‘টাকা খাবে, আর ধূলা খাবে না’ by জেসমিন পাঁপড়ি
কারখানা জুড়েই পুরাতন বস্তা। বস্তাগুলো ভর্তি ধূলো আর গুড়ো তুষে। ধূলো ভর্তি বস্তার ছেঁড়া অংশ সেলাই করে আবারও ব্যবহারযোগ্য করে তুলছে অসংখ্য শিশু আর নারী।
এ কাজে টাকা যতটুকুই আসুক না কেন অসুখটা আসে ষোল আনা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধূলোর মধ্যে থাকায় সর্দি কাশিসহ নানা ধরনের অসুখ এদের নিত্যসঙ্গী। অথচ কাজের ঝুঁকির তুলনায় বেতন খুবই সামান্য। নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই মোটেও।
দিনাজপুর শহরের বড়বন্দর এলাকার পুরাতন বস্তা সেলাই কারখানাগুলোর চিত্র এমনই।
এখানে কর্মরত শ্রমিকরা জানায়, সারাদিন কাজের পর শরীরে ব্যথা হয়। অথচ বসে বসে সেলাই করার কারণে শরীর ব্যথা হওয়ার কথা নয়। ধূলার কারণেই এমনটি হয় বলে তাদের ধারণা।
১১ বছর বয়সী মাসুম বিল্লাহ জানায়, অনেক ছোট থেকেই কাজ করছে সে। দৈনিক আয় ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কিন্তু ধূলার কারণে অনেক কষ্ট হয়। মাসুম জানায়, মালিকরা খুব একটা আসেনা। ম্যানেজার দিয়েই কারখানা চালায়।
কারখানা ঘুরে দেখা যায়, ম্যানেজারদের অবস্থাও শ্রমিকদের মতই।
বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা যায় কোনো কারখানারই নাম নেই। এমন কি কোনো সাইনবোর্ডও নেই। জিল্লুর রহমান নামের এক ম্যানেজার জানান, মালিকরা কারখানার নাম দিতে চান না। ঢাকা বা অন্যান্য এলাকা থেকে ট্রাকে ট্রাকে বস্তা কিনে আনে। বস্তাগুলো সেলাই করে বিক্রি করেন দিনাজপুরের চালকল এবং বিভিন্ন এলাকায়। এজন্য পাইকারি খরিদ্দারও আছে।
এসব কারখানায় গর্ভবতী মায়েদেরও কাজ করতে দেখা গেছে। আলাপকালে এক গর্ভবতী নারী জানান, ধূলায় কাজ করলে বাচ্চার ক্ষতি হয় জানি। কিন্তু কিছু তো একটা করে খেতে হবে। তাই ধূলায় বসেই এ কাজই করি।’’
কারখানার আশপাশের বাসিন্দারা নানা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তারা বলেছেন, ধূলায় ঘরের আসবাবপত্র কিছুই পরিস্কার থাকে না। উপরন্তু, তারা নানা অসুখ-বিসুখে ভুগছেন।
পলাশ নামে এক শিশু শ্রমিক জানায়, অনেক গরীব লোক বস্তা সেলাইয়ের কাম করে বেঁচে আছে। এইডা খুব বেশি কষ্টের কামও না। শুধু ধূলাটাই সমস্যা। অনেক কষ্ট হয়। নাক মুখ ব্যাইন্ধা কাম করলেও তাতে ধূলা আটকায় না।
দিনাজপুর শহরের বড় বন্দর এলাকায় জগেনবাবুর মাঠ সংলগ্ন মানিক এন্টারপ্রাইজের মালিক মানিক ইসলাম বাংলানিউজকে টেলিফোনে বলেন, ‘‘শ্রমিকরা টাকা খাবে, ধূলা খাবে না? টাকা আয় করতে হলে এমন কত ধূলা খেতে হয়। ধূলায় তো ভিটামিন আছে(!)।’’
