শান্তিতে থাকতে হলে নৌকায় ভোট দিতে হবে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,
শান্তিতে থাকতে হলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। যদি দেশের উন্নয়ন চান তাহলে এখনই
ভোটের সিদ্ধান্ত নিন। শেখ হাসিনা গতকাল সকালে এক সফরে চট্টগ্রাম আসেন।
এরপর
দুপুরে ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
সেখানেই তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম এসেই তিনি প্রথমে সরাসরি চলে যান
নৌবাহিনীর অনুষ্ঠানে। ফটিকছড়িতে আয়োজিত সমাবেশে শেখ হাসিনা মহাজোট সরকারের
সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন
কর্মকাণ্ডেরও কঠোর সমালোচনা করেন। দেশের জনগণকে আওয়ামী লীগের পাশে থাকার
আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত করতে
চাই। ২০২১ সালের মধ্যে দেশটিকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যেতে নৌকায় ভোটের
বিকল্প নেই। আল্লাহ হচ্ছেন সব ক্ষমতার মালিক। জনগণ যাদের যোগ্য মনে করবে
তারাই ক্ষমতায় আসবে। নুহ নবীর কথা সবাই জানেন। তার সময় থেকেই নৌকার
জয়যাত্রা শুরু হয়েছে। সে ধারা অব্যাহত থাকবে। শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের
বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলার মাটিতে সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে।
বাদ যাবে না কেউ। একে একে সবাইকে বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসা হবে। হেফাজতে
ইসলামকে বিশ্বাস করা যায় না। এরা কোরআন পুড়িয়েছে। মসজিদে আগুন দিয়েছে। তারা
ইসলাম অবমাননাকারী।
সংসদ নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী দলের ও সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, নির্বাচন হবে, তবে তা অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী। বর্তমান সরকারের অধীনে সব ক’টি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। যেখানে সাধারণ জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে তাদের মতামত দিয়েছে। সংসদ নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হবে। ৫০০০-এর বেশি নির্বাচন হয়েছে। ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। স্বাধীনভাবে আপনারা ভোট দেবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমার পরিবারে আপনজন বলতে এখনে খুব বেশি কেউ আর বেঁচে নেই। তাদের কথা মনে হলে এখনও ডুকরে কেঁদে উঠি। আমার এখন বেঁচে থাকা কেবল আপনাদের জন্য। দেশের উন্নয়নের জন্য শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে যাবো। তাই আরেকবার ভোট চাই। নৌকায় ভোট চাই। শেখ হাসিনা এ সময় জনগণকে নৌকায় ভোট দেবেন কিনা তা জানতে চান। জবাবে সমাবেশে আসা হাজার হাজার মানুষ হাত তুলে তার প্রতি সমর্থন দেন। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকালীন যে সরকার চায় তা অসাংবিধানিক। জনগণ সাংবিধানিক সরকার চায়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, আওয়ামী লীগ নাটক করে। এখন তো নাটক তারাই করছেন।
বক্তব্যে শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার দুই পুত্রের সমালোচনা করেন। কোকোর বিষয়ে বলেন, তিনি তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ঘুষের টাকা রক্ষা করতে পারেননি। খালেদা জিয়া দু’বার সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। জনগণ বুঝে গেছে কারা দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। পাচার করে। খালেদা জিয়ার পুরো পরিবার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। জনগণ তাদের বিচার করবে। তারেক রহমান প্রসঙ্গে বলেন, ‘তারেক রহমান বিদেশে টাকা পাচারের মামলা খেয়েছেন। এফবিআই তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে। সবকিছুই প্রমাণিত হয়েছে। লুকানোর কিছুই আর বাকি নেই।
আওয়ামী লীগকে ইসলামের সেবক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাই ইসলামের সেবা করে আসছি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। বায়তুল মোকাররম মসজিদের ব্যাপক কাজ করেছি। কেবল তাই নয়, কওমি শিক্ষার উন্নয়নে কমিশন করা হয়েছে। এখান থেকে পাস করে ছেলেমেয়েরা যাতে দেশ-বিদেশে চাকরি করার সুযোগ পায় সরকার সেদিকে নজর দিয়েছে। শেখ হাসিনার তার বক্তব্যে গত ৫ বছরে দেশের উন্নয়নের চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরে বলেন, বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উৎপাদন বেড়েছে। লোডশেডিং কমেছে। বিএনপি বিদ্যুৎ দেয়ার নামে খাম্বা বসিয়ে টাকা মেরে দিয়েছে।’ শিক্ষা ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হয়েছে চারদলীয় জোট সরকারের চেয়ে বেশি। অভিভাবকরা এখন অনেক খুশি। শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এ সরকারের আমলে ২৬ হাজার প্রাইমারি স্কুল সরকারি হয়েছে। ২৭ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ করেছি।