ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে তুরস্ক
তুরস্ক সে দেশে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সামরিক সম্পর্ক স্থগিত করেছে।
গত বছর গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজের বহর ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’য় অত্যধিক শক্তি প্রয়োগের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার তুরস্ক এ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ওই প্রতিবেদনটি ‘অকার্যকর’ উল্লেখ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল।
গত বছরের ৩১ মে তুরস্কের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনের গাজামুখী ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’য় হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। ওই হামলায় নয়জন নিহত হন। তাঁদের সবাই তুরস্কের নাগরিক। এর কয়েক দিন পর গাজা অভিমুখী আরেকটি ত্রাণবাহী জাহাজও আটকে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে একসময়ের মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।
প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল গতকাল মন্তব্য করেন, ‘প্রকৃতপক্ষে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য “অর্থহীন” একটি বিষয়।’ তিনি বলেন, ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে প্রাথমিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগ্লু রাজধানী আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আঙ্কারায় নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতসহ সেকেন্ড সেক্রেটারি পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের তুরস্ক ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের সব ধরনের সামরিক সম্পর্ক স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, তুরস্কের ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের নিরাপত্তায় আঙ্কারা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে। আঙ্কারা মনে করে, গাজা অবরোধের অধিকার ইসরায়েলের নেই। তাই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যাবেন। দাভুতোগ্লু বলেন, ‘এই লক্ষ্যে আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাজ শুরু করেছি।’
এর আগে নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে ওই প্রতিবেদন নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস-এ খবর প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ‘তুরস্ক ও ইসরায়েলের উচিত তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি স্থাপন করা। মধ্যপ্রাচ্য এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থেই এটা করা উচিত।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাভুতোগ্লু একে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।
তুরস্ক চায় ফ্রিডম ফ্লোটিলায় হামলার ঘটনায় ইসরায়েল দুঃখ প্রকাশ করুক। কিন্তু ইসরায়েল দুঃখ প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ওই ঘটনার পর এই প্রথমবারের মতো দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সেকেন্ড সেক্রেটারি পর্যায়ে নেমে গেল।
গত বছর গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজের বহর ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’য় অত্যধিক শক্তি প্রয়োগের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার তুরস্ক এ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ওই প্রতিবেদনটি ‘অকার্যকর’ উল্লেখ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল।
গত বছরের ৩১ মে তুরস্কের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনের গাজামুখী ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’য় হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। ওই হামলায় নয়জন নিহত হন। তাঁদের সবাই তুরস্কের নাগরিক। এর কয়েক দিন পর গাজা অভিমুখী আরেকটি ত্রাণবাহী জাহাজও আটকে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে একসময়ের মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।
প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল গতকাল মন্তব্য করেন, ‘প্রকৃতপক্ষে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য “অর্থহীন” একটি বিষয়।’ তিনি বলেন, ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে প্রাথমিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগ্লু রাজধানী আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আঙ্কারায় নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতসহ সেকেন্ড সেক্রেটারি পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের তুরস্ক ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের সব ধরনের সামরিক সম্পর্ক স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, তুরস্কের ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের নিরাপত্তায় আঙ্কারা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে। আঙ্কারা মনে করে, গাজা অবরোধের অধিকার ইসরায়েলের নেই। তাই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যাবেন। দাভুতোগ্লু বলেন, ‘এই লক্ষ্যে আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাজ শুরু করেছি।’
এর আগে নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে ওই প্রতিবেদন নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস-এ খবর প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ‘তুরস্ক ও ইসরায়েলের উচিত তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি স্থাপন করা। মধ্যপ্রাচ্য এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থেই এটা করা উচিত।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাভুতোগ্লু একে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।
তুরস্ক চায় ফ্রিডম ফ্লোটিলায় হামলার ঘটনায় ইসরায়েল দুঃখ প্রকাশ করুক। কিন্তু ইসরায়েল দুঃখ প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ওই ঘটনার পর এই প্রথমবারের মতো দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সেকেন্ড সেক্রেটারি পর্যায়ে নেমে গেল।
No comments