তিনি বলেন, ‘‘শ্রমিকরা তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজেরা নেবে। আমাদের কিছু করার নেই। কষ্ট হলে বা অসুখ হলে কাজ ছেড়ে দিতে পারে। কাউকে জোর করে এ কাজে আনা হয় না।’’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘‘ধূলাবালির মধ্যে কাজ করলে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, ডায়ারিয়া, খাবারে অরুচি, নাক-মুখ ও গলায় ক্ষত হতে পারে। তাই গর্ভবতী নারীদের ধূলা থেকে দূরে থাকা উচিত। ধূলাময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকলে গর্ভস্থ শিশুও রোগে আক্রান্ত হতে পারে।’’
এখানে কর্মরত শ্রমিকরা জানায়, সারাদিন কাজের পর শরীরে ব্যথা হয়। অথচ বসে বসে সেলাই করার কারণে শরীর ব্যথা হওয়ার কথা নয়। ধূলার কারণেই এমনটি হয় বলে তাদের ধারণা।
১১ বছর বয়সী মাসুম বিল্লাহ জানায়, অনেক ছোট থেকেই কাজ করছে সে। দৈনিক আয় ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কিন্তু ধূলার কারণে অনেক কষ্ট হয়। মাসুম জানায়, মালিকরা খুব একটা আসেনা। ম্যানেজার দিয়েই কারখানা চালায়।
কারখানা ঘুরে দেখা যায়, ম্যানেজারদের অবস্থাও শ্রমিকদের মতই।
বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা যায় কোনো কারখানারই নাম নেই। এমন কি কোনো সাইনবোর্ডও নেই। জিল্লুর রহমান নামের এক ম্যানেজার জানান, মালিকরা কারখানার নাম দিতে চান না। ঢাকা বা অন্যান্য এলাকা থেকে ট্রাকে ট্রাকে বস্তা কিনে আনে। বস্তাগুলো সেলাই করে বিক্রি করেন দিনাজপুরের চালকল এবং বিভিন্ন এলাকায়। এজন্য পাইকারি খরিদ্দারও আছে।
এসব কারখানায় গর্ভবতী মায়েদেরও কাজ করতে দেখা গেছে। আলাপকালে এক গর্ভবতী নারী জানান, ধূলায় কাজ করলে বাচ্চার ক্ষতি হয় জানি। কিন্তু কিছু তো একটা করে খেতে হবে। তাই ধূলায় বসেই এ কাজই করি।’’
কারখানার আশপাশের বাসিন্দারা নানা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তারা বলেছেন, ধূলায় ঘরের আসবাবপত্র কিছুই পরিস্কার থাকে না। উপরন্তু, তারা নানা অসুখ-বিসুখে ভুগছেন।
পলাশ নামে এক শিশু শ্রমিক জানায়, অনেক গরীব লোক বস্তা সেলাইয়ের কাম করে বেঁচে আছে। এইডা খুব বেশি কষ্টের কামও না। শুধু ধূলাটাই সমস্যা। অনেক কষ্ট হয়। নাক মুখ ব্যাইন্ধা কাম করলেও তাতে ধূলা আটকায় না।
দিনাজপুর শহরের বড় বন্দর এলাকায় জগেনবাবুর মাঠ সংলগ্ন মানিক এন্টারপ্রাইজের মালিক মানিক ইসলাম বাংলানিউজকে টেলিফোনে বলেন, ‘‘শ্রমিকরা টাকা খাবে, ধূলা খাবে না? টাকা আয় করতে হলে এমন কত ধূলা খেতে হয়। ধূলায় তো ভিটামিন আছে(!)।’’
তিনি বলেন, ‘‘শ্রমিকরা তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজেরা নেবে। আমাদের কিছু করার নেই। কষ্ট হলে বা অসুখ হলে কাজ ছেড়ে দিতে পারে। কাউকে জোর করে এ কাজে আনা হয় না।’’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘‘ধূলাবালির মধ্যে কাজ করলে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, ডায়ারিয়া, খাবারে অরুচি, নাক-মুখ ও গলায় ক্ষত হতে পারে। তাই গর্ভবতী নারীদের ধূলা থেকে দূরে থাকা উচিত। ধূলাময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকলে গর্ভস্থ শিশুও রোগে আক্রান্ত হতে পারে।’’
No comments