ঢাকায় পাঁচ বছরে মোটরযান বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ by মোছাব্বের হোসেন
ঢাকায় গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট। ছবিটি হোটেল রূপসী বাংলা মোড় থেকে তোলা l প্রথম আলো |
বাংলাদেশ
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুসারে গত পাঁচ বছরে রাজধানীতে
মোটরযান বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ২০০৯ পর্যন্ত রাজধানীতে মোটরযানের সংখ্যা
ছিল পাঁচ লাখের বেশি আর চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এই সংখ্যা হয়েছে প্রায় নয়
লাখ। বিআরটিএ সূত্র জানায়, নিবন্ধিত যানবাহনের বাইরে আরও কয়েক লাখ যানবাহন
ঢাকায় চলাচল করছে। এর বেশির ভাগই মোটরসাইকেল ও স্থানীয়ভাবে নির্মিত
হিউম্যানহলার বা লেগুনা।
বিআরটিএ ২০ ধরনের যানবাহনের হিসাব সংরক্ষণ করে। এর মধ্যে কার, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল-এসইউভি (জিপ নামে পরিচিত) ও মাইক্রোবাসকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়ি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর বাস-ট্রাকসহ অন্য সব যানবাহন বাণিজ্যিক যানের আওতাভুক্ত।
বিআরটিএ ও বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীতে শুধু তিন লাখ গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ গাড়ি পার্কিং ও চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ঢাকার যানজট দিনে দিনে বাড়ছে।
বিআরটিএ সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ছিল, ৫ লাখ ১৬ হাজার ৯১২টি। ২০১০ সালে ৭৬ হাজার ১৬৫টি গাড়ি নিবন্ধিত হয়েছে। ২০১১ সালে নিবন্ধিত হয় ৭২ হাজার ৯৪৭, ২০১২ সালে ৫৯ হাজার ৫৭৩, ২০১৩ সালে ৫৪ হাজার ৪৯২, ২০১৪ সালে ৭৩ হাজার ৫১ এবং সর্বশেষ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছে ৪৩ হাজার ৫৩টি গাড়ি। সর্বমোট নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ১৯৩টি।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাজধানীতে মোটরসাইকেলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩২৪টি। এরপর বেশি নিবন্ধিত হয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি, যার সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৯টি।
শহরের যানজট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল হক বলেন, রাজধানীতে বিআরটিএ যেভাবে গাড়ির নিবন্ধন দিয়েই যাচ্ছে তা অবৈজ্ঞানিক। ঢাকায় যত গাড়ি চলছে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এর মাধ্যমে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে কোনো সমন্বয় থাকছে না তাই যানজট বাড়ছেই। লোকজন ব্যক্তিগত গাড়ির দিকে তখনই ছুটছেন, যখন তাঁরা গণপরিবহনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। গণপরিবহন উন্নত হলে ব্যক্তিগত গাড়ির এত চাহিদা থাকত না। এতে যানজট কিছুটা হলেও কমে যেত। এই পরিবহন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, এমন পরিস্থিতি থেকে একদিনে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। এর জন্য কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে হবে। বছরে কী পরিমাণ জোগান আছে সে অনুসারে গাড়ির নিবন্ধন করাতে হবে। যানবাহনের ঢালাও নিবন্ধন করতে দেওয়া যাবে না। গণপরিবহনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। সড়কে চলতে লোকজন যখন বিকল্প গণপরিবহন বা অন্যান্য যানবাহন পাবেন, তখন গাড়ি কিনতে নিরুৎসাহিত হবেন।
এ সম্পর্কে বিআরটিএর প্রকৌশল বিভাগের উপপরিচালক সিতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, একটি শহরে যেখানে যানবাহনের চলাচল ও ব্যবস্থাপনার জন্য ২০ থেকে ২৫ শতাংশ সড়ক দরকার সেখানে ঢাকায় আছে মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ। ফলে যানজট হবে এটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় লোকজন সড়কের ওপরই গাড়ি রাখছেন, যা যানজট বেড়ে যাওয়ার বড় একটি কারণ।
বিআরটিএ ২০ ধরনের যানবাহনের হিসাব সংরক্ষণ করে। এর মধ্যে কার, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল-এসইউভি (জিপ নামে পরিচিত) ও মাইক্রোবাসকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়ি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর বাস-ট্রাকসহ অন্য সব যানবাহন বাণিজ্যিক যানের আওতাভুক্ত।
বিআরটিএ ও বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীতে শুধু তিন লাখ গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ গাড়ি পার্কিং ও চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ঢাকার যানজট দিনে দিনে বাড়ছে।
বিআরটিএ সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ছিল, ৫ লাখ ১৬ হাজার ৯১২টি। ২০১০ সালে ৭৬ হাজার ১৬৫টি গাড়ি নিবন্ধিত হয়েছে। ২০১১ সালে নিবন্ধিত হয় ৭২ হাজার ৯৪৭, ২০১২ সালে ৫৯ হাজার ৫৭৩, ২০১৩ সালে ৫৪ হাজার ৪৯২, ২০১৪ সালে ৭৩ হাজার ৫১ এবং সর্বশেষ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছে ৪৩ হাজার ৫৩টি গাড়ি। সর্বমোট নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ১৯৩টি।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাজধানীতে মোটরসাইকেলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩২৪টি। এরপর বেশি নিবন্ধিত হয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি, যার সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৯টি।
শহরের যানজট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল হক বলেন, রাজধানীতে বিআরটিএ যেভাবে গাড়ির নিবন্ধন দিয়েই যাচ্ছে তা অবৈজ্ঞানিক। ঢাকায় যত গাড়ি চলছে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এর মাধ্যমে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে কোনো সমন্বয় থাকছে না তাই যানজট বাড়ছেই। লোকজন ব্যক্তিগত গাড়ির দিকে তখনই ছুটছেন, যখন তাঁরা গণপরিবহনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। গণপরিবহন উন্নত হলে ব্যক্তিগত গাড়ির এত চাহিদা থাকত না। এতে যানজট কিছুটা হলেও কমে যেত। এই পরিবহন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, এমন পরিস্থিতি থেকে একদিনে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। এর জন্য কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে হবে। বছরে কী পরিমাণ জোগান আছে সে অনুসারে গাড়ির নিবন্ধন করাতে হবে। যানবাহনের ঢালাও নিবন্ধন করতে দেওয়া যাবে না। গণপরিবহনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। সড়কে চলতে লোকজন যখন বিকল্প গণপরিবহন বা অন্যান্য যানবাহন পাবেন, তখন গাড়ি কিনতে নিরুৎসাহিত হবেন।
এ সম্পর্কে বিআরটিএর প্রকৌশল বিভাগের উপপরিচালক সিতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, একটি শহরে যেখানে যানবাহনের চলাচল ও ব্যবস্থাপনার জন্য ২০ থেকে ২৫ শতাংশ সড়ক দরকার সেখানে ঢাকায় আছে মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ। ফলে যানজট হবে এটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় লোকজন সড়কের ওপরই গাড়ি রাখছেন, যা যানজট বেড়ে যাওয়ার বড় একটি কারণ।
No comments