এগুচ্ছেন কর্নিয়া
জাকিয়া সুলতানা কর্নিয়া। তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছেন সংগীতের নতুন পথে, ঝলমলে কণ্ঠমুখ সঙ্গে নিয়ে। ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে তার বসবাস।
তবুও
অনেকটা উদাসীনতা নিয়েই পাওয়ার ভয়েজ-২০১২ প্রতিযোগিতার অডিশনে অংশ নিলেন
ঢাকা বিভাগ থেকে। এরপর আর থামতে হয়নি। গেল প্রায় এক বছরে কর্নিয়া নিজের
কণ্ঠ আর গ্ল্যামার উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন চার পাশে, সংগীতে। প্রতিযোগিতা থেকে
পেয়েছেন প্রথম রানারআপের স্বীকৃতি। কর্নিয়ার ভাষায়, এই প্রতিযোগিতা কিংবা
প্ল্যাটফর্ম থেকে জীবনের অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এতদিন যেটাকে এক চোখে
দেখেছি, এখন সেটাকে দুই চোখে দেখতে শিখেছি। অর্থাৎ এই মিডিয়ার এখন অনেক
কিছুই আমার কাছে বিজ্ঞাপনের ভাষায় ‘সেরকম পরিষ্কার’! কর্নিয়া আরও বলেন,
টানা এক বছরের জার্নি ছিল পাওয়ার ভয়েজে। চেষ্টা করেছি নিজেকে সবার কাছে
প্রমাণ করার। হয়তো পেরেছি, তাইতো রানারআপ হয়েছি। এতেই আমি তুষ্ট। বাকি পথ
আমি নিজের মতো করে এগুতে পারবো এটা আমার বিশ্বাস। হুম, সত্যি সত্যি সঠিক
পথেই এগুচ্ছেন সংগীতের এই তরুণী লাস্যময়ী। নিয়মিত চলছে স্টেজ শো। চলছে টিভি
স্টুডিও লাইভ শো। চলছে প্লেব্যাক এবং অডিও অ্যালবামের রেকর্ডিং। কর্নিয়া
জানান, এরই মধ্যে প্লেব্যাকে অভিষেক ঘটেছে তার। ‘রাঙা মন’, ‘দ্য স্টোরি অব
সামারা’ এবং ‘স্বপ্ন ছোঁয়া’ চলচ্চিত্রের জন্য গেয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে আরও
বেশ কিছু চলচ্চিত্রের গানের কথা চলছে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কর্নিয়া এখন মন
বসিয়েছেন পাওয়ার ভয়েসের শীর্ষ ৬ ও ১১-কে নিয়ে দুটি মিশ্র অ্যালবামের
রেকর্ডিংয়ে। সঙ্গে পড়াশোনাটাও চালিয়ে যাচ্ছেন সচেতনভাবে। ইস্টার্ন
ইউনিভার্সিটি থেকে এরই মধ্যে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন কর্নিয়া। গান শেখার
কাজটাও চালিয়ে নিচ্ছেন। গান শিখছেন ওস্তাদ সঞ্জীব দে’র কাছে। আর মনে মনে
স্বপ্ন বুনছেন এই বছরে পাওয়ার ভয়েজের হয়ে ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্যে উড়াল দেয়ার।
সেখানে প্রবাসীরা অপেক্ষায় আছেন কর্নিয়ার কণ্ঠে গান শোনার জন্য। কর্নিয়ার
সামপ্রতিক স্বপ্নের তালিকায় আরও আছে নতুন বছরে নিজের একটি একক অ্যালবাম
প্রকাশ। কর্নিয়ার ভাষায়, আমি এগুতে চাই অনেকটা পথ। দ্রুত নয়, আস্তে ধীরে।
No comments