ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের জয়জয়কার
বাংলাদেশের সাফল্যের জয়গান ভারতীয় সংবাদমাধ্যম |
কদিন
আগেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেট গুরুত্ব পেয়েছে কমই। বেশির
ভাগ সময়ই বাংলাদশের ক্রিকেটের খবর থাকত না। থাকলেও ছোট্ট জায়গা বরাদ্দ,
সাংবাদিকতার পরিভাষায় যাকে বলে ‘সিঙ্গেল কলাম’। মাশরাফিরা সেই দৃশ্যপট
বদলাতে বাধ্য করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এখন বেশ ফলাও করে প্রচার করছে
বাংলাদেশ দলের সাফল্যের খবর। প্রকাশ করা হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে
নানা বিশ্লেষণী।
‘বাংলাদেশের সাফল্য আকস্মিক নয়, আরও আসছে’ শিরোনামে একটি সুদীর্ঘ বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির শীর্ষ সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনে পাঁচটি কারণ বের করেছে তারা। প্রথম কারণ, অধিনায়ক পরিবর্তন। টানা ১৩ ম্যাচ জয়হীন থাকার পর গত বছর অক্টোবরে মাশরাফি বিন মুর্তজার কাঁধে তুলে দেওয়া হয় ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব। এরপরই আমূল বদলে যায় বাংলাদেশ। গত আট মাসে মাশরাফির অধিনায়কত্বে খেলা ২০ ম্যাচের ১৫টিই জিতেছে বাংলাদেশ। চোয়ালবদ্ধ লড়াই, সতীর্থদের প্রতি আস্থা ও সাফল্যের জন্য তীব্র ক্ষুধা—মাশরাফির এসব গুণে মাঠে বাংলাদেশ পাচ্ছে একের পর এক সাফল্য। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে পা দেওয়া, ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়—মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছুটছে এক্সপ্রেস গতিতে। টাইমস অব ইন্ডিয়া মাশরাফির মধ্যে খুঁজে পাচ্ছেন লঙ্কান অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে। সাধারণ এক দল থেকে শ্রীলঙ্কাকে যিনি পরিণত করেছিলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নে।
দ্বিতীয়ত কোচিং স্টাফ। প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এ সাফল্যে। মাহমুদউল্লাহকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে আনা, সহজাত খেলতে খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা দেওয়া—নানা সিদ্ধান্তে হাথুরুর ভূমিকা প্রশংসনীয়। বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের অধীনে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ।
তৃতীয়ত, স্পিন নির্ভরতা কমা। একটা সময় বোলিং আক্রমণে বাংলাদেশকে নির্ভর করতে হতো কেবল স্পিনের ওপর। চিত্রটা এখন বদলেছে। গত এক বছরে বাংলাদেশের আট পেসার নিয়েছেন ৯৬ উইকেট, গড় ২৮.৫৭। একই সময়ে বাংলাদেশের স্পিনাররা নিয়েছেন ৭৯ উইকেট, গড় ৩১.৭৯। মাশরাফির সঙ্গে পেস আক্রমণে রয়েছেন তাসকিন, রুবেলের মতো দারুণ কিছু পেসার। চারদিকে হইচই ফেলে দিয়ে নতুন আবির্ভাব হয়েছে আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের।
চতুর্থত, তরুণ তুর্কিদের জ্বলে ওঠা। গত একটা বছর বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড় এসেছেন জাতীয় দলে। প্রত্যেকেই যথাযথ পালন করে যাচ্ছেন নিজ দায়িত্ব। গত বছর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকেই বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড ৫ উইকেট নিয়ে নিজের আগমনী বার্তা ভালোভাবেই জানান দিয়েছিলেন তাসকিন। ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। এ বছর ভারতের বিপক্ষে একের পর এক বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছেন মুস্তাফিজ। ব্যাট হাতে সৌম্য-সাব্বিররা দেখাচ্ছেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ। অধিনায়ক মাশরাফি ও কোচ হাথুরু—দুজনই তরুণদের জন্য জায়গাটা প্রশস্ত করে দিয়েছেন। দিয়েছেন নির্ভার হয়ে খেলার লাইসেন্সও।
পঞ্চম কারণ, তরুণদের সঙ্গে অভিজ্ঞ সেনানীদের যুগলবন্দী। দলের সিনিয়র খেলোয়াড় মাশরাফি, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে অসাধারণ সমন্বয় হয়েছে তরুণ খেলোয়াড়দের। অভিজ্ঞরাও পারফর্ম করছেন একই তালে। প্রতি মুহূর্ত নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন তরুণ সদস্যদের সঙ্গে।
বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনে মাশরাফিকে অধিনায়ক বানানো ও কোচিং স্টাফে পরিবর্তন আনাকে মূল কারণ হিসেবে মনে করছে ভারতের আরেকটি জনপ্রিয় পত্রিকা হিন্দুস্থান টাইমস। ‘‘‘বাংলাওয়াশ’, বাংলাদেশকে যথাযোগ্য কৃতিত্ব দেওয়ার সময় হয়েছে’’ শীর্ষক খবরে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের উন্নতির প্রশংসা করেছে পত্রিকাটি।
এ দিকে বাংলাদেশকে নিয়ে আজ বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কলকাতার জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। ‘রেখেছ বাঙালি করে আবার ক্রিকেটারও করেছ’ শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদন লিখেছেন ভারতের অন্যতম সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য। যে লেখায় তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের বদলে যাওয়া আর তাঁর দেখার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।
