অসম্ভবকে জয় করার চ্যালেঞ্জ by ইশতিয়াক পারভেজ
অসম্ভবকে সম্ভব করার লড়াইয়ে এখন বাংলাদেশ। প্রায় দেড়শ’ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে যে নজির নেই জিততে সেটাই করে দেখাতে হবে তামিম-সাকিব-মুশফিকদের।
বাংলাদেশের সামনে চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য টার্গেট এখন হিমালয়ের মতোই বরাবর ৫৫০। পাঁচশতাধিক রানের টার্গেট টেস্ট ইতিহাসে অবশ্য আরও ৬৬টি আছে। কিন্তু জয় আছে কতোটিতে? একটিতেও নয়! ৪শ’ ছাড়ানো টর্গেট তাড়া করে জয়ের নজির মাত্র চারটি। তাও ২৫৯টি টার্গেটে। ২০০৩ সালে এন্টিগাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪১৮ রান তাড়া করে জয় তুলে নিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৩ রান ১ উইকেট হারিয়ে। জয় পেতে প্রয়োজন আরও ৪৮৭ রান। হাতে আছে দুইদিন এবং শাহাদাতসহ ৯টি উইকেট। একদিন থাকলে ড্রয়ের সম্ভাবনা থাকতো। এখন হয় জয় না হয় পরাজয়। অংকের হিসাবে দেখে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অবশ্য আগেই হার মেনে নিয়েছেন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি সহজেই স্বীকার করে নেন বিষয়টি। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ যে পরিস্থিতিতে তাতে মনে হয় আমরা হারতে চলেছি।’ কিন্তু অংকের রেকর্ড ভাঙা- গড়ার খেলায় মানুষ হেরে যাবে তা নয়। সাকিবও আশা করেন অসম্ভবকেই জয় করতে হবে টাইগারদের ব্যাট হাতে। ৫ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে তৃতীয় দিন ২০৩ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ফলোঅন এড়াতে তখনও বাকি ছিল ১৫৫ রান। মোট রানের অংকেও পিছিয়ে ছিল ৩৫৫ রান। কিন্তু বাংলাদেশকে ফলোঅনে পাঠানোর সুযোগ পেয়েও ছেড়ে দেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক।
লক্ষ্যাটা বাড়াতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন মধ্যাহ্ন বিরতির একটু আগে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান দল। দলীয় ও ব্যক্তিগত শূন্য রানেই শহীদের বলে হাফিজ ক্যাচ দেন মুশফিকের হাতে। এরপর দলীয় ৪৯ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেটের পতন। সামি আসলামকে ৮ রানে ফিরিয়ে শহীদ দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন। এরপর প্রথম ইনিংসে ডবল সেঞ্চুরি হাঁকানো আজহার সৌম্য সরকারকে ২৫ রান করে প্রথম টেস্ট উইকেট উপহার দেন। দলের হাল ধরেন ইউনুস খান ও অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। ১৬ রানে জীবন পেয়েও প্রথম ইনিংসের মতো সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারেননি তিনি। তাইজুল ইসলাম নিজের বলে দুর্দান্ত এক ফিরতি ক্যাচ নিলে ৩৯ রানেই থামেন ইউনুস। ঠিক তখনই অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক খেলা শুরু করেন ওয়ানডের ধাঁচে। তবে তাকে সঙ্গ দিতে এসে আরেক সেঞ্চুরিয়ান আসাদ শফিক দ্বিতীয় ইনিংসেও শুভাগত হোমের শিকার। তবে এবার ১৫ রান করেই থামতে হয় তাকে। এবার অধিনায়কের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সরফরাজ আহমেদ। কিন্তু খুব বেশিক্ষণ ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যেতে পারেনি মিসবাহ। মাহদুল্লাহর বলে বিকল্প ফিল্ডার আবুল হাসান রাজুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ৮২ রানে থামে তার ইনিংস। ততোক্ষণে খেলেছেন ৭২ বল, হাঁকিয়েছেন ৯টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। ১৯৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরই ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।
দিনের ১৪ ওভার বাকি থাকতে ৫৫০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল। ১১ ওভারে ৪৮ রানের জুটি গড়ে বিনা উইকেটেই দিন শেষ করার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু বিধিবাম। ইমরুল ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংসের আউট যেন কার্বন কপি। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ইয়াসির শাহর বলে সরাসরি বোল্ড। তবে এবার ১৬ রান করে। আশার আলো এখনও খুলনা টেস্টে ডবল সেঞ্চুরি হাঁকানো তামিম ইকবাল আছেন ক্রিজে। ৪২ বলে অপরাজিত ৩২ রান করতে তামিম খেলেছেন ৪টি চারের মার। সঙ্গে ১৫ রান করে অপরাজিত আছেন অল্প সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে দেশের ব্যাটিং ভরসা মুমিনুল হক।
অসম্ভবকে জয় করতেই তারা আজ নামবেন ব্যাট হাতে। এর আগে ৪শ’ ছাড়ানো টার্গেট তাড়া করে প্রথম জয়টি টেস্ট ক্রিকেটে দেখা মেলে ১৯৪৮ সালে ৪০৪ রান তাড়া করে ইংল্যান্ডকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪০৩ রান তাড়া করে জয় পায় ভারত। এরপর ৪১৪ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়া হারায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
