দিল্লিতে আদালতে সাহারা প্রধানের মুখে কালি
নয়াদিল্লিতে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে গতকাল সাহারাপ্রধান সুব্রত রায়ের মুখে কালি নিক্ষেপ করেন বিক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি, এএফপি |
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে গতকাল মঙ্গলবার ৭৫ হাজার কোটি রুপির মালিক সাহারা গোষ্ঠীর প্রধান সুব্রত রায়ের মুখে এক দোয়াত কালি নিক্ষেপ করেছেন বিক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি। এরপর আদালতে গিয়ে পেলেন আরও দুঃসংবাদ। তাঁর পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তিনি ছাড়াও মামলা দায়ের হওয়া তাঁর দুই কোম্পানির পরিচালকদের বিচারিক হেফাজতে থাকতে হবে। সুব্রত রায় নানা অজুহাতে আদালতে হাজিরা না হওয়ায় ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তর প্রদেশ পুলিশ তাঁকে লক্ষৌ থেকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বেলা একটায় পুলিশি পাহারায় তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে হাজির করা হয়। আদালত চত্বরে গাড়ি থেকে নামার পরই মনোজ শর্মা নামের এক ব্যক্তি তাঁর মুখে এক দোয়াত কালি নিক্ষেপ করেন। তিনি চিৎকার করে বলেন, সুব্রত রায় চোর। সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ তিনি চুরি করেছেন। মনোজ জানান, তিনি আইনজীবী।
দুই বছর আগে কমনওয়েলথ গেমস কেলেঙ্কারিতে জড়িত কংগ্রেসের সাংসদ সুরেশ কালমাডিকে জুতা মেরেছিলেন। মুখ ও জামায় কালিমাখা অবস্থায় আদালতে ঢোকেন সুব্রত রায়। আদালতে তিনি অর্থ পরিশোধের বিকল্প প্রস্তাব দেন। অর্থ ফেরত দিতে দুই মাস বাড়তি সময় চান। তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে তাঁদের সম্পত্তি বিক্রি করে লগ্নিকারীদের অর্থ ফেরত দেবেন। সাহারা পরিবারের ১৬ লাখ কর্মীর দিকটাও আদালতকে মনে রাখতে অনুরোধ করেন তিনি। তবে এতে আদালত সন্তুষ্ট হননি। শেয়ার ও স্টক এক্সচেঞ্জে লগ্নিকারীদের স্বার্থ দেখতে গঠিত সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি) সাহারা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করেছে। কোম্পানির যে দুটি প্রকল্প থেকে ২৪ হাজার কোটি রুপি সংগৃহীত হয়, সেবি তা বেআইনি বলে জানিয়ে আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের নির্দেশ দেয়। দীর্ঘ টালবাহানার পর সাহারা দাবি করে, তারা অধিকাংশ অর্থই ফেরত দিয়েছে। বাকি আছে মাত্র পাঁচ হাজার কোটি রুপি। সুপ্রিম কোর্টের কাছে কোম্পানির দাবি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। তাই তাঁদের বিচারিক হেফাজতে থাকতে হবে। গতকালই তাঁদের তিহার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১১ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
No comments