একজন প্রকাশ চন্দ্র পাল
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত মাটির তৈজসপত্র তৈরীর ব্যবসার ৫০ বছর পার
করছেন প্রকাশ চন্দ্র পাল। শত মন্দার মধ্যেও হাসি-খুশি প্রকাশ জানালেন তার
পারিবারিক সমৃদ্ধির কথা।
বললেন মাটির জিনিস বিক্রি করে প্রাপ্ত আয় দিয়ে
সন্তানদের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার কথা।
গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলা ও ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার সীমান্তবর্তী শীতলক্ষার শাখা খীরু নদীর পাড়ে অবস্থিত পারুলদিয়া বাজার।
সরেজমিন দেখা যায়, পারুলদিয়া বাজারে একটি ভাঙ্গাচূরা ঘরে প্রকাশ চন্দ্র পালের মাটির তৈরী তৈজসপত্রের দোকান। প্রায় ষাটের কোটায় বয়স হলেও প্রকাশের অবয়ব ও মনের দৃঢ় স্বতঃস্ফূর্ততার বহিঃপ্রকাশ তা প্রমান করে না। মাটির জিনিসপত্র তৈরী ও বিক্রি করে প্রকাশ চন্দ্র পাল ছেলে মেয়েদের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করাতে পারছেন এটিই তার সবচেয়ে বড় পাওয়া।
প্রকাশ চন্দ্র পাল বাংলানিউজকে জানালেন, তার বাবার নাম হেমেন্দ্র চন্দ্র পাল। স্থায়ী বাড়ি গফরগাঁও উপজেলার জয়ধরখালী গ্রামে সূতিয়া নদীর পাড়ে। গ্রামের বাড়িতে স্থাপিত কারখানায় তৈরী মাটির জিনিসপত্র বিভিন্ন দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। জয়ধরখালী বাজারেও একটি দোকান আছে প্রকাশের। পারুলদিয়া বাজারের দোকানে তিনি থাকেন। দোকানেই খাওয়া ধাওয়া ও রাতের ঘুম। এক সময়ের জাঁকজমকপূর্ণ পারুলদিয়া বাজার কালের গর্ভে বিলীন হয়ে এখন কোন মতে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। পাকা রাস্তা ঘাট মিল কারখানা হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে বিভিন্ন শিল্প পয়েন্টে ব্যবসায়িক দোকান দিয়ে পারুলদিয়া বাজারের অনেক নামিদামি ব্যবসায়ী বনে গেছেন। ফলে উন্নত হয়েও অনুন্নত পারুলদিয়া বাজারে একটি আদি যুগের অলংকার প্রকাশ চন্দ্র পালের মাটির তৈরী জিনিসপত্র বিক্রির দোকান।
প্রকাশ চন্দ্র পালের স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে রূপম টাঙ্গাইলের করোটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্র। ছোট ছেলে সুব্রত গাজীপুর জেলার শ্রীপুর ডিগ্রী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। বড় মেয়ে জয়ন্তীকে লেখাপড়া শিখিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়ে স্মৃতি নারায়নগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় পুরোনো এই মাটির ব্যবসার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রকাশ বলেন, মানুষ এখনো মাটির তৈরী জিনিসপত্র কিনেন। অনেক পরিবার আগে থেকেই মাটির জিনিস ব্যবহার করছেন। আবার নতুনভাবে অনেক শিক্ষিত পরিবার শখের বশে মাটির জিনিসপত্র অর্ডার দিয়ে কিনে নেন। চরম অর্থ কষ্টে কোন মতে পারিবারিক সম্মান বজায় রাখতেই তিনি এ ব্যবসা করছেন। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরী তৈজসপত্র অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারবে বলে প্রকাশ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলা ও ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার সীমান্তবর্তী শীতলক্ষার শাখা খীরু নদীর পাড়ে অবস্থিত পারুলদিয়া বাজার।
সরেজমিন দেখা যায়, পারুলদিয়া বাজারে একটি ভাঙ্গাচূরা ঘরে প্রকাশ চন্দ্র পালের মাটির তৈরী তৈজসপত্রের দোকান। প্রায় ষাটের কোটায় বয়স হলেও প্রকাশের অবয়ব ও মনের দৃঢ় স্বতঃস্ফূর্ততার বহিঃপ্রকাশ তা প্রমান করে না। মাটির জিনিসপত্র তৈরী ও বিক্রি করে প্রকাশ চন্দ্র পাল ছেলে মেয়েদের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করাতে পারছেন এটিই তার সবচেয়ে বড় পাওয়া।
প্রকাশ চন্দ্র পাল বাংলানিউজকে জানালেন, তার বাবার নাম হেমেন্দ্র চন্দ্র পাল। স্থায়ী বাড়ি গফরগাঁও উপজেলার জয়ধরখালী গ্রামে সূতিয়া নদীর পাড়ে। গ্রামের বাড়িতে স্থাপিত কারখানায় তৈরী মাটির জিনিসপত্র বিভিন্ন দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। জয়ধরখালী বাজারেও একটি দোকান আছে প্রকাশের। পারুলদিয়া বাজারের দোকানে তিনি থাকেন। দোকানেই খাওয়া ধাওয়া ও রাতের ঘুম। এক সময়ের জাঁকজমকপূর্ণ পারুলদিয়া বাজার কালের গর্ভে বিলীন হয়ে এখন কোন মতে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। পাকা রাস্তা ঘাট মিল কারখানা হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে বিভিন্ন শিল্প পয়েন্টে ব্যবসায়িক দোকান দিয়ে পারুলদিয়া বাজারের অনেক নামিদামি ব্যবসায়ী বনে গেছেন। ফলে উন্নত হয়েও অনুন্নত পারুলদিয়া বাজারে একটি আদি যুগের অলংকার প্রকাশ চন্দ্র পালের মাটির তৈরী জিনিসপত্র বিক্রির দোকান।
প্রকাশ চন্দ্র পালের স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে রূপম টাঙ্গাইলের করোটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্র। ছোট ছেলে সুব্রত গাজীপুর জেলার শ্রীপুর ডিগ্রী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। বড় মেয়ে জয়ন্তীকে লেখাপড়া শিখিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়ে স্মৃতি নারায়নগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় পুরোনো এই মাটির ব্যবসার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রকাশ বলেন, মানুষ এখনো মাটির তৈরী জিনিসপত্র কিনেন। অনেক পরিবার আগে থেকেই মাটির জিনিস ব্যবহার করছেন। আবার নতুনভাবে অনেক শিক্ষিত পরিবার শখের বশে মাটির জিনিসপত্র অর্ডার দিয়ে কিনে নেন। চরম অর্থ কষ্টে কোন মতে পারিবারিক সম্মান বজায় রাখতেই তিনি এ ব্যবসা করছেন। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরী তৈজসপত্র অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারবে বলে প্রকাশ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
No comments