‘ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসা খাতে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের প্রতিটি জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়েছে। এতে দুস্থ, গরিব, মধ্যবিত্ত লোকজন আরও বেশি করে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে।’ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আফতাব উদ্দিন চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, এ বি এম আবুল কাশেম এমপি, মাইনুদ্দিন খান বাদল এমপি, সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক এমপি ইসহাক মিয়া, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ ছালাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, প্রয়াত এমপি রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি প্রমুখ। ফটিকছড়ির সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার আগে শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে বানৌজা বঙ্গবন্ধুকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান, এমপিএ সংযোজন, বানৌজা দুর্জয়, নির্মূল ও সুরমার কমিশনিং অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। নৌবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরকার অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক, শক্তিশালী ও সামর্থ্যবান ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলায় অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন। তিনি জানান, ক্রমাগত সম্পদ আহরণের ফলে স্থলভাগের সম্পদ সীমিত হয়ে পড়ায় এখন সারা বিশ্বের নজর পড়েছে সমুদ্র সম্পদের দিকে। সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের বিশাল সামুদ্রিক এলাকায় সমুদ্রপথে বাণিজ্য পরিচালনা ছাড়াও আছে মৎস্য, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ। আমাদের নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড বহু বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে মূল্যবান এ সম্পদ রক্ষার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘তিনটি জাহাজের মধ্যে বানৌজা সুরমা খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত হয়েছে এবং বানৌজা নির্মূল ও বানৌজা দুর্জয় চীন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া জার্মানি থেকে দু’টি সামুদ্রিক টহলযান সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অগ্রযাত্রার আরও একটি মাইলফলক উন্মোচিত হলো। এতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি দক্ষ, আধুনিক ও ভারসাম্যপূর্ণ ‘ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী’তে পরিণত করায় বর্তমান সরকারের নিরলস প্রচেষ্টা ও শুভেচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। সমুদ্রসীমার মালিকানা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ মীমাংসার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি ভারতের সঙ্গে বিরোধটিও আগামী বছর নিষ্পত্তি হবে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব তাকে স্বাগত জানান। পরে নৌবাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। শেখ হাসিনা মেরিন পেট্রোল এয়ারক্রাফটগুলোর ফ্লাইং ক্যাপ্টেনদের কাছে প্রবর্তন আদেশ হস্তান্তর ও নামফলক উন্মোচন করেন। তিনি এ সময় জাহাজের ক্যাপ্টেনদের কাছে কমিশনিং অর্ডার হস্তান্তর করেন। এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী দলের ও সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, নির্বাচন হবে, তবে তা অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী। বর্তমান সরকারের অধীনে সব ক’টি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। যেখানে সাধারণ জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে তাদের মতামত দিয়েছে। সংসদ নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হবে। ৫০০০-এর বেশি নির্বাচন হয়েছে। ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। স্বাধীনভাবে আপনারা ভোট দেবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমার পরিবারে আপনজন বলতে এখনে খুব বেশি কেউ আর বেঁচে নেই। তাদের কথা মনে হলে এখনও ডুকরে কেঁদে উঠি। আমার এখন বেঁচে থাকা কেবল আপনাদের জন্য। দেশের উন্নয়নের জন্য শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে যাবো। তাই আরেকবার ভোট চাই। নৌকায় ভোট চাই। শেখ হাসিনা এ সময় জনগণকে নৌকায় ভোট দেবেন কিনা তা জানতে চান। জবাবে সমাবেশে আসা হাজার হাজার মানুষ হাত তুলে তার প্রতি সমর্থন দেন। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকালীন যে সরকার চায় তা অসাংবিধানিক। জনগণ সাংবিধানিক সরকার চায়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, আওয়ামী লীগ নাটক করে। এখন তো নাটক তারাই করছেন।
