সু চির দলকে দুঃখ প্রকাশের দাবি সামরিক জান্তার
মিয়ানমারের ওপর পশ্চিমা অবরোধ সমর্থন করায় সে দেশের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসিকে (এনএলডি) প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে সামরিক জান্তা। গতকাল শনিবার রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত তিনটি পত্রিকায় প্রকাশিত মন্তব্য প্রতিবেদনে এ দাবি জানানো হয়।
এর মাত্র কয়েক দিন আগে সামরিক জান্তা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, মিয়ানমারের ওপর পশ্চিমা অবরোধসহ অন্যান্য বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন না করলে সু চি ও তাঁর দলকে ‘করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে’।
গতকাল প্রকাশিত ‘হাই টাইম টু টেক স্ট্রাইড টু ন্যাশনাল গোলস উইদাউট ইকোনমিক স্যাংশনস’ শিরোনামের ওই মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়, এনএলডিকে পশ্চিমা অবরোধের ব্যাপারে মনোভাব পাল্টাতে হবে। জনগণের স্বার্থেই অবরোধ প্রত্যাহার করা দরকার। কিন্তু এনএলডি জনগণের স্বার্থের কথা না ভেবে নিজেদের স্বার্থে অবরোধের সমর্থনে কথা বলছে। জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী এই অবস্থানের জন্য দলটিকে অবশ্যই প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে বলেন, মিয়ানমারের ওপর আরোপিত পশ্চিমা অর্থনৈতিক অবরোধ এই মুহূর্তে তুলে নেওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি। অব্যাহত অবরোধের মুখে জান্তা সরকার বিশ্ব সম্প্রদায় থেকে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া এই অবরোধ দেশের অর্থনীতির ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে না। জনগণের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।
তাঁর এই মন্তব্যের পরের দিনই রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে সু চি ও তাঁর দলকে করুণ পরিণতি ভোগ করার হুমকি দেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, সামরিক জান্তা সু চিকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু তাঁর প্রতি জান্তা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এখনো শিথিল হয়নি। জান্তার অবস্থান কঠোরই আছে।
প্রসঙ্গত ১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চির দল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। কিন্তু সামরিক জান্তা দলটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। বরং গত দুই দশকের বেশির ভাগ সময় সু চিকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। এ সময়ের মধ্যে গত নভেম্বরে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন দেওয়া হয়। কিন্তু সামরিক জান্তা তার আগেই এনএলডিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। সু চির দল ওই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। নির্বাচনে জালিয়াতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনের কয়েক দিন পর গৃহবন্দিত্ব থেকে সু চিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
পশ্চিমা অবরোধের মুখেও মিয়ানমারের জান্তা সরকার এশিয়ার মিত্র দেশগুলোকে বিনিয়োগে আগ্রহ সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে। দেশটির অবকাঠামো, জ্বালানি, রত্নসামগ্রী, পর্যটন ও ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ সৃষ্টি করতে সম্প্রতি নতুন বিনিয়োগনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া শত শত সরকারি কোম্পানি বেসরকারীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকালের ওই মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু এশিয়া নয়, সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের জন্য মিয়ানমারের দরজা খোলা।
পশ্চিমা অবরোধ তুলে নেওয়ার ব্যাপারে জান্তা সরকার কখনো সরাসরি আহ্বান জানায়নি।
তবে ওই মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজার অর্থনীতিতে মিয়ানমারের দুয়ার খোলা। কিন্তু অর্থনৈতিক অবরোধ অব্যাহত থাকায় এ ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল মিলছে না।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার সাধারণত গণমাধ্যমে কোনো কিছু বলে না কিংবা বিবৃতি দেয় না। বরং রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পত্রিকার মাধ্যমেই তাঁদের অবস্থান তুলে ধরে।
এর মাত্র কয়েক দিন আগে সামরিক জান্তা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, মিয়ানমারের ওপর পশ্চিমা অবরোধসহ অন্যান্য বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন না করলে সু চি ও তাঁর দলকে ‘করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে’।
গতকাল প্রকাশিত ‘হাই টাইম টু টেক স্ট্রাইড টু ন্যাশনাল গোলস উইদাউট ইকোনমিক স্যাংশনস’ শিরোনামের ওই মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়, এনএলডিকে পশ্চিমা অবরোধের ব্যাপারে মনোভাব পাল্টাতে হবে। জনগণের স্বার্থেই অবরোধ প্রত্যাহার করা দরকার। কিন্তু এনএলডি জনগণের স্বার্থের কথা না ভেবে নিজেদের স্বার্থে অবরোধের সমর্থনে কথা বলছে। জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী এই অবস্থানের জন্য দলটিকে অবশ্যই প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে বলেন, মিয়ানমারের ওপর আরোপিত পশ্চিমা অর্থনৈতিক অবরোধ এই মুহূর্তে তুলে নেওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি। অব্যাহত অবরোধের মুখে জান্তা সরকার বিশ্ব সম্প্রদায় থেকে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া এই অবরোধ দেশের অর্থনীতির ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে না। জনগণের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।
তাঁর এই মন্তব্যের পরের দিনই রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে সু চি ও তাঁর দলকে করুণ পরিণতি ভোগ করার হুমকি দেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, সামরিক জান্তা সু চিকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু তাঁর প্রতি জান্তা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এখনো শিথিল হয়নি। জান্তার অবস্থান কঠোরই আছে।
প্রসঙ্গত ১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চির দল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। কিন্তু সামরিক জান্তা দলটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। বরং গত দুই দশকের বেশির ভাগ সময় সু চিকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। এ সময়ের মধ্যে গত নভেম্বরে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন দেওয়া হয়। কিন্তু সামরিক জান্তা তার আগেই এনএলডিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। সু চির দল ওই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। নির্বাচনে জালিয়াতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনের কয়েক দিন পর গৃহবন্দিত্ব থেকে সু চিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
পশ্চিমা অবরোধের মুখেও মিয়ানমারের জান্তা সরকার এশিয়ার মিত্র দেশগুলোকে বিনিয়োগে আগ্রহ সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে। দেশটির অবকাঠামো, জ্বালানি, রত্নসামগ্রী, পর্যটন ও ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ সৃষ্টি করতে সম্প্রতি নতুন বিনিয়োগনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া শত শত সরকারি কোম্পানি বেসরকারীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকালের ওই মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু এশিয়া নয়, সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের জন্য মিয়ানমারের দরজা খোলা।
পশ্চিমা অবরোধ তুলে নেওয়ার ব্যাপারে জান্তা সরকার কখনো সরাসরি আহ্বান জানায়নি।
তবে ওই মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজার অর্থনীতিতে মিয়ানমারের দুয়ার খোলা। কিন্তু অর্থনৈতিক অবরোধ অব্যাহত থাকায় এ ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল মিলছে না।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার সাধারণত গণমাধ্যমে কোনো কিছু বলে না কিংবা বিবৃতি দেয় না। বরং রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পত্রিকার মাধ্যমেই তাঁদের অবস্থান তুলে ধরে।
No comments