মেসিদের আসা পিছিয়ে দিল ‘যানজট’
আগের সূচি অনুযায়ী আজ সকালেই ঢাকা আসার কথা ছিল আর্জেন্টিনার। কিন্তু আজ নয়, কলকাতা থেকে বাংলাদেশ বিমানে আর্জেন্টিনা ঢাকা নামছে আগামী পরশু সকাল সাড়ে ৯টায়। গত দুই দিনে এ নিয়ে নানা দেনদরবার করেও শেষ পর্যন্ত ৫ সেপ্টেম্বরের আগে মেসিদের ঢাকা আগমন নিশ্চিত করা যায়নি।
বাফুফে কর্মকর্তাদের মনটা এতে খারাপ হয়ে গেছে। কারণ, মেসিরা ৩ সেপ্টেম্বর মানে আজ ঢাকায় এলে টিকিট বিক্রিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ত বলে আশা করা হয়েছিল। ২৪ হাজার ধারণক্ষমতার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অর্ধেক টিকিটই অবিক্রীত। এ অবস্থায় মেসিরা ৩ সেপ্টেম্বর এলে বাকি ১২ হাজার টিকিট বিক্রিতে যে সাড়াটা পড়ত, সেটি দুই দিন পর পড়ছে। টিকিট বিক্রির সুযোগ এখন কার্যত এক দিন।
এই দিক বিবেচনায় ‘ক্ষতি’ই হলো বাফুফের। তবে এটা ভেবে সান্ত্বনা মিলছে, মেসিরা ৫ সেপ্টেম্বর সকালে এসে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে (নাইজেরিয়াও আসবে ৫ সেপ্টেম্বর সকালে)। আগে এই অনুশীলন সেশনটা ছিল রুদ্ধদ্বার। যেহেতু দুই দিন পর আসছে আর্জেন্টিনা, তাই তারা ম্যাচের আগের দিনের অনুশীলন সেশনটা উন্মুক্ত করে দিতে রাজি হয়েছে। একই সঙ্গে ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় ডিনার অনুমোদন করেছে আর্জেন্টিনা। পরদিন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ঐতিহাসিক ম্যাচ।
এখন কথা হচ্ছে, আজ পূর্বনির্ধারিত সূচিতে কেন আসছে না মেসিরা? এক কথায় এর উত্তর—ফতুল্লায় যানজট ঠেলে গিয়ে তারা ৪ সেপ্টেম্বর অনুশীলন করতে রাজি হয়নি। গত ২১ আগস্ট আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ জুলিয়ান কামিনোকে যেভাবে দুই ঘণ্টা ঘুরিয়ে ফতুল্লা ক্রিকেট স্টেডিয়ামটা অনুশীলন ভেন্যু হিসেবে দেখানো হয়, তা তাদের পছন্দ হয়নি। ঘেমেনেয়ে একাকার হয়ে কামিনো ফতুল্লা যাওয়ার সময় পুরো ভ্রমণপথটা ভিডিও করে নেন। সেই ভিডিও কোচ আলেজান্দ্রো সাবেলাকে দেখানোর পর তিনি ফতুল্লায় অনুশীলন নাকচ করে দেন।
৩ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনার আসা অনিশ্চিত দেখে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ঈদের দিন দুপুরে কলকাতা ছুটে যান। ফিরেছেন গতকাল সকালে। কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি তাঁর এই সফর। সালাউদ্দিনের কাছে শোনা, আজ না হলেও অন্তত আগামীকাল আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় আনার জন্য আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদন পর্যন্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাবেলা কোনোমতেই রাজি নন। এমনি ৪ সেপ্টেম্বর বিশেষ চার্টার্ড বিমানে ঢাকায় আনার প্রস্তাবেও আর্জেন্টিনার টিম ম্যানেজমেন্টের সাড়া মেলেনি।
‘আমরা যতই বলেছি ঈদের ছুটিতে এখন রাস্তাঘাট ফাঁকা। ৪০ মিনিটে ফতুল্লা যাওয়া সম্ভব এবং বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে ওখানে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা রাজি হয়নি। কামিনোর রিপোর্টেও ভিত্তিতে সাবেলা ‘না’ করে দিয়েছেন’—বলেছেন সালাউদ্দিন।