শুধু তা-ই নয়, গতকাল ভারতের শীর্ষ বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের অনলাইন সংস্করণ একই দিনে বাংলাদেশকে নিয়ে চারটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে: ‘আফ্রিকান সিংহও বিধ্বস্ত, বিশ্ব ক্রিকেটে ব্যাঘ্রগর্জন’, ‘সিরিজ জিতে রাতভর রাজপথে বিজয়োল্লাস’, ‘প্রতিভার কোহিনূরের ছটায় বিশ্বে এখন বাঘের ডাক’, ‘সাকিবের হাত ধরে নতুন সূর্যোদয় বাংলাদেশের’।
‘বাংলাদেশের সাফল্য আকস্মিক নয়, আরও আসছে’ শিরোনামে একটি সুদীর্ঘ বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির শীর্ষ সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনে পাঁচটি কারণ বের করেছে তারা। প্রথম কারণ, অধিনায়ক পরিবর্তন। টানা ১৩ ম্যাচ জয়হীন থাকার পর গত বছর অক্টোবরে মাশরাফি বিন মুর্তজার কাঁধে তুলে দেওয়া হয় ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব। এরপরই আমূল বদলে যায় বাংলাদেশ। গত আট মাসে মাশরাফির অধিনায়কত্বে খেলা ২০ ম্যাচের ১৫টিই জিতেছে বাংলাদেশ। চোয়ালবদ্ধ লড়াই, সতীর্থদের প্রতি আস্থা ও সাফল্যের জন্য তীব্র ক্ষুধা—মাশরাফির এসব গুণে মাঠে বাংলাদেশ পাচ্ছে একের পর এক সাফল্য। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে পা দেওয়া, ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়—মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছুটছে এক্সপ্রেস গতিতে। টাইমস অব ইন্ডিয়া মাশরাফির মধ্যে খুঁজে পাচ্ছেন লঙ্কান অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে। সাধারণ এক দল থেকে শ্রীলঙ্কাকে যিনি পরিণত করেছিলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নে।
দ্বিতীয়ত কোচিং স্টাফ। প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এ সাফল্যে। মাহমুদউল্লাহকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে আনা, সহজাত খেলতে খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা দেওয়া—নানা সিদ্ধান্তে হাথুরুর ভূমিকা প্রশংসনীয়। বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের অধীনে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ।
তৃতীয়ত, স্পিন নির্ভরতা কমা। একটা সময় বোলিং আক্রমণে বাংলাদেশকে নির্ভর করতে হতো কেবল স্পিনের ওপর। চিত্রটা এখন বদলেছে। গত এক বছরে বাংলাদেশের আট পেসার নিয়েছেন ৯৬ উইকেট, গড় ২৮.৫৭। একই সময়ে বাংলাদেশের স্পিনাররা নিয়েছেন ৭৯ উইকেট, গড় ৩১.৭৯। মাশরাফির সঙ্গে পেস আক্রমণে রয়েছেন তাসকিন, রুবেলের মতো দারুণ কিছু পেসার। চারদিকে হইচই ফেলে দিয়ে নতুন আবির্ভাব হয়েছে আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের।
চতুর্থত, তরুণ তুর্কিদের জ্বলে ওঠা। গত একটা বছর বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড় এসেছেন জাতীয় দলে। প্রত্যেকেই যথাযথ পালন করে যাচ্ছেন নিজ দায়িত্ব। গত বছর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকেই বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড ৫ উইকেট নিয়ে নিজের আগমনী বার্তা ভালোভাবেই জানান দিয়েছিলেন তাসকিন। ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। এ বছর ভারতের বিপক্ষে একের পর এক বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছেন মুস্তাফিজ। ব্যাট হাতে সৌম্য-সাব্বিররা দেখাচ্ছেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ। অধিনায়ক মাশরাফি ও কোচ হাথুরু—দুজনই তরুণদের জন্য জায়গাটা প্রশস্ত করে দিয়েছেন। দিয়েছেন নির্ভার হয়ে খেলার লাইসেন্সও।
পঞ্চম কারণ, তরুণদের সঙ্গে অভিজ্ঞ সেনানীদের যুগলবন্দী। দলের সিনিয়র খেলোয়াড় মাশরাফি, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে অসাধারণ সমন্বয় হয়েছে তরুণ খেলোয়াড়দের। অভিজ্ঞরাও পারফর্ম করছেন একই তালে। প্রতি মুহূর্ত নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন তরুণ সদস্যদের সঙ্গে।
বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনে মাশরাফিকে অধিনায়ক বানানো ও কোচিং স্টাফে পরিবর্তন আনাকে মূল কারণ হিসেবে মনে করছে ভারতের আরেকটি জনপ্রিয় পত্রিকা হিন্দুস্থান টাইমস। ‘‘‘বাংলাওয়াশ’, বাংলাদেশকে যথাযোগ্য কৃতিত্ব দেওয়ার সময় হয়েছে’’ শীর্ষক খবরে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের উন্নতির প্রশংসা করেছে পত্রিকাটি।
এ দিকে বাংলাদেশকে নিয়ে আজ বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কলকাতার জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। ‘রেখেছ বাঙালি করে আবার ক্রিকেটারও করেছ’ শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদন লিখেছেন ভারতের অন্যতম সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য। যে লেখায় তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের বদলে যাওয়া আর তাঁর দেখার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।
শুধু তা-ই নয়, গতকাল ভারতের শীর্ষ বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের অনলাইন সংস্করণ একই দিনে বাংলাদেশকে নিয়ে চারটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে: ‘আফ্রিকান সিংহও বিধ্বস্ত, বিশ্ব ক্রিকেটে ব্যাঘ্রগর্জন’, ‘সিরিজ জিতে রাতভর রাজপথে বিজয়োল্লাস’, ‘প্রতিভার কোহিনূরের ছটায় বিশ্বে এখন বাঘের ডাক’, ‘সাকিবের হাত ধরে নতুন সূর্যোদয় বাংলাদেশের’।
No comments