সিরিয়ার খবরের প্রধান উৎস সোশ্যাল মিডিয়া
যুদ্ধ সাংবাদিকতার সঙ্গে সাংবাদিকতার যে
টার্মটি বেশি পরিচিত তা হচ্ছে ‘এমবেডেড জার্নালিজম’। বিরোধী পক্ষের
বিরুদ্ধে অভিযানের সময় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে থাকেন সংবাদকর্মীরা।
নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়, কেটে ফেলতে হয় ফুটেজের অংশ বা ছবি।
কিন্তু সিরিয়ায় সাংবাদিকদের এ সুযোগও মিলছে না। পশ্চিমা বা অন্য দেশের সাংবাদিকদের প্রবেশ এক প্রকারে নিষিদ্ধ সিরিয়ায়। যারা যুদ্ধের শুরুতে ঢুকতে পেরেছে তাদের দুই বা একজন রয়েছেন।
এছাড়াও সাংবাদিকদের জন্য ভয়ঙ্কর স্থানটির নামেও উঠে এসেছে সিরিয়া। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন করছে।
সামাজিক মাধ্যমগুলোর ওপর ভিত্তি করেই সিরিয়ার অধিকাংশ খবর জানাচ্ছেন সাংবাদিকরা। এমনকি ২১ আগস্ট সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে তারও উৎস ছিল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো।
নিজেদের গোয়েন্দা প্রতিবেদন সম্পর্কে বলতে গিয়ে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, সব কুকর্ম প্রকাশ পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। হামলার ৯০ মিনিটের মাত্রায় ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন তথ্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে প্রকাশিত হয় বলে জানান তিনি।
তাদের গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, গোয়েন্দা সংস্থা, সাংবাদিক ও চিকিৎসা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে।
ইউটিউবে বিশ্ব যেসব ফুটেজ দেখছে, সেগুলোও কভার করছেন পশ্চিমা সাংবাদিকরা।
নিহত বা অপহরণ হওয়ার ভয় এবং ভিসা জটিলতার কারণে সিরিয়ার সীমান্তের বাইরে থেকে অধিকাংশ সাংবাদিক দায়িত্ব পালন করছেন।
হার্ভার্ডের নিম্যান ফাউন্ডেশনের অধ্যক্ষ অ্যান ম্যারি লিপিনস্কি বলেন, সিরিয়ার ভেতরে প্রবেশের জটিলতায় বিদেশি সংবাদদাতাদের সংখ্যাকে কমিয়ে দিয়েছে।’
তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের কারণে পূর্ববর্তী উত্তেজনা বা সংকটের সময় আমেরিকার জনগণ যেভাবে তথ্য পেয়েছে তাতে পরিবর্তন আসবে।
দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস সিরিয়াকে সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দেশে হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। নিউইয়র্কভিত্তিক এ অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের হিসাব মতে, গত বছর সিরিয়ায় ২৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে এবং চলতি বছরে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে আরও ১৮ জন সাংবাদিক।
যেসব টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিনিধি দামেস্ক থেকে খবর পাঠাচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছে সিবিএস নিউজ, বিবিসি ও ব্রিটিশ সংবাদ সরবরাহকারী আইটিএন। সিএনএনের সংবাদদাতা ফ্রেড প্লেইটজেন দামেস্ক ছিলেন, চলতি সপ্তাহে তার ভিসা মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি এখন বৈরুতে অবস্থান করছেন।
সিরিয়ায় নিজেদের সংবাদদাতা রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স ও এপি। এছাড়া দামেস্কে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একজন সংবাদদাতা রয়েছে।
