অতিরিক্ত কামভাব চিকিৎসায় হোমিও

হাইপারসেক্স অর্থ অতিরিক্ত কামভাব। পুরুষের কামভাব কম বেশি হয়- তার দেহের হরমোন নিঃসরণের কম বেশির উপর। যদি কারো উত্তেজনা বেশি হয়- তাহলে হরমোন বেশি নিঃসরণের জন্যই তার মনে অতিরিক্ত কামভাব জাগতে পারে।

অনেকের মধ্যে সত্যিকারের কামভাব থাকে না। তারা যৌবনের শুরু থেকে মনকে কামচিন্তায় ডুবিয়ে রাখে,

যার ফলে  ঘন ঘন যৌন উত্তেজনা আসে। ফলে তাদের বীর্য প্রথমে গাঢ় থাকলেও পরে তরল হয়ে যায় পুষ্টির অভাব শরীলে থাকলে সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে অবিরাম কামচিন্তার জন্য অনেকের ঘন ঘন স্বপ্ন দোষ, বিভিন্ন উপায়ে শুক্রক্ষয় হতে দেখা যায়, দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও কামচিন্তার জন্য উত্তেজনা জাগতে পারে। এটি রোগ নয়। নেশার প্রভাব মাত্র বলা যায়।
কারো কৈশোর থেকে বিভিন্ন উপায়ে শুক্রক্ষরণ করে যৌনাঙ্গের উপর চাপ আসতে থাকে এতে যৌনাঙ্গে জটিল ক্ষতি হয়।
অনেক সময় নতুন বিবাহ করে স্ত্রী থেকে দূরে থাকার জন্যও নতুন নারী লাভের কাম চিন্তা জাগে। এতে উত্তেজনায় ও আবেগে শুক্রক্ষরণ হয়। তাই বুঝে নিতে হবে প্রকৃত হাইপারসেক্স বা অতিরিক্ত কামভাব কিনা। প্রকৃত কামভাব হলে কখনো স্বাস্থ্য হানি হবে না। তার মনকে অন্যত্র ভাল চিন্তার মধ্যে ডুবিয়ে রাখলেও যৌন উত্তেজনা হবে। এমন অবস্থা খুব কম দেখা যায়।
জটিল উপসর্গ : যৌন রোগাদি হলে তার নানা উপসর্গাদি দেখা দিতে পারে তা না হলে জটিল উপসর্গ দেখা যায় না তবে বেশি কামভাব দুর্বলতা বা কারণে-অকারণে নিজ স্ত্রীর বিরক্তি ঘটালে সহজে দুর্বল যৌন রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি ও আক্রান্ত হয়। তার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন। রোগ নির্ণয় : সব সময় ভালভাবে দেখে রোগ নির্ণয় করা আবশ্যক। প্রয়োজনে হরমোন নিঃসরণ কমবেশি হচ্ছে কিনা বীর্যে শুক্রকিট পরিমাণ ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে হোমিও পদ্ধতিতে ওষুধ প্রয়োগ করা উচিত।
চিকিৎসা : অতিরিক্ত কামভাব পুরুষ ও নারীর উভয়ের আসতে পারে। প্রকৃত অতিরিক্ত কিনা। সঠিকভাবে নির্ণয় না করে চিকিৎসা নেয়া ঠিক না। যদি প্রকৃত কামচিন্তা প্রবল হয় এবং তার জন্য শরীরের কুফল দেখা দেয়। তাহা হলে ওষুধ সেবন প্রয়োজন। নারী-পুরুষ উভয়ের অতিরিক্ত কামভাব শরীরের, মনের ও যৌনাঙ্গের কুফল বয়ে আনে।


ডা. মো. ইব্রাহীম মজুমদার।
নবযুগ হোমিও ক্লিনিক
(পাগলা) শাহী বাজার। ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ

No comments

Powered by Blogger.