সরল গরল- রিভিউ আইনসম্মত, বিএনপি কৌশলগত by মিজানুর রহমান খান

কাদের মোল্লার আদালতের রায় কার্যকর করার প্রক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি আইনি বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে জামায়াত যথারীতি স্ববিরোধী অবস্থান নিয়েছে।
তাদের শীর্ষ আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘এই রায় মানতে তাঁরা বাধ্য। কারণ, তাঁরা সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ভুল রায় বিবেচনায় তাঁরা এর বিরুদ্ধে রিভিউ করবেন।’ একই সঙ্গে তাঁরা আইন ও যুক্তির পথ ছেড়ে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার দুর্ভাগ্যজনক হরতাল ডেকেছে, হরতাল ডাকার পর ব্যাপকভিত্তিক গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ—এসবও হয়েছে।

নিয়ম হলো, পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউর জন্য দরখাস্ত করা যাবে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রায় না পেলে বিচারিক আদালত মৃত্যু পরোয়ানা জারি করতে পারবেন না। ফাঁসি কার্যকর হবে না। কত দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় মিলবে, তার কোনো সময়সীমা নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ের পর এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ এবং আপিল বিভাগে রিভিউ এবং একই দিনে প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজের সাড়ে ১৪ ঘণ্টার মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলেছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি। চূড়ান্ত রায় থেকে তাঁদের ফাঁসিতে ঝোলাতে সময় লেগেছিল ৬৯ দিন। আগামী ৬৯ দিন পরে অর্থাৎ নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে হয়তো নির্বাচনী প্রচারণা এবং তা ঠেকানোয় রাজনীতি হবে ফুটন্ত কড়াই।
তবে এবার আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রিভিউ পিটিশন দাখিলের অধিকার নেই মর্মে যে অভিমত দিয়েছেন, তা নতুন করে একটি জটিলতা সৃষ্টির ইঙ্গিতবহ। এর আগে হাইকোর্টের রায়দান এবং শাহবাগের জাগরণের পর তাঁদের হঠাৎ ঘুম ভাঙে এবং আপিলের বিধান আনেন। তাঁদের ব্যাখ্যা অনাবশ্যক বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে এবং তা সংবিধানস্বীকৃত দণ্ডিতের মানবাধিকার রক্ষা করে না। আইনমন্ত্রী মনে করেন, এটি বিশেষ আইন, তাই রিভিউ নয়, কেবল প্রাণভিক্ষার সুযোগ আছে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ‘এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার সুযোগ নেই। কারণ, ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনটিকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে।’ সংশ্লিষ্ট আইনের কোথাও নির্দিষ্টভাবে রিভিউর অধিকারের কথা বলা নেই। আবার এই অধিকার দণ্ডিত ব্যক্তির নেই, তাও নির্দিষ্টভাবে কোথাও বলা নেই। আইনের যেকোনো অস্পষ্টতার সুবিধা সাধারণত অভিযুক্ত ব্যক্তি নেওয়ার চেষ্টা করেন।
রিভিউর অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ বলেছে, ‘সংসদের যে কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে এবং আপীল বিভাগ কর্তৃক প্রণীত যে কোনো বিধি-সাপেক্ষে আপীল বিভাগের কোনো ঘোষিত রায় বা প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা উক্ত বিভাগের থাকিবে।’ আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের মত ভ্রান্তিপূর্ণ, সুচিন্তিত নয়। কাদের মোল্লার পক্ষে রিভিউর দরখাস্ত করা হলে রাষ্ট্রপক্ষ হয়তো সংবিধানের ৪৭ক অনুচ্ছেদের আলোকে রিভিউর অধিকার নেই, সেই যুক্তি আদালতে তুলে ধরতে পারে।
৪৭(ক) অনুচ্ছেদ নির্দিষ্টভাবে কাদের মোল্লাসহ যেকোনো অভিযুক্ত ও দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীর জন্য সংবিধানের ৩১, ৪৪ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের ১ ও ৩ দফায় নিশ্চিত করা অধিকারসমূহ প্রযোজ্য হবে না বলেছে। ১০৫ প্রযোজ্য হবে না তা বলেনি। ওই অনুচ্ছেদের ২ দফা অবশ্য বলেছে, ‘এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদের ৩ দফায় বর্ণিত কোনো আইন (১৯৭৩ সালের আইন) প্রযোজ্য হয়, এই সংবিধানের অধীন কোনো প্রতিকারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করিবার কোনো অধিকার সেই ব্যক্তির থাকিবে না।’ এর মানে ‘সংবিধানের অধীনে কোনো প্রতিকার’ বলতে ১০৫ অনুচ্ছেদটিও পড়বে। কিন্তু আমি তা মনে করি না। আইনজীবী আনিসুল হকের সঙ্গে আমি একমত যে, ‘এই অনুচ্ছেদ সত্ত্বেও কাদের মোল্লার রিভিউর অধিকার খর্ব হয়নি। আর ৪৭ক(২) অনুচ্ছেদে বর্ণিত “প্রতিকার” মানে ১০২ অনুচ্ছেদের আওতায় প্রতিকার না পাওয়া।’ একজন দণ্ডিত ব্যক্তির জন্য কোনো দেশের গোটা সংবিধানে দেওয়া সব ধরনের অধিকার, যার মধ্যে তাঁর ধর্মীয় অধিকারও পড়ে, তা তিনি দাবি করতে পারবেন না—এই যুক্তি আমাদের একটি কিম্ভূতকিমাকার পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়। সুতরাং, আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের উক্তি অনভিপ্রেত এবং নাকচযোগ্য। মূল আইনে আপিল করার যে অধিকার দেওয়া আছে, তার মধ্যে রিভিউর অধিকারও অবিচ্ছেদ্য। তা ছাড়া তাদের ব্যাখ্যা মানার অর্থ হচ্ছে দণ্ডিত ব্যক্তি ৩৫ অনুচ্ছেদের ৫ দফায় বর্ণিত অধিকারও পাবেন না। সহজ করে বললে দাঁড়ায়, বিশেষ আইনে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী বলেই কোনো ব্যক্তিকে এই রাষ্ট্র যন্ত্রণা দিতে পারবে। কারারক্ষীরা কাদের মোল্লার সঙ্গে ‘নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর’ ব্যবহার করতে পারবে। অথচ এসব করা হলে তাতে ওই ৫ দফার লঙ্ঘন ঘটবে এবং কাদের মোল্লার আইনজীবীরা এর প্রতিকার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করতে পারবেন।
দেশের বিরাজমান বাস্তবতায় দলীয়করণ দোষে দুষ্ট একটি সরকারের পক্ষে এ নিয়ে অনভিপ্রেত বিতর্ক করা কিংবা রিভিউর শুনানি হতে না দিয়ে তাড়াহুড়ো করা কিংবা অতি-উৎসাহীদের কবলে পড়া কিংবা নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ফায়দা লাভের প্রবণতায় ফাঁসির রায় কার্যকর করতে উদ্যোগী হওয়া অথবা ধূম্রজাল সৃষ্টি করে রায় কার্যকর করা কিংবা বিলম্বিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা বুমেরাং হতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদনে দেখলাম, জামায়াতের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই প্রথম দক্ষিণ এশীয় কোনো বিচারিক আদালতের দেওয়া শাস্তি আপিলে আরও কঠোর করা হয়েছে।’ এটি সঠিক নয়। ২০০৫ সালের নভেম্বরে ভারতের একটি বিচারিক আদালত চারজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। ২০০৭ সালের অক্টোবরে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট তাঁদের সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবনে উন্নীত করেন। আপিলে সাজা বাড়ানো যায় না, সুপ্রিম কোর্ট ২০১১ সালে দণ্ডিত ব্যক্তিদের এই যুক্তি নাকচ করে বর্ধিত দণ্ড বহাল রাখেন। ১৯৮৪ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ওয়াজম্যান বনাম সুপ্রিম কোর্ট মামলায় বলেন, ‘আপিলে অভিযুক্তকে আরও কঠোর দণ্ড দান করা হলে তাতে পঞ্চম সংশোধনীতে দেওয়া অধিকার বা ডিউ প্রসেসের নীতির লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে না।’ বিশ্বের অন্য আন্তর্জাতিক আদালতে আপিলে যুদ্ধাপরাধীদের সাজা বৃদ্ধি ও হ্রাস—উভয় নজিরই আছে।
যদিও এই ট্রাইব্যুনালের গঠন এবং আইনগত নানা দিক ‘আন্তর্জাতিক মানসম্মত’ কি না, সেই প্রশ্নে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ রয়েছে, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এই নজির স্থাপন করল যে সব পক্ষের কার্যকর অংশগ্রহণেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিচার-প্রক্রিয়ার আদলে তৈরি করা বাংলাদেশি আইনটির সার্থক প্রয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব। জামায়াতে ইসলামী এই রায়ের বিরুদ্ধে নানাভাবে প্রতিবাদ করলেও এটাই বড় সত্য যে তাদের আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনাল ও আপিল বিভাগে সর্বতোভাবে আইনি লড়াই চালিয়েছেন।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সংবিধানের প্রথম সংশোধনী আনা হয়েছিল এই আইনটিকে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ দেওয়ার জন্য। এটা তাৎপর্যপূর্ণ যে গত ৪১ বছরের বাংলাদেশের ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ রাজনৈতিক ইতিহাসে সংবিধান বিভিন্নভাবে কাটাছেঁড়া হলেও এই আইনটি এবং তাকে হেফাজতকারী সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদটি কেউ বিলোপ করেনি। সর্বসম্মতিক্রমে খুলে রাখা বিচারের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে বিচারকগণ সর্বসম্মতিক্রমে মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করলেন। কেবল শাস্তির মাত্রা নিয়ে একজন ভিন্নমত দিলেন। প্রমাণিত হলো, অতীত কখনো মরে না। বিলম্বিত বিচার বিচারহীনতা নয়।