বাংলাদেশের সামনে চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য টার্গেট এখন হিমালয়ের মতোই বরাবর ৫৫০। পাঁচশতাধিক রানের টার্গেট টেস্ট ইতিহাসে অবশ্য আরও ৬৬টি আছে। কিন্তু জয় আছে কতোটিতে? একটিতেও নয়! ৪শ’ ছাড়ানো টর্গেট তাড়া করে জয়ের নজির মাত্র চারটি। তাও ২৫৯টি টার্গেটে। ২০০৩ সালে এন্টিগাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪১৮ রান তাড়া করে জয় তুলে নিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৩ রান ১ উইকেট হারিয়ে। জয় পেতে প্রয়োজন আরও ৪৮৭ রান। হাতে আছে দুইদিন এবং শাহাদাতসহ ৯টি উইকেট। একদিন থাকলে ড্রয়ের সম্ভাবনা থাকতো। এখন হয় জয় না হয় পরাজয়। অংকের হিসাবে দেখে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অবশ্য আগেই হার মেনে নিয়েছেন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি সহজেই স্বীকার করে নেন বিষয়টি। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ যে পরিস্থিতিতে তাতে মনে হয় আমরা হারতে চলেছি।’ কিন্তু অংকের রেকর্ড ভাঙা- গড়ার খেলায় মানুষ হেরে যাবে তা নয়। সাকিবও আশা করেন অসম্ভবকেই জয় করতে হবে টাইগারদের ব্যাট হাতে। ৫ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে তৃতীয় দিন ২০৩ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ফলোঅন এড়াতে তখনও বাকি ছিল ১৫৫ রান। মোট রানের অংকেও পিছিয়ে ছিল ৩৫৫ রান। কিন্তু বাংলাদেশকে ফলোঅনে পাঠানোর সুযোগ পেয়েও ছেড়ে দেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক।
লক্ষ্যাটা বাড়াতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন মধ্যাহ্ন বিরতির একটু আগে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান দল। দলীয় ও ব্যক্তিগত শূন্য রানেই শহীদের বলে হাফিজ ক্যাচ দেন মুশফিকের হাতে। এরপর দলীয় ৪৯ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেটের পতন। সামি আসলামকে ৮ রানে ফিরিয়ে শহীদ দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন। এরপর প্রথম ইনিংসে ডবল সেঞ্চুরি হাঁকানো আজহার সৌম্য সরকারকে ২৫ রান করে প্রথম টেস্ট উইকেট উপহার দেন। দলের হাল ধরেন ইউনুস খান ও অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। ১৬ রানে জীবন পেয়েও প্রথম ইনিংসের মতো সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারেননি তিনি। তাইজুল ইসলাম নিজের বলে দুর্দান্ত এক ফিরতি ক্যাচ নিলে ৩৯ রানেই থামেন ইউনুস। ঠিক তখনই অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক খেলা শুরু করেন ওয়ানডের ধাঁচে। তবে তাকে সঙ্গ দিতে এসে আরেক সেঞ্চুরিয়ান আসাদ শফিক দ্বিতীয় ইনিংসেও শুভাগত হোমের শিকার। তবে এবার ১৫ রান করেই থামতে হয় তাকে। এবার অধিনায়কের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সরফরাজ আহমেদ। কিন্তু খুব বেশিক্ষণ ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যেতে পারেনি মিসবাহ। মাহদুল্লাহর বলে বিকল্প ফিল্ডার আবুল হাসান রাজুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ৮২ রানে থামে তার ইনিংস। ততোক্ষণে খেলেছেন ৭২ বল, হাঁকিয়েছেন ৯টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। ১৯৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরই ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।
দিনের ১৪ ওভার বাকি থাকতে ৫৫০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল। ১১ ওভারে ৪৮ রানের জুটি গড়ে বিনা উইকেটেই দিন শেষ করার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু বিধিবাম। ইমরুল ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংসের আউট যেন কার্বন কপি। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ইয়াসির শাহর বলে সরাসরি বোল্ড। তবে এবার ১৬ রান করে। আশার আলো এখনও খুলনা টেস্টে ডবল সেঞ্চুরি হাঁকানো তামিম ইকবাল আছেন ক্রিজে। ৪২ বলে অপরাজিত ৩২ রান করতে তামিম খেলেছেন ৪টি চারের মার। সঙ্গে ১৫ রান করে অপরাজিত আছেন অল্প সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে দেশের ব্যাটিং ভরসা মুমিনুল হক।
অসম্ভবকে জয় করতেই তারা আজ নামবেন ব্যাট হাতে। এর আগে ৪শ’ ছাড়ানো টার্গেট তাড়া করে প্রথম জয়টি টেস্ট ক্রিকেটে দেখা মেলে ১৯৪৮ সালে ৪০৪ রান তাড়া করে ইংল্যান্ডকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪০৩ রান তাড়া করে জয় পায় ভারত। এরপর ৪১৪ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়া হারায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
No comments