গ্লাসগো ক্যালিডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হলেন ড. ইউনূস
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী, বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা ড. মোহাম্মদ ইউনূস গত ২৬ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালিডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের (জিসিইউ) চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটি সেন্টার ক্যাম্পাসের সল্টয়ার সেন্টারে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয় ড. ইউনূসকে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫০ জন কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী, যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত অতিথি, জাতীয় এবং স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, শিল্পপতি এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত
অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি ড. ইউনূস ও তার কন্যা মনিকা ইউনূসের জন্য ছিল আবেগের।
চ্যান্সেলর হিসেবে ড. ইউনূস শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রফেসর ইউনূস তার ‘গ্রামীণ স্কটল্যান্ড ফাউন্ডেশন’ এর মাধ্যমে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে একটি গভীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। এই ফাউন্ডেশনটি যুক্তরাজ্যে প্রথম প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প, গ্লাসগোর সামাজিক ব্যবসা এবং স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে পরিচালিত ইউনূস সেন্টার এবং গ্রামীণ ক্যালিডোনিয়ান কলেজ অব নার্সিং ইন বাংলাদেশ এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখভাল করে।
ড. মোহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী সম্মানিত হয়েছেন। তিনি তার উদ্ভাবিত এবং ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার উদ্ভাবিত ক্ষুদ্র ঋণের দ্বারা লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছেন।
শুক্রবারের ওই অনুষ্ঠানে স্কটল্যান্ডের শিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মাইক রাসেল এমএসপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল এবং ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর পামেলা গিলিয়েস এবং ছাত্র প্রতিনিধি কারলা ফাইফি উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর ইউনূস এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব মনোনীত হন। তিনি তার নতুন এই দায়িত্বভার গ্রহণ করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অগণিত ভক্তকে সম্মানিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল এবং ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর পামেলা গিলিয়েস বলেন, ‘‘গ্লাসগো ক্যালিডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রফেসর ইউনূস বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসা এবং দারিদ্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, চ্যান্সেলর ইউনূস আমাদের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতিকে আরও সামনে নিয়ে যাবেন। স্কটল্যান্ডসহ বিশ্বের অগণিত ছাত্র-ছাত্রীকে এবং বিশ্ববিদ্যায় পরিবারের কল্যাণে কাজ করবেন। আমি তার অধীনে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে কাজ করতে পেরে নিজেকে অত্যন্ত সম্মানিত এবং গর্বিত মনে করছি।’’|
টনি ব্রাইয়ান বলেন, ‘‘আমার ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সমর্থন করা হয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ড. ইউনূসের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নিয়োগ একটি চমৎকার ঘটনা। চ্যান্সেলর হিসেবে তার অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্বের গুণাবলী দিয়ে তিনি দেশে এবং দেশের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশনকে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে সক্ষম হবেন।’’
ড. ইউনূস তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘যুবকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় আমি খুবই খুশি। চ্যান্সেলর হওয়াটা আমার জন্য খুবই খুশির ব্যপার। একজন শিক্ষক এবং গ্রমীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমি সর্বদা যুবকদের সঙ্গে কাজ করেছি। কারণ, আমি তাদের সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। চ্যান্সেলর হিসেবে আমি আমার অভিজ্ঞতা বিনিময় করবো। তাদেরকে বলবো, আমি যা করেছি তা অসম্ভব কিছু নয় এবং তারাও তা পারবেন।’’
বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসার অগ্রপথিক ড. মোহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। এ প্রতিষ্টানটি বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য নির্মূলের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এটি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৩ সালে। বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক বিশ্বের ৩৮টি দেশে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এ প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বে ৬০টিরও বেশি দেশে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থার প্রবর্তক।
অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি ড. ইউনূস ও তার কন্যা মনিকা ইউনূসের জন্য ছিল আবেগের।
চ্যান্সেলর হিসেবে ড. ইউনূস শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রফেসর ইউনূস তার ‘গ্রামীণ স্কটল্যান্ড ফাউন্ডেশন’ এর মাধ্যমে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে একটি গভীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। এই ফাউন্ডেশনটি যুক্তরাজ্যে প্রথম প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প, গ্লাসগোর সামাজিক ব্যবসা এবং স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে পরিচালিত ইউনূস সেন্টার এবং গ্রামীণ ক্যালিডোনিয়ান কলেজ অব নার্সিং ইন বাংলাদেশ এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখভাল করে।
ড. মোহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী সম্মানিত হয়েছেন। তিনি তার উদ্ভাবিত এবং ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার উদ্ভাবিত ক্ষুদ্র ঋণের দ্বারা লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছেন।
শুক্রবারের ওই অনুষ্ঠানে স্কটল্যান্ডের শিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মাইক রাসেল এমএসপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল এবং ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর পামেলা গিলিয়েস এবং ছাত্র প্রতিনিধি কারলা ফাইফি উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর ইউনূস এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব মনোনীত হন। তিনি তার নতুন এই দায়িত্বভার গ্রহণ করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অগণিত ভক্তকে সম্মানিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল এবং ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর পামেলা গিলিয়েস বলেন, ‘‘গ্লাসগো ক্যালিডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রফেসর ইউনূস বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসা এবং দারিদ্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, চ্যান্সেলর ইউনূস আমাদের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতিকে আরও সামনে নিয়ে যাবেন। স্কটল্যান্ডসহ বিশ্বের অগণিত ছাত্র-ছাত্রীকে এবং বিশ্ববিদ্যায় পরিবারের কল্যাণে কাজ করবেন। আমি তার অধীনে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে কাজ করতে পেরে নিজেকে অত্যন্ত সম্মানিত এবং গর্বিত মনে করছি।’’|
টনি ব্রাইয়ান বলেন, ‘‘আমার ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সমর্থন করা হয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ড. ইউনূসের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নিয়োগ একটি চমৎকার ঘটনা। চ্যান্সেলর হিসেবে তার অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্বের গুণাবলী দিয়ে তিনি দেশে এবং দেশের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশনকে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে সক্ষম হবেন।’’
ড. ইউনূস তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘যুবকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় আমি খুবই খুশি। চ্যান্সেলর হওয়াটা আমার জন্য খুবই খুশির ব্যপার। একজন শিক্ষক এবং গ্রমীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমি সর্বদা যুবকদের সঙ্গে কাজ করেছি। কারণ, আমি তাদের সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। চ্যান্সেলর হিসেবে আমি আমার অভিজ্ঞতা বিনিময় করবো। তাদেরকে বলবো, আমি যা করেছি তা অসম্ভব কিছু নয় এবং তারাও তা পারবেন।’’
বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসার অগ্রপথিক ড. মোহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। এ প্রতিষ্টানটি বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য নির্মূলের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এটি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৩ সালে। বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক বিশ্বের ৩৮টি দেশে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এ প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বে ৬০টিরও বেশি দেশে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থার প্রবর্তক।
No comments