বাফুফে সভাপতি দুঃখ করে বলছিলেন, ‘আমাদের অনুকূলে কিছু ঘটছে না। সবই দেখছি প্রতিকূল। আসলে ভাগ্যই খারাপ।’ বাফুফের আসলেই ভাগ্য খারাপ। ২১ আগস্ট ফতুল্লা যাওয়ার পথে যানজট ছিল অন্যদিনের তুলনায় অনেক বেশি। বাফুফে কর্মকর্তাদের আতিথেয়তাও আন্তরিক ছিল না। ওটাই শেষ পর্যন্ত ‘কাল’ হলো।
টাকাপয়সা নিয়েও ম্যাচ আয়োজক ভারতের সেলিব্রিটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সঙ্গে ঝামেলা বেধেছিল। একটি সূত্রের খবর, বিষয়টা তীব্র মনোমালিন্যের দিকেই গড়িয়েছিল। সেলিব্রিটিকে ম্যাচ আয়োজন না করারও হুমকি দিয়ে বসেন সালাউদ্দিন। শেষমেশ ঈদের দিন অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সেলিব্রিটির মাধ্যমে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে শেষ কিস্তির ৬ লাখ ডলারও পরিশোধ করে দেয় বাফুফে। কিন্তু এত কিছুর পরও মন গলেনি সাবেলার। যা বাফুফের জন্য খুবই হতাশার।
এ ক্ষেত্রে সেলিব্রিটির কোনো চাল আছে কি না, তা নিয়ে বাফুফেতে কাল দিনভরই কানাঘুষা চলেছে। চুক্তি অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বর না আসায় বাফুফে চাইলে অনায়াসে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ আনতে পারে সেলিব্রিটির বিরুদ্ধে। কিন্তু ব্যাপারটা এমন যে সালাউদ্দিন বলছেন, ‘অভিযোগ করে কী লাভ! আর্জেন্টিনা আসবে না ৩ তারিখ, আমরা তো জোর করে আনতে পারি না।’
তড়িঘড়ি করে কাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন সূচিটা জানানো হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে। তাতে আয়োজক কমিটির প্রধান আনোয়ারুল হক বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনা দল বলেই আমরা চুক্তি নিয়ে হইচই করতে পারি না। তাতে লাভ কিছু হবে না। কাজেই নতুন সূচি অনুযায়ীই সব হবে।’
তা হোক, তবে মেসির আর্জেন্টিনাকে দুই দিন বেশি না পাওয়ার হতাশাটা কিছুতেই যাবে না বাংলাদেশের।
বাফুফে কর্মকর্তাদের মনটা এতে খারাপ হয়ে গেছে। কারণ, মেসিরা ৩ সেপ্টেম্বর মানে আজ ঢাকায় এলে টিকিট বিক্রিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ত বলে আশা করা হয়েছিল। ২৪ হাজার ধারণক্ষমতার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অর্ধেক টিকিটই অবিক্রীত। এ অবস্থায় মেসিরা ৩ সেপ্টেম্বর এলে বাকি ১২ হাজার টিকিট বিক্রিতে যে সাড়াটা পড়ত, সেটি দুই দিন পর পড়ছে। টিকিট বিক্রির সুযোগ এখন কার্যত এক দিন।
এই দিক বিবেচনায় ‘ক্ষতি’ই হলো বাফুফের। তবে এটা ভেবে সান্ত্বনা মিলছে, মেসিরা ৫ সেপ্টেম্বর সকালে এসে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে (নাইজেরিয়াও আসবে ৫ সেপ্টেম্বর সকালে)। আগে এই অনুশীলন সেশনটা ছিল রুদ্ধদ্বার। যেহেতু দুই দিন পর আসছে আর্জেন্টিনা, তাই তারা ম্যাচের আগের দিনের অনুশীলন সেশনটা উন্মুক্ত করে দিতে রাজি হয়েছে। একই সঙ্গে ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় ডিনার অনুমোদন করেছে আর্জেন্টিনা। পরদিন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ঐতিহাসিক ম্যাচ।
এখন কথা হচ্ছে, আজ পূর্বনির্ধারিত সূচিতে কেন আসছে না মেসিরা? এক কথায় এর উত্তর—ফতুল্লায় যানজট ঠেলে গিয়ে তারা ৪ সেপ্টেম্বর অনুশীলন করতে রাজি হয়নি। গত ২১ আগস্ট আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ জুলিয়ান কামিনোকে যেভাবে দুই ঘণ্টা ঘুরিয়ে ফতুল্লা ক্রিকেট স্টেডিয়ামটা অনুশীলন ভেন্যু হিসেবে দেখানো হয়, তা তাদের পছন্দ হয়নি। ঘেমেনেয়ে একাকার হয়ে কামিনো ফতুল্লা যাওয়ার সময় পুরো ভ্রমণপথটা ভিডিও করে নেন। সেই ভিডিও কোচ আলেজান্দ্রো সাবেলাকে দেখানোর পর তিনি ফতুল্লায় অনুশীলন নাকচ করে দেন।
