টানাপোড়েন সত্ত্বেও পাকিস্তানকে সহায়তার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে তীব্র টানাপোড়েন চলছে। এর পরও ইসলামাবাদে বেসামরিক সহায়তা জোরদার করার অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে এই টানাপোড়েনের অন্যতম কারণ মানববিহীন বিমানযোগে (ড্রোন) হামলার ঘটনা হলেও তা বন্ধ করছে না ওয়াশিংটন।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের সর্বশেষ অবস্থা এবং এই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনটি গত বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদে পেশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে পাকিস্তান সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি সব সময় সহজ নয়। তারপর আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্বার্থের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গত মে মাসে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে যুক্তরাষ্ট্র আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর থেকে ইসলামাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে দ্রুত অবনতি ঘটছে। সম্প্রতি আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন দূতাবাস ও ন্যাটোর কার্যালয়ে হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্ককে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা সরাসরি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই হাক্কানিকে সহযোগিতা করছে। এ অবস্থায় হাক্কানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
এর পরও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তানে বেসামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। গত অর্থবছরে পাকিস্তানকে সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার দিলেও চলতি অর্থবছরে সেই সহায়তা ১ দশমিক ১ ডলারে নেমে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছর কী পরিমাণ সহায়তা দেওয়া হবে তা এখনো অনিশ্চিত। তবে কয়েক বছর মেয়াদি বেসামরিক সহায়তা জোরদার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রশাসন।
আফগানিস্তান বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চলমান সহিংসতা, প্রশাসনিক দুর্বলতা, নারীর প্রতি বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থাই আফগানিস্তানের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বলে আমরা ধারণা করছি।’
যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ বেসামরিক সহযোগিতা দিয়েছে এবং আফগান সরকারকে নিজেদের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে পাকিস্তানে ড্রোন হামলার নিয়মকানুন আরও কঠোর করেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে ড্রোন হামলা বন্ধের বিষয়টি তারা নাকচ করে দিয়েছে।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গত বৃহস্পতিবার জানায়, সিআইএ ও মার্কিন সেনাবাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। অবশ্য কূটনৈতিক মহল এর বিপক্ষে।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের সর্বশেষ অবস্থা এবং এই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনটি গত বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদে পেশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে পাকিস্তান সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি সব সময় সহজ নয়। তারপর আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্বার্থের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গত মে মাসে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে যুক্তরাষ্ট্র আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর থেকে ইসলামাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে দ্রুত অবনতি ঘটছে। সম্প্রতি আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন দূতাবাস ও ন্যাটোর কার্যালয়ে হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্ককে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা সরাসরি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই হাক্কানিকে সহযোগিতা করছে। এ অবস্থায় হাক্কানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
এর পরও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তানে বেসামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। গত অর্থবছরে পাকিস্তানকে সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার দিলেও চলতি অর্থবছরে সেই সহায়তা ১ দশমিক ১ ডলারে নেমে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছর কী পরিমাণ সহায়তা দেওয়া হবে তা এখনো অনিশ্চিত। তবে কয়েক বছর মেয়াদি বেসামরিক সহায়তা জোরদার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রশাসন।
আফগানিস্তান বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চলমান সহিংসতা, প্রশাসনিক দুর্বলতা, নারীর প্রতি বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থাই আফগানিস্তানের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বলে আমরা ধারণা করছি।’
যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ বেসামরিক সহযোগিতা দিয়েছে এবং আফগান সরকারকে নিজেদের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে পাকিস্তানে ড্রোন হামলার নিয়মকানুন আরও কঠোর করেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে ড্রোন হামলা বন্ধের বিষয়টি তারা নাকচ করে দিয়েছে।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গত বৃহস্পতিবার জানায়, সিআইএ ও মার্কিন সেনাবাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। অবশ্য কূটনৈতিক মহল এর বিপক্ষে।
No comments