এল ক্লাসিকোই এখন হুমকি!
স্পেনের ফুটবলে সবচেয়ে বড় রোমাঞ্চের নাম ‘এল ক্লাসিকো’। রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনা একে অপরের মুখোমুখি হবে, ধ্রুপদি ফুটবলের পসরা বসবে মাঠে—স্পেন তথা পুরো ফুটবল-বিশ্বই অধীর অপেক্ষা নিয়ে থাকে এর জন্য। রিয়াল-বার্সার এই ফুটবল রোমাঞ্চ কেমন যেন কাঁটা বিছিয়ে দিচ্ছে স্পেনের ফুটবলে। ‘এল ক্লাসিকো’ রূপ নিচ্ছে ‘হেল ক্লাসিকো’য়। স্পেন জাতীয় দলের জন্যই যা হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে।
এল ক্লাসিকো নিয়ে স্পেনের ফুটবল সত্যিই শঙ্কিত। গত মৌসুমে হোসে মরিনহো রিয়ালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যেন রিয়াল আর বার্সেলোনার লড়াইটা কেমন অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেছে। দুই দলের ‘অসুস্থ সেই লড়াই’ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে স্পেন দলেও!
স্পেন দলের ভেতরের অবস্থা যে এই মুহূর্তে খুব একটা সুবিধাজনক নয়, তা স্পষ্ট গোলরক্ষক পেপে রেইনা আর মিডফিল্ডার শান্তি কাজোরলার কথায়। লিভারপুলের স্প্যানিশ গোলরক্ষক পেপে রেইনা কিছুদিন আগে বলেছিলেন—দলের (স্পেন দল) আবহ একটু যেন অস্বাভাবিক।’ আর মালাগা মিডফিল্ডারের কথা, ‘জাতীয় দলের অবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে।’
গতকাল হয়ে যাওয়া চিলির সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ আর আগামী মঙ্গলবার ইউরো বাছাইয়ে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ২৪ জনের দলে ১৪ জন খেলোয়াড়ই এই দুই ক্লাবের। স্প্যানিশ পত্রপত্রিকার খবর, এল ক্লাসিকোর অসুস্থ লড়াইয়ের প্রভাব যাতে জাতীয় দলে না পড়ে, তা নিয়েই এখন বেশি কাজ করতে হচ্ছে স্পেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ককে। কিন্তু বস্ক বলেছেন, ‘জাতীয় দলে কোনো সমস্যা নেই। খেলোয়াড়রা লিগ আর জাতীয় দলের পার্থক্য বোঝে।’
লিগের আগে মৌসুম সূচক স্প্যানিশ সুপার কাপে মুখোমুখি হয় দুই দল। রোমাঞ্চের বদলে দুই লেগের সুপার কাপ বয়ে আনে ‘অশুভ’ বার্তা। ম্যাচের শেষের দিকে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হয় হাতাহাতি। রিয়াল কোচ মরিনহো চড়াও হন বার্সেলোনার সহকারী কোচ টিটো ভিলানোভার ওপর। এ নিয়ে হইচই হয়েছে অনেক।
সুপার কাপের পর রিয়াল মাদ্রিদ ও স্পেন অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস ফোন দিয়েছিলেন বার্সেলোনা প্লে-মেকার জাভি হার্নান্দেজকে। রিয়াল মাদ্রিদ ও স্পেনের ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস বিষয়টিকে ইতিবাচকই দেখেছেন, ‘ইকারকে খুব ভালোভাবে চিনি আমরা। সে আমাদের অধিনায়ক এবং ঠিক কাজটিই করেছে।’ এরপর বলেছেন, ‘এই দলের সুবিধাটা আমাদের নেওয়া উচিত। এই প্রজন্মটাকে নষ্ট করা বড় লজ্জার হবে। মাঠে যা হয় তা মাঠেই থাক।’
রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় ছিলেন স্পেন কোচ দেল বস্কও। কোচ হিসেবে রিয়ালকে দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতিয়েছেন। রিয়াল-বার্সার সাম্প্রতিক সম্পর্ক নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ দেল বস্কের কপালে। ক্যাসিয়াসের জাভিকে ফোন করা নিয়ে বস্কের কথা, ‘আমি জানি না ক্যাসিয়াস আর জাভি কী নিয়ে কথা বলেছে। তবে ওদের মধ্যে কোনো দূরত্ব আমি দেখিনি। আপনাকে ফুটবল নিয়েই ভাবতে হবে।’
তবে মরিনহো নাকি সহজভাবে নিতে পারেননি এটা। ক্রীড়া দৈনিক মার্কার মতে, গ্যালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে বার্নাব্যু ট্রফির ম্যাচে ক্যাসিয়াসকে যে বেঞ্চে কাটাতে হলো, এটা নাকি জাভিকে ফোন করারই শাস্তি। এই প্রসঙ্গটা উঠলে মরিনহো বলেছেন, ‘ফোনে ক্যাসিয়াস যে কারও সঙ্গেই কথা বলতে পারে।’
পরবর্তী এল ক্লাসিকো ডিসেম্বর মাসে। ফুটবল রোমান্টিকরা আরেকটা ধ্রুপদি লড়াই দেখার অপেক্ষা নিয়েই বসে থাকবে। তবে দেল বস্ক আর স্পেন ফুটবল কর্তারা কি তা পারবেন? তাঁদের জন্য এল ক্লাসিকো যে এখন টেনশনেরই অপর নাম!
