শান্তি আলোচনার স্বার্থে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে
ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ দেখতে চাইলে ইসরায়েলকে অবশ্যই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত সোমবার ওয়াশিংটনে বৈঠককালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ কথা বলেছেন। ওবামা ও নেতানিয়াহু সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন তাঁরা। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আলোচনা প্রশ্নে দুই নেতা আগে থেকেই পারস্পরিক বিদ্বেষ থেকে বের হয়ে আসতে পারছিলেন না; সোমবারও তা এড়াতে পারলেন না। ওবামা শান্তি-প্রক্রিয়ার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তের জন্য চাপ দিলেন। অন্যদিকে নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিলেন, ইসরায়েল তার কাজ এরই মধ্যে করে দেখিয়েছে। ইরানই এখন শান্তি-প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় হুমকি। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন বর্তমানে সাত মাস মেয়াদের সরাসরি সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী এপ্রিলে এই সংলাপের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ওবামা বলেন, ‘চলমান সংলাপ শেষ করার জন্য আমরা যে সময়কাঠামো ঠিক করেছি, তার সময় শেষ হয়ে আসছে। এখন কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার বিশ্বাস, এখনো দুটি রাষ্ট্র তৈরি সম্ভব।
তবে এটা কঠিন কাজ এবং এ জন্য সব পক্ষকেই আপস করতে হবে।’ তবে ইসরায়েলি নেতার জবাব ছিল বেশ কড়া। তিনি ওবামাকে জানিয়ে দেন, শান্তির স্বার্থে গত ২০ বছরে ইসরায়েল ‘নজিরবিহীন পদক্ষেপ’ গ্রহণ করেছে। এখন বল নিশ্চিতভাবেই ফিলিস্তিনিদের কোর্টে। তিনি বলেন, গত দুই দশকে ইসরায়েল বসতি নির্মাণ বন্ধ করেছে, পুরো বসতি উচ্ছেদ করেছে এবং শত শত ফিলিস্তিনি ‘সন্ত্রাসী’কে মুক্তি দিয়েছে। হোয়াইট হাউসে ওবামা-নেতানিয়াহু বৈঠক অন্তত দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়। এ বৈঠকে ওবামা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির দীর্ঘ প্রচেষ্টায় যে বহুল প্রতীক্ষিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে, তা এপ্রিলের পর বর্ধিত করার ব্যাপারে নেতানিয়াহুকে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। অসমর্থিত খবরে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন ফিলিস্তিনিদের আলোচনার টেবিলে রাখতে ইহুদি বসতি নির্মাণ আংশিক বন্ধ রাখার দাবি তুলতে পারে। বসতি নির্মাণ নিয়েই ২০১০ সালে ওবামার প্রথম মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা ভেঙে পড়েছিল। এএফপি।
No comments