৩ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনার আসা অনিশ্চিত দেখে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ঈদের দিন দুপুরে কলকাতা ছুটে যান। ফিরেছেন গতকাল সকালে। কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি তাঁর এই সফর। সালাউদ্দিনের কাছে শোনা, আজ না হলেও অন্তত আগামীকাল আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় আনার জন্য আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদন পর্যন্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাবেলা কোনোমতেই রাজি নন। এমনি ৪ সেপ্টেম্বর বিশেষ চার্টার্ড বিমানে ঢাকায় আনার প্রস্তাবেও আর্জেন্টিনার টিম ম্যানেজমেন্টের সাড়া মেলেনি।
‘আমরা যতই বলেছি ঈদের ছুটিতে এখন রাস্তাঘাট ফাঁকা। ৪০ মিনিটে ফতুল্লা যাওয়া সম্ভব এবং বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে ওখানে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা রাজি হয়নি। কামিনোর রিপোর্টেও ভিত্তিতে সাবেলা ‘না’ করে দিয়েছেন’—বলেছেন সালাউদ্দিন।
বাফুফে সভাপতি দুঃখ করে বলছিলেন, ‘আমাদের অনুকূলে কিছু ঘটছে না। সবই দেখছি প্রতিকূল। আসলে ভাগ্যই খারাপ।’ বাফুফের আসলেই ভাগ্য খারাপ। ২১ আগস্ট ফতুল্লা যাওয়ার পথে যানজট ছিল অন্যদিনের তুলনায় অনেক বেশি। বাফুফে কর্মকর্তাদের আতিথেয়তাও আন্তরিক ছিল না। ওটাই শেষ পর্যন্ত ‘কাল’ হলো।
টাকাপয়সা নিয়েও ম্যাচ আয়োজক ভারতের সেলিব্রিটি ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সঙ্গে ঝামেলা বেধেছিল। একটি সূত্রের খবর, বিষয়টা তীব্র মনোমালিন্যের দিকেই গড়িয়েছিল। সেলিব্রিটিকে ম্যাচ আয়োজন না করারও হুমকি দিয়ে বসেন সালাউদ্দিন। শেষমেশ ঈদের দিন অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সেলিব্রিটির মাধ্যমে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে শেষ কিস্তির ৬ লাখ ডলারও পরিশোধ করে দেয় বাফুফে। কিন্তু এত কিছুর পরও মন গলেনি সাবেলার। যা বাফুফের জন্য খুবই হতাশার।
এ ক্ষেত্রে সেলিব্রিটির কোনো চাল আছে কি না, তা নিয়ে বাফুফেতে কাল দিনভরই কানাঘুষা চলেছে। চুক্তি অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বর না আসায় বাফুফে চাইলে অনায়াসে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ আনতে পারে সেলিব্রিটির বিরুদ্ধে। কিন্তু ব্যাপারটা এমন যে সালাউদ্দিন বলছেন, ‘অভিযোগ করে কী লাভ! আর্জেন্টিনা আসবে না ৩ তারিখ, আমরা তো জোর করে আনতে পারি না।’
তড়িঘড়ি করে কাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন সূচিটা জানানো হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে। তাতে আয়োজক কমিটির প্রধান আনোয়ারুল হক বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনা দল বলেই আমরা চুক্তি নিয়ে হইচই করতে পারি না। তাতে লাভ কিছু হবে না। কাজেই নতুন সূচি অনুযায়ীই সব হবে।’
তা হোক, তবে মেসির আর্জেন্টিনাকে দুই দিন বেশি না পাওয়ার হতাশাটা কিছুতেই যাবে না বাংলাদেশের।
No comments