জোটবদ্ধ হচ্ছে ইসলামী দলগুলো
নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে ইসলামিক দলগুলো ধীরে ধীরে কাতারবদ্ধ হচ্ছে।
১৮
দলীয় জোটের শরিক জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা হওয়ার পর চিন্তিত হয়ে
পড়ে এর সঙ্গে সমমনা ইসলামিক দলগুলো। মৌলবাদ, জঙ্গিবাদসহ নানা ইস্যুতে
পর্যায়ক্রমে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ হতে পারে-এমন আশঙ্কা করছে তারা। তবে এ
ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী
আন্দোলন বাংলাদেশ। সরকারবিরোধী কোন জোটের সঙ্গে দূরতম সম্পর্কও নেই এই
দলটির। এ কারণে কোন রকম ঝুঁকিতে নেই দলটি।এ পর্যায়ে সরকার বিরোধী হিসেবে
পরিচিত ইসলামী দলগুলো দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসলামী ভাবধারার একটি
প্লাটফরম তৈরি করতে চায়। ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলন, খেলাফত মজলিস,
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগসহ
ইসলামপন্থি বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া
গেছে।নেতারা বলেন, হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা আন্দোলন প্রশ্নে ইসলামপন্থি
প্রায় সব দলই একই অভিন্ন অবস্থানে। বিশেষ করে এ সরকারের আমলে ইসলাম, আলেম
উলামা ও ইসলামী দল সম্পর্কিত সংঘটিত অসংখ্য ঘটনা ইসলামী দলগুলোকে পরস্পরের
বেশ কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। দলগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও পরস্পরের
ঘরোয়া অনুষ্ঠানে যোগদানের ঘটনা বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে সংবিধান থেকে আল্লাহর
ওপর পূর্ণ আস্থা- বিশ্বাস বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন ও ইসলামী
দল এবং সংগঠনগুলোকে ঘিরে সরকারের নানা পদক্ষেপ ইসলামী দলগুলোকে কাছাকাছি
আসতে উদ্বুদ্ধ করে। এছাড়া জামায়াতের সঙ্গে অপরাপর ইসলামী দলগুলোর আদর্শিক
দূরত্ব থাকলেও হেফাজতে ইসলামের প্রতি এই সরকারের আচরণকে ইসলামী দলগুলো
বিপদের সঙ্কেত হিসেবে দেখছে। সর্বশেষ হাইকোর্টের এক রায়ে জামায়াতের
নিবন্ধনকে অবৈধ ঘোষণার পর ইসলামী দলগুলোর মধ্যে এই আশংকা আরও ঘনীভূত
হয়েছে।
ইসলামী দলগুলোর অনেক নেতাই অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে হলেও বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার পক্ষে মত দিচ্ছেন। তারা সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানোকে অপরিহার্য মনে করছেন। নেতারা বলছেন, হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ধর্মীয় ইস্যুতে এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান ইসলামী দলগুলোকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।তাদের মতে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বামপন্থিদের প্রভাবে দেশকে ইসলাম শূন্য করার কার্যক্রম অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সকল ইসলামী শক্তির ঐক্যবদ্ধ অবস্থান ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন জরুরি। এ পর্যায়ে একমাত্র চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন ছাড়া বাকি সব দলই চিন্তা ও কর্মসূচির দিক থেকে এক অভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। ইসলামী আন্দোলন অনেক বিষয়ে বাকি ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে একমত হলেও সরকার পতনের আন্দোলন এবং বর্তমান সরকারবিরোধী অন্য রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ বা অন্য কোনভাবে একই ধরনের আন্দোলনে একমত নয়। এই দলটি হেফাজতের ইসলামের সঙ্গে প্রথমদিকে থাকার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত মাঠের কর্মসূচিতে তাদের দেখা যায়নি। দলটি আগে কখনো হেফাজতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও রমজানে ইফতার মাহফিলে দলের আমীর চরমোনাই পীর হেফাজতের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন। আর সারাদেশে তার অনুসারীরাও হেফাজতের সমালোচনা করে বক্তব্য দিচ্ছেন। দলটি ইতিমধ্যেই সারাদেশে তাদের ২৫০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে।