প্রধানমন্ত্রীর কাছে খুনিদের বিচার দাবি by শরিফুল হাসান @নারায়ণগঞ্জ
'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার ছেলেকে যদি আজকে গুম করা হতো, আপনি যদি ছেলের লাশ পেতেন, তাহলে কেমন লাগত আপনার? আমি জানি, আমার বাবাকে চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই। আর কাউকে যেন এভাবে মরতে না হয়।' আজ বৃহস্পতিবার বাবার জানাজার আগে নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের ছেলে নাঈম ইসলাম কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে কাঁদছিলেন উপস্থিত হাজারো মানুষ। নাঈমের মতো তাঁরাও এই খুনের বিচার আর গুম-খুনের সংস্কৃতি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। জানাজা শেষে 'খুনিদের বিচার চাই' দাবিতে স্লোগান তোলেন তাঁরা।
সিদ্ধিরগঞ্জেই বাড়ি বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইমরান হোসেনের। জানাজা শেষে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, 'নারায়ণগঞ্জে একের পর এক খুন, অপহরণ হচ্ছে। এভাবে তো চলতে পারে না। এই নোংরা খুনের রাজনীতি বন্ধ হোক। আর যারা সাতজনকে এভাবে মারল, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এই খুনিদের বের করা গেলেই সব বেরিয়ে আসবে।' ইমরানের পাশে থাকা সিদ্ধিরগঞ্জের ব্যবসায়ী নূরুন্নবীও বলেন, 'এই সাতজনকে কারা হত্যা করল, তা আমরা জানতে চাই।'
জানাজার আগে নারায়ণগঞ্জের সাংসদ নজরুল ইসলাম বলেন, '২২ বছর ধরে নজরুল ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। যারা তাঁকে খুন করেছে, তাঁদের বিচার করতেই হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। তারা যত শক্তিশালীই হোক, বিচার হতেই হবে।' নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, 'নজরুল বেশ কিছুদিন ধরেই আতঙ্কে ভুগছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা দলীয় নেতা, পুলিশ, র্যাব—সবাইকে জানিয়েছিলাম। তারা যদি ব্যবস্থা নিত, এই খুন হতো না।'
নারায়ণগঞ্জ শহরে কথা হয় কলেজছাত্র আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'এত নৃশংসভাবে কোনো মানুষ কি মানুষকে খুন করতে পারে?' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিমত দেন, কোনো সাধারণ খুনি কিংবা খুনির দল প্রকাশ্যে সাতজন লোক গুম করার সাহস করবে না। এর সঙ্গে প্রভাবশালী কোনো বাহিনী জড়িত। কাজেই রাষ্ট্রকেই এ ধরনের গুম-খুন বন্ধ করতে হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জেই বাড়ি বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইমরান হোসেনের। জানাজা শেষে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, 'নারায়ণগঞ্জে একের পর এক খুন, অপহরণ হচ্ছে। এভাবে তো চলতে পারে না। এই নোংরা খুনের রাজনীতি বন্ধ হোক। আর যারা সাতজনকে এভাবে মারল, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এই খুনিদের বের করা গেলেই সব বেরিয়ে আসবে।' ইমরানের পাশে থাকা সিদ্ধিরগঞ্জের ব্যবসায়ী নূরুন্নবীও বলেন, 'এই সাতজনকে কারা হত্যা করল, তা আমরা জানতে চাই।'
জানাজার আগে নারায়ণগঞ্জের সাংসদ নজরুল ইসলাম বলেন, '২২ বছর ধরে নজরুল ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। যারা তাঁকে খুন করেছে, তাঁদের বিচার করতেই হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। তারা যত শক্তিশালীই হোক, বিচার হতেই হবে।' নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, 'নজরুল বেশ কিছুদিন ধরেই আতঙ্কে ভুগছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা দলীয় নেতা, পুলিশ, র্যাব—সবাইকে জানিয়েছিলাম। তারা যদি ব্যবস্থা নিত, এই খুন হতো না।'
নারায়ণগঞ্জ শহরে কথা হয় কলেজছাত্র আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'এত নৃশংসভাবে কোনো মানুষ কি মানুষকে খুন করতে পারে?' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিমত দেন, কোনো সাধারণ খুনি কিংবা খুনির দল প্রকাশ্যে সাতজন লোক গুম করার সাহস করবে না। এর সঙ্গে প্রভাবশালী কোনো বাহিনী জড়িত। কাজেই রাষ্ট্রকেই এ ধরনের গুম-খুন বন্ধ করতে হবে।
No comments