার মার্কিন দূতাবাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের অপস সেন্টারে প্রথম ফোন করলাম। ১৯৬১ সালের জানুয়ারি মাসে এই ব্যবস্থা ছিল না।’
যদিও দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকীকরণের ব্যাপারটা এখন কেন্দ্রীয়, তা সত্ত্বেও তাদের মধ্যকার আদর্শিক পার্থক্য যোজন যোজন। আর অনেক বিষয়েরই সমাধান এখনো হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে উভয় পক্ষের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে কণ্টকিত বিতর্ক, ৫৩ বছরের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে হাভানার জোরারোপ। আবার যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, কিউবার গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে হবে। কিন্তু রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীসহ কয়েকজন মার্কিন আইনজীবী প্রতিজ্ঞা করেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না। আর কিউবার ব্যাপারে ওবামা যা যা করেছেন, সেখান থেকেও তাঁরা পিছু হটবেন বলেও জানিয়েছেন। তবে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে এই কমিউনিস্ট দ্বীপরাষ্ট্রটির ব্যাপারে ওবামার নেতৃত্বাধীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির লক্ষণীয় পরিবর্তন হলো। ওবামা প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কিউবার সঙ্গে ঐকমত্যে আসতে চাচ্ছিলেন, ধীরে ধীরে তিনি এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর বিধিনিষেধের গেরো আলগা করেছেন।
কিন্তু কিউবা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের কনট্রাক্টর অ্যালন গ্রসকে আটক করে রাখায় অনেক দিন ধরেই ওবামার উদ্যোগ সফল হচ্ছিল না। কয়েক মাসের গোপন আলোচনার পর গ্রসসহ কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দীকে কিউবা গত ডিসেম্বরে মুক্তি দেয়। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সাজাপ্রাপ্ত কিউবার স্পাই রিঙের অবশিষ্ট সদস্যরাও মুক্তি পান। এরপর ১৭ ডিসেম্বর ওবামা ও রাউল কাস্ত্রো ঘোষণা দেন, দেশ দুটির মধ্যকার পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু হবে।
ওবামা কিউবা–বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতিকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এতে কোনো অভীষ্ট অর্জন করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একই কাজ করে যাবে, আবার ফলও প্রত্যাশা করবে, তা হয় না। সে কারণেই তিনি বলেন, সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে শুরু হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র কিউবাকে সন্ত্রাসের মদদদাতা রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আগ পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া ধীরগতিতেই চলেছে। ১ জুলাই এসব বিষয়ের সুরাহা হওয়ায় দেশ দুটি কূটনৈতিক নোট চালাচালি শুরু করে। আর ঠিক হয়, ২০ জুলাই কূটনৈতিক সম্পর্ক পূর্ণাঙ্গরূপে পুনরুজ্জীবিত হবে।
১৬ স্ট্রিট ম্যানশনের দৃষ্টিনন্দন ভবনে সোমবারের ওই পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে কিউবা থেকে ৫০০ অতিথি এসেছিলেন। এর মধ্যে ছিল ৩০ সদস্যের কূটনীতিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য নেতা। সেখানে এত দিন সুইস দূতাবাসের অর্থানুকূল্যে ইন্টারেস্টস সেকশনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
যদিও সোমবারের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের শান শওকত হাভানায় মার্কিন সার্ভিস ইন্টারেস্টস সেকশনের চোখে পড়বে না, তা সত্ত্বেও সেখানকার শ্রমিকেরা মার্কিন কার্যালয়ের বাইরের দেয়াল ফুটো করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা প্রতীকী চিহ্নসংবলিত কাগজ ঝুলিয়ে দিয়েছে। তারা নতুন বিজনেস কার্ড ও লেটারহেডে ‘দূতাবাস’ শব্দটি ছাপিয়ে সেই দেয়ালে ঝুলিয়ে দিয়েছে, ‘ইন্টারেস্টস সেকশন’ লেখেনি তারা। হাভানার সমুদ্রমুখী ম্যালকন বুলভার্ডে কাচের ছয়তলা ভবনটির বাইরে এতকাল পতাকার খুঁটিটি নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে ছিল, সেই ভবনটি এখন সংস্কার করা হয়েছে, সেখানে বাঁধানো হাঁটাপথও বানানো হয়েছে।
গত সোমবারের আগের সপ্তাহের প্রতিটি দিন কর্মীরা দিনটি কবে আসবে, তার প্রহর গুনেছেন। কার্যালয়ের বেড়ায় তাঁরা হাতে আঁকা প্রতীকী চিহ্নসংবলিত কাগজ ঝুলিয়েছেন। স্প্যানিশ ভাষায় তাঁরা যা লিখেছেন, তার অর্থ দাঁড়ায় এ রকম: ‘ছয় দিনের মধ্যে আমরা দূতাবাস হব!’ আরও কত কী।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন; দ্য হাফিংটন পোস্ট থেকে নেওয়া
ম্যাথিউ লি: সাংবাদিক ও লেখক; পিটার ওরসি: সাংবাদিক।
No comments