তবে অন্য ইসলামী দলগুলোর মধ্যে আদর্শিক ও কর্মসূচিগত ঐক্যের পাশাপাশি তাদের পারস্পরিক যোগাযোগও বেড়েছে। জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ১৮দলীয় জোটে থাকায় তাদের মধ্যে এমনিতেই যোগাযোগ, একত্রে বৈঠক হয়। ইসলামী বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনের সুবাদে গড়ে ওঠা সমমনা ইসলামপন্থি ১২ দলের সঙ্গে খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ অন্যান্য ছোট দলগুলোর মধ্যেও একটি যোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরি হয়। রাজনৈতিক দলের বাইরে মাওলানা মুহিউদ্দিন খানের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে ধর্মীয় ইস্যুতে আন্দোলনের সুবাদে অনেকগুলো ইসলামী দলের মধ্যে পাস্পরিক দূরত্ব অনেক কমে যায়। সর্বশেষ হেফাজতের ১৩ দফা আন্দোলন এবং দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে একটি অভিন্ন ঐক্য গড়ে উঠেছে। তবে জামায়াতের সঙ্গে আকিদাগত মতপার্থক্যের কারণে ইসলামী দলগুলোর বেশ দূরত্ব ছিল। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রক্রিয়ায় জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসির রায় দেয়ার পর ইসলামী দলগুলো এটিকে মেনে নিতে পারছে না। ওই রায়ের পর সারাদেশে যে প্রতিক্রিয়া হয় তার প্রভাবও ইসলামী দলগুলোর ওপর পড়ে। এরপর অন্যান্য রায়ের ঘটনা, নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলসহ সকল ঘটনাকে ইসলামী দলগুলো এখন ইসলামবিরোধী চক্রান্তের অংশ হিসেবেই দেখছে। বিগত প্রায় চার বছর জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোকে রাজপথে মিছিল সমাবেশ করতে না দেয়ার ঘটনাও ইসলামী দলের মধ্যে দূরত্ব কমানোর অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও রমজানে রূপসী বাংলা হোটেলে জামায়াতের ইফতার মাহফিলে ইসলামী দলগুলোর অনেক শীর্ষ নেতা অংশ নেন। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ, নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, খেলাফত মসলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটসহ প্রায় সকল ইসলামী দল ও সংগঠনের নেতারা এই প্রথমবারের মতো জামায়াতের কোন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা আন্দোলনের পিছনেও জামায়াতের প্রতি কওমি আলেমদের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া সহানুভূতি নেপথ্যে কাজ করেছে। হেফাজতের আন্দোলনে প্রকাশ্যে জামায়াত না জড়ালেও ইসলামী ও সমমনা দলের মতো অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল। সর্বশেষ জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের পর এ নিয়ে আরও শংকা দেখা দিয়েছে দলগুলোর মধ্যে। এই ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জামায়াতের সংবিধানে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের কথা থাকার কারণে নিবন্ধন বাতিলের কারণে অন্যান্য ইসলামী দল জামায়াতের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে।ইসলামী দলের নেতারা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ বামপন্থিদের নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিতে পরিবর্তন করে যেভাবে নানা পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন তাতে ইসলামী শক্তির ঐক্যবদ্ধ অবস্থান ছাড়া কোন পথ নেই। এ ব্যাপারে খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে, তবে কার্যকর বৃহত্তর ঐক্য এখনও গড়ে উঠেনি। কোরআন পাকে ‘সিসাঢালা প্রাচীরের মতো’ যে ঐক্যের কথা বলা হয়েছে সেটা গড়ে না ওঠা পর্যন্ত ইসলামবিদ্বেষী শক্তির মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, এই চিন্তা আমাদেরকে তাড়িত করছে। আমদের মধ্যে যোগাযোগ বেড়েছে। এ পরিস্থিতি আমাদের বৃহত্তর ঐক্য এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। সুত্র: মানবজমিন অনলাইন।
ইসলামী দলগুলোর অনেক নেতাই অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে হলেও বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার পক্ষে মত দিচ্ছেন। তারা সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানোকে অপরিহার্য মনে করছেন। নেতারা বলছেন, হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ধর্মীয় ইস্যুতে এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান ইসলামী দলগুলোকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।