এল ক্লাসিকো নিয়ে স্পেনের ফুটবল সত্যিই শঙ্কিত। গত মৌসুমে হোসে মরিনহো রিয়ালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যেন রিয়াল আর বার্সেলোনার লড়াইটা কেমন অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেছে। দুই দলের ‘অসুস্থ সেই লড়াই’ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে স্পেন দলেও!
স্পেন দলের ভেতরের অবস্থা যে এই মুহূর্তে খুব একটা সুবিধাজনক নয়, তা স্পষ্ট গোলরক্ষক পেপে রেইনা আর মিডফিল্ডার শান্তি কাজোরলার কথায়। লিভারপুলের স্প্যানিশ গোলরক্ষক পেপে রেইনা কিছুদিন আগে বলেছিলেন—দলের (স্পেন দল) আবহ একটু যেন অস্বাভাবিক।’ আর মালাগা মিডফিল্ডারের কথা, ‘জাতীয় দলের অবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে।’
গতকাল হয়ে যাওয়া চিলির সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ আর আগামী মঙ্গলবার ইউরো বাছাইয়ে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ২৪ জনের দলে ১৪ জন খেলোয়াড়ই এই দুই ক্লাবের। স্প্যানিশ পত্রপত্রিকার খবর, এল ক্লাসিকোর অসুস্থ লড়াইয়ের প্রভাব যাতে জাতীয় দলে না পড়ে, তা নিয়েই এখন বেশি কাজ করতে হচ্ছে স্পেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ককে। কিন্তু বস্ক বলেছেন, ‘জাতীয় দলে কোনো সমস্যা নেই। খেলোয়াড়রা লিগ আর জাতীয় দলের পার্থক্য বোঝে।’
লিগের আগে মৌসুম সূচক স্প্যানিশ সুপার কাপে মুখোমুখি হয় দুই দল। রোমাঞ্চের বদলে দুই লেগের সুপার কাপ বয়ে আনে ‘অশুভ’ বার্তা। ম্যাচের শেষের দিকে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হয় হাতাহাতি। রিয়াল কোচ মরিনহো চড়াও হন বার্সেলোনার সহকারী কোচ টিটো ভিলানোভার ওপর। এ নিয়ে হইচই হয়েছে অনেক।
সুপার কাপের পর রিয়াল মাদ্রিদ ও স্পেন অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস ফোন দিয়েছিলেন বার্সেলোনা প্লে-মেকার জাভি হার্নান্দেজকে। রিয়াল মাদ্রিদ ও স্পেনের ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস বিষয়টিকে ইতিবাচকই দেখেছেন, ‘ইকারকে খুব ভালোভাবে চিনি আমরা। সে আমাদের অধিনায়ক এবং ঠিক কাজটিই করেছে।’ এরপর বলেছেন, ‘এই দলের সুবিধাটা আমাদের নেওয়া উচিত। এই প্রজন্মটাকে নষ্ট করা বড় লজ্জার হবে। মাঠে যা হয় তা মাঠেই থাক।’
রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় ছিলেন স্পেন কোচ দেল বস্কও। কোচ হিসেবে রিয়ালকে দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতিয়েছেন। রিয়াল-বার্সার সাম্প্রতিক সম্পর্ক নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ দেল বস্কের কপালে। ক্যাসিয়াসের জাভিকে ফোন করা নিয়ে বস্কের কথা, ‘আমি জানি না ক্যাসিয়াস আর জাভি কী নিয়ে কথা বলেছে। তবে ওদের মধ্যে কোনো দূরত্ব আমি দেখিনি। আপনাকে ফুটবল নিয়েই ভাবতে হবে।’
তবে মরিনহো নাকি সহজভাবে নিতে পারেননি এটা। ক্রীড়া দৈনিক মার্কার মতে, গ্যালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে বার্নাব্যু ট্রফির ম্যাচে ক্যাসিয়াসকে যে বেঞ্চে কাটাতে হলো, এটা নাকি জাভিকে ফোন করারই শাস্তি। এই প্রসঙ্গটা উঠলে মরিনহো বলেছেন, ‘ফোনে ক্যাসিয়াস যে কারও সঙ্গেই কথা বলতে পারে।’
পরবর্তী এল ক্লাসিকো ডিসেম্বর মাসে। ফুটবল রোমান্টিকরা আরেকটা ধ্রুপদি লড়াই দেখার অপেক্ষা নিয়েই বসে থাকবে। তবে দেল বস্ক আর স্পেন ফুটবল কর্তারা কি তা পারবেন? তাঁদের জন্য এল ক্লাসিকো যে এখন টেনশনেরই অপর নাম!
No comments