বক্তব্যে শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার দুই পুত্রের সমালোচনা করেন। কোকোর বিষয়ে বলেন, তিনি তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ঘুষের টাকা রক্ষা করতে পারেননি। খালেদা জিয়া দু’বার সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। জনগণ বুঝে গেছে কারা দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। পাচার করে। খালেদা জিয়ার পুরো পরিবার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। জনগণ তাদের বিচার করবে। তারেক রহমান প্রসঙ্গে বলেন, ‘তারেক রহমান বিদেশে টাকা পাচারের মামলা খেয়েছেন। এফবিআই তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে। সবকিছুই প্রমাণিত হয়েছে। লুকানোর কিছুই আর বাকি নেই।
আওয়ামী লীগকে ইসলামের সেবক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাই ইসলামের সেবা করে আসছি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। বায়তুল মোকাররম মসজিদের ব্যাপক কাজ করেছি। কেবল তাই নয়, কওমি শিক্ষার উন্নয়নে কমিশন করা হয়েছে। এখান থেকে পাস করে ছেলেমেয়েরা যাতে দেশ-বিদেশে চাকরি করার সুযোগ পায় সরকার সেদিকে নজর দিয়েছে। শেখ হাসিনার তার বক্তব্যে গত ৫ বছরে দেশের উন্নয়নের চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরে বলেন, বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উৎপাদন বেড়েছে। লোডশেডিং কমেছে। বিএনপি বিদ্যুৎ দেয়ার নামে খাম্বা বসিয়ে টাকা মেরে দিয়েছে।’ শিক্ষা ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হয়েছে চারদলীয় জোট সরকারের চেয়ে বেশি। অভিভাবকরা এখন অনেক খুশি। শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এ সরকারের আমলে ২৬ হাজার প্রাইমারি স্কুল সরকারি হয়েছে। ২৭ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ করেছি।‘ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসা খাতে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের প্রতিটি জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়েছে। এতে দুস্থ, গরিব, মধ্যবিত্ত লোকজন আরও বেশি করে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে।’ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আফতাব উদ্দিন চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, এ বি এম আবুল কাশেম এমপি, মাইনুদ্দিন খান বাদল এমপি, সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক এমপি ইসহাক মিয়া, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ ছালাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, প্রয়াত এমপি রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি প্রমুখ। ফটিকছড়ির সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার আগে শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে বানৌজা বঙ্গবন্ধুকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান, এমপিএ সংযোজন, বানৌজা দুর্জয়, নির্মূল ও সুরমার কমিশনিং অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। নৌবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরকার অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক, শক্তিশালী ও সামর্থ্যবান ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলায় অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন। তিনি জানান, ক্রমাগত সম্পদ আহরণের ফলে স্থলভাগের সম্পদ সীমিত হয়ে পড়ায় এখন সারা বিশ্বের নজর পড়েছে সমুদ্র সম্পদের দিকে। সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের বিশাল সামুদ্রিক এলাকায় সমুদ্রপথে বাণিজ্য পরিচালনা ছাড়াও আছে মৎস্য, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ। আমাদের নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড বহু বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে মূল্যবান এ সম্পদ রক্ষার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘তিনটি জাহাজের মধ্যে বানৌজা সুরমা খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত হয়েছে এবং বানৌজা নির্মূল ও বানৌজা দুর্জয় চীন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া জার্মানি থেকে দু’টি সামুদ্রিক টহলযান সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অগ্রযাত্রার আরও একটি মাইলফলক উন্মোচিত হলো। এতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি দক্ষ, আধুনিক ও ভারসাম্যপূর্ণ ‘ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী’তে পরিণত করায় বর্তমান সরকারের নিরলস প্রচেষ্টা ও শুভেচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। সমুদ্রসীমার মালিকানা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ মীমাংসার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি ভারতের সঙ্গে বিরোধটিও আগামী বছর নিষ্পত্তি হবে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব তাকে স্বাগত জানান। পরে নৌবাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। শেখ হাসিনা মেরিন পেট্রোল এয়ারক্রাফটগুলোর ফ্লাইং ক্যাপ্টেনদের কাছে প্রবর্তন আদেশ হস্তান্তর ও নামফলক উন্মোচন করেন। তিনি এ সময় জাহাজের ক্যাপ্টেনদের কাছে কমিশনিং অর্ডার হস্তান্তর করেন। এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments