মাদকের উত্তেজনায় নষ্ট হচ্ছে তারুন্য - বাড়ছে মাদকাসক্ত শিশু-কিশোর ও নারীর সংখ্যা
সারাদেশে মাদকের ভয়াবহ উত্তেজনায় নষ্ট
হচ্ছে তারুন্য। অনেকে কিশোর-কিশোরী ও নারী-পুরুষ হারিয়ে ফেলছেন যৌনতা।
প্রতিনিয়ত বাড়ছে সামাজিক অবক্ষয়। মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ে সবচেয়ে বেশি
ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শৈশব ও কৈশোর। ফলে দেশে মাদকাসক্ত শিশু-কিশোরদের ও নারীর
সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, প্রতিনিয়তই বাড়ছে শিশু-কিশোর মাদকাসক্তদের সংখ্যা। এছাড়া চরম অশান্ত পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক শৈশব ও কৈশোর হারিয়ে ফেলেছে প্রায় ১৪ লাখ শিশু-কিশোর। যারা পথশিশু হিসেবে পরিচিত। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের লেখাপড়া-স্কুলে যাওয়া, খেলাধুলো। এমনকি মাদকদ্রব্য কেনা-বেচায় শিশু-কিশোর ও নারীদের যোগদান করার সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে।
মহাপরিদর্শক (আইজিপি) খন্দকার হাসান মাহমুদ বলেন, শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী কিংবা নারীরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন এটা দেশের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি। অল্প বয়সী কিংবা তরুণ-তরুণীদের এমন ভয়াবহ মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। মানুষের সবচেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হল তার পরিবার, তাই মাদকমুক্ত হতে হলে পরিবারকে সচেতন হতে হবে।
ডিএমপি সদর দফতর সূত্রে জানা যায়, নারী-শিশু তথা শিশু-কিশোরদের একটি অংশ মাদক কেনা-বেচায় জড়িয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে শিশু-কিশোররা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। খাবারের অভাব, চরম অপুষ্টি এবং ক্রমাগত অসুখে ভোগার কারণেই বাড়ছে শিশু-কিশোর মৃত্যু। শুধু তাই নয়, যৌন আকাক্সক্ষা চরিতার্থ করতে জোর করে উত্তেজনা নেশাদ্রব্য খাওয়ানো হচ্ছে অল্প বয়েসীদের।
অপরাজেয় বাংলাদেশ সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে ১৪ লাখ পথশিশু রয়েছে, তাদের প্রায় সবাই কোনো না কোনো মাদক সেবনে জড়িত। এসব শিশু-কিশোর টানা মাদকাসক্তের কারণে ঘর ছেড়ে পার্কে, খামারে, রাস্তাঘাটে, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ডে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বাবুর কথায়, মাদকের ভয়াবহতায় নিষ্পাপ শৈশব-কৈশোর হিংস্র বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে হাজার হাজার ঐশীর। মাদকাসক্তদের হাতে আপনজন খুন হলেই দেশে হইচই পড়ে যায়। প্রতিবারই এ ঘটনা ঘটে। ব্যতিক্রম নয় এবারও। এবার মাদকাসক্ত মেয়ে ‘ঐশী’র হাতে মা-বাবা খুন হওয়ার পরই শিশু-কিশোর, নারীসহ সব মাদকাসক্ত এবং মাদক কেনা-বেচা এবং সেবনের বিরুদ্ধে সোচ্চার দেশবাসী। কিন্তু আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব ঘটনার পর কিছুদিন যেতেই সব কিছু আগের মতো হয়ে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম জানান, ফুটপাত থেকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল পর্যন্ত মাদকের থাবা বিস্তৃত। শিশু-কিশোর ও নারী মাদকাসক্তরা নিষ্ঠুর আর নিয়ন্ত্রণহীন হয় বেশি। ভালোবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন করায় সন্তানরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। ফলে তারা স্বাভাবিক জীবনের বাইরে গিয়ে মাদকাসক্ত এমনকি যৌন আসক্ত হয়ে উঠে।
ইউএনডিপির দেয়া এক তথ্যে জানা যায়, পৃথিবীতে মাদকাসক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শতকরা ২ ভাগ। এ হিসাবে বাংলাদেশে মাদকাসক্তদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা এ সংখ্যা কমবেশি ৬০ লাখ ধরেই তৎসংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার মাদকসেবীদের প্রায় সবাই বেকার, টোকাই, রিকশা-ভ্যানচালক, ছোটখাট চোর-বাটপারসহ সমাজের নিু আয়ের মানুষ। অভিজাত এলাকায় প্রকাশ্যে নেশাদ্রব্য বেচাকেনা বা গ্রহণ খুব কম নয়। অভিজাত পোশাক-আশাক পরে মাদক সেবন করায় তাদের চোখে পড়ে খুব কম। তবে দীর্ঘদিন ধরে সিসা বা হুক্কা নামের এক ধরনের নেশা অভিজাত এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সঙ্গে বিদেশী মদ, ইয়াবা হোরাইন তো রয়েছেই। এ সব আসরে বসে মূলত অভিজাতপাড়ার শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নারীরা। যাদের পিতা-মাতার সমাজে নাম-ডাক রয়েছে। রয়েছে ক্ষমতাও। এ নেশাসক্তদের বেশির ভাগই নগরীর বিভিন্ন নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী এবং অভিজাতপাড়ার ধনী পরিবারের ছেলেমেয়ে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, প্রতিনিয়তই বাড়ছে শিশু-কিশোর মাদকাসক্তদের সংখ্যা। এছাড়া চরম অশান্ত পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক শৈশব ও কৈশোর হারিয়ে ফেলেছে প্রায় ১৪ লাখ শিশু-কিশোর। যারা পথশিশু হিসেবে পরিচিত। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের লেখাপড়া-স্কুলে যাওয়া, খেলাধুলো। এমনকি মাদকদ্রব্য কেনা-বেচায় শিশু-কিশোর ও নারীদের যোগদান করার সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে।
মহাপরিদর্শক (আইজিপি) খন্দকার হাসান মাহমুদ বলেন, শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী কিংবা নারীরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন এটা দেশের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি। অল্প বয়সী কিংবা তরুণ-তরুণীদের এমন ভয়াবহ মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। মানুষের সবচেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হল তার পরিবার, তাই মাদকমুক্ত হতে হলে পরিবারকে সচেতন হতে হবে।
ডিএমপি সদর দফতর সূত্রে জানা যায়, নারী-শিশু তথা শিশু-কিশোরদের একটি অংশ মাদক কেনা-বেচায় জড়িয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে শিশু-কিশোররা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। খাবারের অভাব, চরম অপুষ্টি এবং ক্রমাগত অসুখে ভোগার কারণেই বাড়ছে শিশু-কিশোর মৃত্যু। শুধু তাই নয়, যৌন আকাক্সক্ষা চরিতার্থ করতে জোর করে উত্তেজনা নেশাদ্রব্য খাওয়ানো হচ্ছে অল্প বয়েসীদের।
অপরাজেয় বাংলাদেশ সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে ১৪ লাখ পথশিশু রয়েছে, তাদের প্রায় সবাই কোনো না কোনো মাদক সেবনে জড়িত। এসব শিশু-কিশোর টানা মাদকাসক্তের কারণে ঘর ছেড়ে পার্কে, খামারে, রাস্তাঘাটে, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ডে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বাবুর কথায়, মাদকের ভয়াবহতায় নিষ্পাপ শৈশব-কৈশোর হিংস্র বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে হাজার হাজার ঐশীর। মাদকাসক্তদের হাতে আপনজন খুন হলেই দেশে হইচই পড়ে যায়। প্রতিবারই এ ঘটনা ঘটে। ব্যতিক্রম নয় এবারও। এবার মাদকাসক্ত মেয়ে ‘ঐশী’র হাতে মা-বাবা খুন হওয়ার পরই শিশু-কিশোর, নারীসহ সব মাদকাসক্ত এবং মাদক কেনা-বেচা এবং সেবনের বিরুদ্ধে সোচ্চার দেশবাসী। কিন্তু আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব ঘটনার পর কিছুদিন যেতেই সব কিছু আগের মতো হয়ে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম জানান, ফুটপাত থেকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল পর্যন্ত মাদকের থাবা বিস্তৃত। শিশু-কিশোর ও নারী মাদকাসক্তরা নিষ্ঠুর আর নিয়ন্ত্রণহীন হয় বেশি। ভালোবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন করায় সন্তানরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। ফলে তারা স্বাভাবিক জীবনের বাইরে গিয়ে মাদকাসক্ত এমনকি যৌন আসক্ত হয়ে উঠে।
ইউএনডিপির দেয়া এক তথ্যে জানা যায়, পৃথিবীতে মাদকাসক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শতকরা ২ ভাগ। এ হিসাবে বাংলাদেশে মাদকাসক্তদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা এ সংখ্যা কমবেশি ৬০ লাখ ধরেই তৎসংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার মাদকসেবীদের প্রায় সবাই বেকার, টোকাই, রিকশা-ভ্যানচালক, ছোটখাট চোর-বাটপারসহ সমাজের নিু আয়ের মানুষ। অভিজাত এলাকায় প্রকাশ্যে নেশাদ্রব্য বেচাকেনা বা গ্রহণ খুব কম নয়। অভিজাত পোশাক-আশাক পরে মাদক সেবন করায় তাদের চোখে পড়ে খুব কম। তবে দীর্ঘদিন ধরে সিসা বা হুক্কা নামের এক ধরনের নেশা অভিজাত এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সঙ্গে বিদেশী মদ, ইয়াবা হোরাইন তো রয়েছেই। এ সব আসরে বসে মূলত অভিজাতপাড়ার শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নারীরা। যাদের পিতা-মাতার সমাজে নাম-ডাক রয়েছে। রয়েছে ক্ষমতাও। এ নেশাসক্তদের বেশির ভাগই নগরীর বিভিন্ন নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী এবং অভিজাতপাড়ার ধনী পরিবারের ছেলেমেয়ে।
No comments