জামায়াতের বর্তমান মিত্র বিএনপি তার পাশে রয়েছে ঠিকই, কিন্তু এটাও সত্য যে বিএনপি নির্দিষ্টভাবে কোনো রায় নাকচ করেনি। এমনকি কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন তারাও সংহতি প্রকাশ করেছিল। কিন্তু কেবল সরকারের ‘রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির’ অভিযোগ তুলে দ্রুত মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
বিএনপি চুপ রয়েছে। এই চুপ স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতি সহমর্মিতারই বহিঃপ্রকাশ, সর্বাংশে তা ধরে নেওয়া ঠিক নয়। এটা অনেক বেশি কৌশলগত। আওয়ামী লীগ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকালে জামায়াত প্রশ্নে এ রকমই চুপ থেকেছে। গতকাল জামায়াতের ব্রিফিংকালে হাজির থেকে মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘তাঁর ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া নেই। তাঁর দলের থাকতে পারে।’ কিন্তু মওদুদ গত বছর প্রকাশিত তাঁর বাংলাদেশ আ স্টাডি অব দি ডেমোক্রেটিক রেজিমস (ইউপিএল ২০১২) বইয়ে আমাদের প্রকারান্তরে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, জামায়াতের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া বিএনপির আগের হলফনামা আজও অপরিবর্তিত। তাই আমি বিএনপিকে রাজপথে জামায়াত তাড়াতে দেখি না, সুপ্রিম কোর্টে দেখি।
পঞ্চম সংসদের মেয়াদে খালেদা জিয়ার জামায়াতবিরোধী অবস্থানকে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা কোনো মূল্যায়ন করেনি। ‘নীতিহীনতা’ প্রতীয়মান হলেও বিএনপি আজ কৌশলগতভাবে তার বদলা নিতে পারে। একজন মুক্তিযোদ্ধা মওদুদ তাঁর বইয়ের ৩৬৯ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘বিএনপি সরকারের পক্ষে আদালতে দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে জামায়াতে ইসলামীর সশস্ত্র ক্যাডাররা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয় এবং অধ্যাপক গোলাম আযম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রাজাকার আলবদর এবং আলশামসের মতো বাহিনী গঠনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা দেন।’ মওদুদ আহমদ তাঁর বইয়ের ৩৭০ পৃষ্ঠায় যেসব প্রশ্নের অবতারণা করেছেন, তা জ্বলন্ত প্রশ্ন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রশ্নটি কোনো আদালতে দায়ের করা মামলার বিষয় ছিল না কিংবা ছিল না তাঁর (গোলাম আযমের) নাগরিকত্বের কারিগরি দিক নিয়ে প্রশ্ন কিংবা অধ্যাপক গোলাম আযম একজন কোলাবরেটর ছিলেন কি ছিলেন না কিংবা এই প্রশ্নও ছিল না যে, বাংলাদেশ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল কি না? কিন্তু এই প্রশ্ন এক বিরাট বিস্ময়ের সঙ্গে তোলা হয় যে, কী করে জামায়াতের সমর্থন নিয়ে গঠিত সরকার তাদের আমিরকে কারাগারে প্রেরণ করে? সেটা কেবল দুই নেতার মধ্যকার সমঝোতার লঙ্ঘন নয়, সেটা এমনকি রাজনৈতিক আস্থা ও বিশ্বাসের দিক থেকে একটি ঘোরতর বিশ্বাসঘাতকতাও বটে। যদি জামায়াত ও অধ্যাপক আযম পাকিস্তানি দখলদার সরকারের কোলাবরেটরই হয়ে থাকবেন, তাহলে বেগম জিয়া কেন সরকার গঠনে বামপন্থী দলগুলোর ১১ সাংসদের দেওয়া সমর্থন ফিরিয়ে দিলেন?’ মওদুদকে আমি নাকচ করি না, যখন তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জামায়াত ও জাতীয় পার্টিকে হেনস্তা করেছিলেন খালেদা জিয়া। অথচ কদিন বাদেই শেখ হাসিনা এই দুটি শক্তিকে নিয়ে খালেদা জিয়ার সরকার পতন ও তত্ত্বাবধায়ক আন্দোলনে অবতীর্ণ হন।’ দুই চিহ্নিত রাজাকারের গাড়িতে পতাকা উড়িয়ে কি খালেদা জিয়া সেই ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ পুষিয়ে দিয়েছিলেন?
আমি ওই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি। একজন কাদের মোল্লার রায়ের আগে ও পরে তাই খালেদা জিয়ার কণ্ঠে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দাবি আমাকে বেদনাহত করে খুব বিস্মিত করে না, মনে হয়, এটা বুঝি নিতান্তই কৌশলগত! এই রায় হাতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কণ্ঠে ভোটভিক্ষার আওয়াজ আর বিএনপির মদদপুষ্ট জামায়াতিদের সম্পূর্ণ বেআইনি ও সন্ত্রাসী হরতাল বাংলাদেশ রাজনীতিকে কোথায় নিয়ে চলে, তা দেখতে আমরা অপেক্ষায় থাকব।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.