তাদের মতে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বামপন্থিদের প্রভাবে দেশকে ইসলাম শূন্য করার কার্যক্রম অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সকল ইসলামী শক্তির ঐক্যবদ্ধ অবস্থান ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন জরুরি। এ পর্যায়ে একমাত্র চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন ছাড়া বাকি সব দলই চিন্তা ও কর্মসূচির দিক থেকে এক অভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। ইসলামী আন্দোলন অনেক বিষয়ে বাকি ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে একমত হলেও সরকার পতনের আন্দোলন এবং বর্তমান সরকারবিরোধী অন্য রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ বা অন্য কোনভাবে একই ধরনের আন্দোলনে একমত নয়। এই দলটি হেফাজতের ইসলামের সঙ্গে প্রথমদিকে থাকার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত মাঠের কর্মসূচিতে তাদের দেখা যায়নি। দলটি আগে কখনো হেফাজতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও রমজানে ইফতার মাহফিলে দলের আমীর চরমোনাই পীর হেফাজতের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন। আর সারাদেশে তার অনুসারীরাও হেফাজতের সমালোচনা করে বক্তব্য দিচ্ছেন। দলটি ইতিমধ্যেই সারাদেশে তাদের ২৫০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে।তবে অন্য ইসলামী দলগুলোর মধ্যে আদর্শিক ও কর্মসূচিগত ঐক্যের পাশাপাশি তাদের পারস্পরিক যোগাযোগও বেড়েছে। জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ১৮দলীয় জোটে থাকায় তাদের মধ্যে এমনিতেই যোগাযোগ, একত্রে বৈঠক হয়। ইসলামী বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনের সুবাদে গড়ে ওঠা সমমনা ইসলামপন্থি ১২ দলের সঙ্গে খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ অন্যান্য ছোট দলগুলোর মধ্যেও একটি যোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরি হয়। রাজনৈতিক দলের বাইরে মাওলানা মুহিউদ্দিন খানের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে ধর্মীয় ইস্যুতে আন্দোলনের সুবাদে অনেকগুলো ইসলামী দলের মধ্যে পাস্পরিক দূরত্ব অনেক কমে যায়। সর্বশেষ হেফাজতের ১৩ দফা আন্দোলন এবং দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে একটি অভিন্ন ঐক্য গড়ে উঠেছে। তবে জামায়াতের সঙ্গে আকিদাগত মতপার্থক্যের কারণে ইসলামী দলগুলোর বেশ দূরত্ব ছিল। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রক্রিয়ায় জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসির রায় দেয়ার পর ইসলামী দলগুলো এটিকে মেনে নিতে পারছে না। ওই রায়ের পর সারাদেশে যে প্রতিক্রিয়া হয় তার প্রভাবও ইসলামী দলগুলোর ওপর পড়ে। এরপর অন্যান্য রায়ের ঘটনা, নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলসহ সকল ঘটনাকে ইসলামী দলগুলো এখন ইসলামবিরোধী চক্রান্তের অংশ হিসেবেই দেখছে। বিগত প্রায় চার বছর জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোকে রাজপথে মিছিল সমাবেশ করতে না দেয়ার ঘটনাও ইসলামী দলের মধ্যে দূরত্ব কমানোর অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও রমজানে রূপসী বাংলা হোটেলে জামায়াতের ইফতার মাহফিলে ইসলামী দলগুলোর অনেক শীর্ষ নেতা অংশ নেন। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ, নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, খেলাফত মসলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটসহ প্রায় সকল ইসলামী দল ও সংগঠনের নেতারা এই প্রথমবারের মতো জামায়াতের কোন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা আন্দোলনের পিছনেও জামায়াতের প্রতি কওমি আলেমদের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া সহানুভূতি নেপথ্যে কাজ করেছে। হেফাজতের আন্দোলনে প্রকাশ্যে জামায়াত না জড়ালেও ইসলামী ও সমমনা দলের মতো অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল। সর্বশেষ জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের পর এ নিয়ে আরও শংকা দেখা দিয়েছে দলগুলোর মধ্যে। এই ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জামায়াতের সংবিধানে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের কথা থাকার কারণে নিবন্ধন বাতিলের কারণে অন্যান্য ইসলামী দল জামায়াতের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে।ইসলামী দলের নেতারা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ বামপন্থিদের নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিতে পরিবর্তন করে যেভাবে নানা পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন তাতে ইসলামী শক্তির ঐক্যবদ্ধ অবস্থান ছাড়া কোন পথ নেই। এ ব্যাপারে খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে, তবে কার্যকর বৃহত্তর ঐক্য এখনও গড়ে উঠেনি। কোরআন পাকে ‘সিসাঢালা প্রাচীরের মতো’ যে ঐক্যের কথা বলা হয়েছে সেটা গড়ে না ওঠা পর্যন্ত ইসলামবিদ্বেষী শক্তির মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, এই চিন্তা আমাদেরকে তাড়িত করছে। আমদের মধ্যে যোগাযোগ বেড়েছে। এ পরিস্থিতি আমাদের বৃহত্তর ঐক্য এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। সুত্র: মানবজমিন অনলাইন।
No comments