অনেক সংবাদদাতা নিরাপদে থাকার জন্য সিরিয়ার সীমান্তবর্তী স্থানে চলে যাচ্ছেন। এনবিসি নিউজের করেসপন্ডেন্ট এ সপ্তাহে পাঁচদিন জিম্মি থাকার পর মুক্ত হন। তিনি এখন তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত থেকে সংবাদ পাঠাচ্ছেন।
সিরিয়ার খবর সংগ্রহের জন্য দুই দশক বন্ধ রাখার পর বৈরুতে নিজে ব্যুরো ফের খুলেছে এবিসি নিউজ। ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস বৈরুত থেকে সিরিয়ার সংবাদ সংগ্রহ করছে।
এবিসি নিউজের আন্তর্জাতিক সংবাদ শাখার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জন উইলিয়াম জানান, এই সময়ে দামেস্কে থাকা খুবই ঝুঁকিপুর্ণ। আর যখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রের বর্ষণ শহরটিতে শুরু হবে, তখন তার মাত্রা আরও বেড়ে যাবে।
সংবাদ সংগ্রহের জন্য সংবাদ মাধ্যমগুলো নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করছে। যেমন এবিসি করেছে বিবিসির সঙ্গে, এনবিসি করেছে আইটিএনের সঙ্গে। কিন্তু তারপরেও এসব নেটওয়ার্ককে বেশির ভাগ সময় নির্ভর করতে হচ্ছে, ইউটিউব ও অন্য তৃতীয় উৎসের ওপর।
কিন্তু এসব উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনেক সময় সঠিক হলেও সংকট নিয়ে বিভ্রান্তিও ছড়িয়ে প্রচুর। বিদ্রোহী বা অন্য পক্ষের আপলোড করা ভিডিও ফুটেজগুলোর সত্যতা যাছাই করা খুবই দুষ্কর।
চলতি সপ্তাহে সিএনএন একটি ভিডিও ফুটেজ প্রচার করে যেটিকে গণহত্যার প্রমাণ হিসেবে মনে করা হয়েছিল। সিএনএন জানিয়েছে, তারা যে সূত্র থেকে ভিডিও ফুটেজটি পেয়েছেন তিনি একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি এবং বিশ্বাসভাজন।
সিবিএস নিউজের ওয়াশিংটন ব্যুরোর প্রধান জানান, তারা সিরিয়ার তৃতীয় পক্ষের ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করার জন্য লন্ডনে আরব ভাষীদের একটি দলকে কাজে লাগিয়েছেন।
কিন্তু সিরিয়ায় সাংবাদিকদের এ সুযোগও মিলছে না। পশ্চিমা বা অন্য দেশের সাংবাদিকদের প্রবেশ এক প্রকারে নিষিদ্ধ সিরিয়ায়। যারা যুদ্ধের শুরুতে ঢুকতে পেরেছে তাদের দুই বা একজন রয়েছেন।
এছাড়াও সাংবাদিকদের জন্য ভয়ঙ্কর স্থানটির নামেও উঠে এসেছে সিরিয়া। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন করছে।
সামাজিক মাধ্যমগুলোর ওপর ভিত্তি করেই সিরিয়ার অধিকাংশ খবর জানাচ্ছেন সাংবাদিকরা। এমনকি ২১ আগস্ট সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে তারও উৎস ছিল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো।
নিজেদের গোয়েন্দা প্রতিবেদন সম্পর্কে বলতে গিয়ে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, সব কুকর্ম প্রকাশ পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। হামলার ৯০ মিনিটের মাত্রায় ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন তথ্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে প্রকাশিত হয় বলে জানান তিনি।
তাদের গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, গোয়েন্দা সংস্থা, সাংবাদিক ও চিকিৎসা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে।
ইউটিউবে বিশ্ব যেসব ফুটেজ দেখছে, সেগুলোও কভার করছেন পশ্চিমা সাংবাদিকরা।
নিহত বা অপহরণ হওয়ার ভয় এবং ভিসা জটিলতার কারণে সিরিয়ার সীমান্তের বাইরে থেকে অধিকাংশ সাংবাদিক দায়িত্ব পালন করছেন।
হার্ভার্ডের নিম্যান ফাউন্ডেশনের অধ্যক্ষ অ্যান ম্যারি লিপিনস্কি বলেন, সিরিয়ার ভেতরে প্রবেশের জটিলতায় বিদেশি সংবাদদাতাদের সংখ্যাকে কমিয়ে দিয়েছে।’
তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের কারণে পূর্ববর্তী উত্তেজনা বা সংকটের সময় আমেরিকার জনগণ যেভাবে তথ্য পেয়েছে তাতে পরিবর্তন আসবে।
দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস সিরিয়াকে সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দেশে হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। নিউইয়র্কভিত্তিক এ অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের হিসাব মতে, গত বছর সিরিয়ায় ২৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে এবং চলতি বছরে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে আরও ১৮ জন সাংবাদিক।
যেসব টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিনিধি দামেস্ক থেকে খবর পাঠাচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছে সিবিএস নিউজ, বিবিসি ও ব্রিটিশ সংবাদ সরবরাহকারী আইটিএন। সিএনএনের সংবাদদাতা ফ্রেড প্লেইটজেন দামেস্ক ছিলেন, চলতি সপ্তাহে তার ভিসা মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি এখন বৈরুতে অবস্থান করছেন।
সিরিয়ায় নিজেদের সংবাদদাতা রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স ও এপি। এছাড়া দামেস্কে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একজন সংবাদদাতা রয়েছে।
অনেক সংবাদদাতা নিরাপদে থাকার জন্য সিরিয়ার সীমান্তবর্তী স্থানে চলে যাচ্ছেন। এনবিসি নিউজের করেসপন্ডেন্ট এ সপ্তাহে পাঁচদিন জিম্মি থাকার পর মুক্ত হন। তিনি এখন তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত থেকে সংবাদ পাঠাচ্ছেন।
সিরিয়ার খবর সংগ্রহের জন্য দুই দশক বন্ধ রাখার পর বৈরুতে নিজে ব্যুরো ফের খুলেছে এবিসি নিউজ। ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস বৈরুত থেকে সিরিয়ার সংবাদ সংগ্রহ করছে।
এবিসি নিউজের আন্তর্জাতিক সংবাদ শাখার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জন উইলিয়াম জানান, এই সময়ে দামেস্কে থাকা খুবই ঝুঁকিপুর্ণ। আর যখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রের বর্ষণ শহরটিতে শুরু হবে, তখন তার মাত্রা আরও বেড়ে যাবে।
সংবাদ সংগ্রহের জন্য সংবাদ মাধ্যমগুলো নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করছে। যেমন এবিসি করেছে বিবিসির সঙ্গে, এনবিসি করেছে আইটিএনের সঙ্গে। কিন্তু তারপরেও এসব নেটওয়ার্ককে বেশির ভাগ সময় নির্ভর করতে হচ্ছে, ইউটিউব ও অন্য তৃতীয় উৎসের ওপর।
কিন্তু এসব উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনেক সময় সঠিক হলেও সংকট নিয়ে বিভ্রান্তিও ছড়িয়ে প্রচুর। বিদ্রোহী বা অন্য পক্ষের আপলোড করা ভিডিও ফুটেজগুলোর সত্যতা যাছাই করা খুবই দুষ্কর।
চলতি সপ্তাহে সিএনএন একটি ভিডিও ফুটেজ প্রচার করে যেটিকে গণহত্যার প্রমাণ হিসেবে মনে করা হয়েছিল। সিএনএন জানিয়েছে, তারা যে সূত্র থেকে ভিডিও ফুটেজটি পেয়েছেন তিনি একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি এবং বিশ্বাসভাজন।
সিবিএস নিউজের ওয়াশিংটন ব্যুরোর প্রধান জানান, তারা সিরিয়ার তৃতীয় পক্ষের ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করার জন্য লন্ডনে আরব ভাষীদের একটি দলকে কাজে লাগিয়েছেন।
No comments