লোকসভায় অভিশংসন প্রস্তাবের আগেই পদত্যাগ সৌমিত্র সেনের
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় অভিশংসন (ইমপিচমেন্ট) থেকে রক্ষা পেতে গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন অর্থ কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্ত বিচারপতি সৌমিত্র সেন।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট ভারতের আইনসভার উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় দুদিনের বিতর্ক শেষে ভোটাভুটিতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়। লোকসভায় এ প্রস্তাব ওঠার আগেই সৌমিত্র সেন পদত্যাগ করেছেন। ওই দিনই তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও লোকসভার স্পিকারের কাছে এর অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব তোলেন রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেন, ভারতের বিচারব্যবস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখার জন্য এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। বিচারপতি সৌমিত্র সেন আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারি দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। এই কমিটিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডির নেতৃত্বে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি মুকুল মুদগল ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ফলি এস নরিম্যান। এই তদন্ত কমিটি বিচারপতি সৌমিত্র সেনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পান। এরপরই এই তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেন।
১৯৯০ সালে মামলাভুক্ত একটি সম্পত্তি বিক্রির জন্য আদালত থেকে সৌমিত্র সেনকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়। তখন তিনি আইনজীবী ছিলেন। এ সময় ওই সম্পত্তির বিক্রয়লব্ধ ২৪ লাখ রুপি বেআইনিভাবে জমা পড়ে সৌমিত্র সেনের ব্যাংক হিসাবে।
সৌমিত্র সেন ২০০৩ সালের ৩ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। এ সময় তাঁর আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়লে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে ৫২ লাখ রুপি জমা দিতে বলা হয়। সৌমিত্র সেন তখন ৫২ লাখ রুপি জমা দেন। এই জমা দেওয়ার পর ফের অভিযোগ ওঠে কীভাবে তিনি বাকি ২৫ লাখ লাখ রুপি পেলেন? আর এ নিয়েই সৌমিত্র সেনের বিরুদ্ধে ভারতীয় সংসদে অভিযোগ ওঠে।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট ভারতের আইনসভার উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় দুদিনের বিতর্ক শেষে ভোটাভুটিতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়। লোকসভায় এ প্রস্তাব ওঠার আগেই সৌমিত্র সেন পদত্যাগ করেছেন। ওই দিনই তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও লোকসভার স্পিকারের কাছে এর অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব তোলেন রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেন, ভারতের বিচারব্যবস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখার জন্য এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। বিচারপতি সৌমিত্র সেন আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারি দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। এই কমিটিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডির নেতৃত্বে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি মুকুল মুদগল ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ফলি এস নরিম্যান। এই তদন্ত কমিটি বিচারপতি সৌমিত্র সেনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পান। এরপরই এই তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেন।
১৯৯০ সালে মামলাভুক্ত একটি সম্পত্তি বিক্রির জন্য আদালত থেকে সৌমিত্র সেনকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়। তখন তিনি আইনজীবী ছিলেন। এ সময় ওই সম্পত্তির বিক্রয়লব্ধ ২৪ লাখ রুপি বেআইনিভাবে জমা পড়ে সৌমিত্র সেনের ব্যাংক হিসাবে।
সৌমিত্র সেন ২০০৩ সালের ৩ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। এ সময় তাঁর আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়লে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে ৫২ লাখ রুপি জমা দিতে বলা হয়। সৌমিত্র সেন তখন ৫২ লাখ রুপি জমা দেন। এই জমা দেওয়ার পর ফের অভিযোগ ওঠে কীভাবে তিনি বাকি ২৫ লাখ লাখ রুপি পেলেন? আর এ নিয়েই সৌমিত্র সেনের বিরুদ্ধে ভারতীয় সংসদে অভিযোগ ওঠে।
No comments